• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজধানীবাসীর ঘুম কেড়ে নিয়েছে মশা

অভি ইসলাম

  ০৭ মার্চ ২০১৮, ২২:২৬

আকারে ক্ষুদ্র হলেও, রাজধানীর বড় এক সমস্যার নাম মশা। মশা থেকে রক্ষা পেতে শুধু রাত নয় দিনের বেলায়ও অনেককে মশারি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। গেলো বছর চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতার কথা মনে হলে এখনও আতঙ্কে শিউরে ওঠেন অনেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিকর এডিস মশা, বিভিন্ন জলাশয়ে জন্ম নেয়া কিউলেক্স মশা এখনও হয়তো রোগ ছড়াচ্ছে না। তবে কিছুদিন পরেই আসবে এডিস মশার আক্রমণ। যেকোনো সময় আবারও ভয়াবহতা ফিরিয়ে আনতে পারে। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ভয়ের কিছু নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এডিস মশার প্রজননকাল এখন না হলেও এলাকাগুলোতে এডিস মশার বিস্তার আশঙ্কার বিষয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চালানো জরিপে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াপ্রবণ এলাকার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে মোট ১৯টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: কেন সেকেন্ড হোমে ছুটছে বাংলাদেশিরা?
--------------------------------------------------------

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ১২৩ প্রজাতির মশা রয়েছে। কিন্তু তিন প্রকারের মশা নিয়ে আমরা চিন্তিত, যারা আমাদের দেশের রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটি এনোফিলিস মশা, এডিস মশা, কিউলেক্স মশা। এরমধ্যে অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায় তবে রাজধানীতে এ মশার প্রকোপ কম। যা পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে। এডিস মশা তিন থেকে চারটি ভাইরাস জনিত রোগ বহন করে। যার মধ্যে ডেঙ্গু, চিকন গুনিয়া, ঝিঁকা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল আলম বলেন, ক্রাশ প্রোগ্রামটা শুরু ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে। কিন্তু তবুও মশার নিধন নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। পরে আবার ২৮ তারিখে আরও শক্তি ও জনবল বাড়িয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল আলম বলেন, গতবছরের তুলনায় মশা একটু বেড়েছে। আমাদের কর্মীরা বাড়ির বাইরে ও ডোবা-নর্দমায় মশার ওষুধ ছিটাচ্ছেন।

তবে দায়িত্বটা কেবল করপোরেশনের ওপর ছেড়ে না দিয়ে নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন তারা। বাসা-বাড়ির আঙিনা ও ছাদ পরিষ্কার রাখলে মশার উৎপাত অনেকটা কমবে বলে মনে করেন সিটির কর্মকর্তারা।

এদিকে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। ওয়ার্ড কাউন্সিলদের দাবি, সিটি মেয়রদের নির্দেশে এবার দিন-রাত পরিশ্রম করছেন তারা। খুব সকালে মশার ডিমের জন্য লার্ভিসাইডিং এবং বিকেলে উড়ন্ত মশার জন্য অ্যাডাল্টিসাইডিং পদ্ধতিতে ওষুধ দিচ্ছেন তারা।

কর্মীরা যেন সঠিক সময়ে নিয়ম মেনে মশার ওষুধ দেন তা তদারকির কথা জানালেন দক্ষিণের সিটি মেয়র সাইদ খোকন। তিনি বলেন, মওসুমের আগেই মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রামসহ নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরা আশেপাশের সব মেশিন ও ওষুধ এক করে মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালাবেন। তবে, দায়িত্বটা কেবল করপোরেশনের ওপর ছেড়ে না দিয়ে নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন:

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা মিললে নির্মাণকাজ বন্ধ : মেয়র তাপস
ডিএমপির এডিসি ও এসি পদমর্যাদার ৩ কর্মকর্তাকে বদলি
বাসাবাড়ি-অফিসে এডিস মশার লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা
এডিসি ও এসি পদমর্যাদার ৬ কর্মকর্তাকে বদলি
X
Fresh