এখনো প্রস্তুত হয়নি সাভার শিল্পনগরী
এখনো প্রস্তুত নয় সাভার শিল্পনগরী। ট্যানারি মালিকরা বলেছেন, চামড়ার উচ্ছিষ্ট ফেলার জায়গা তৈরি হয়নি, ব্যক্তি মালিকানায় জেনারেটর চালাতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে, গ্যাস না পাওয়ায় সাভার থেকে চামড়া নিতে হচ্ছে হাজারীবাগে।
এছাড়া, জমির দলিল বুঝিয়ে না দেয়ায় মেশিনারিও নেয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করাই তাদের লক্ষ্য।
সাভারে ট্যানারি নেয়া হলেও, এবারের ঈদে কোরবানি হওয়া পশুর প্রায় পুরো চামড়াই প্রক্রিয়াজাত হয়েছে হাজারীবাগে। কারণ হিসেবে ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এখনও চামড়া প্রক্রিয়াজাতের সব ব্যবস্থা চালু হয়নি সাভারে। চামড়াকে ‘হোয়াইট ব্লু’ করার উপযুক্ত করতে, আরো এক বছর সময় লাগবে। আর ফিনিশ লেদার করতে লাগবে তিন বছর।
বিষয়টি যাচাই করতে চামড়া শিল্পনগরীতে গিয়ে সত্যতা মিললো। ঈদের আগে প্রথমবারের মতো সাভারে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া প্রস্তুত শুরু করেছে ৭টি ট্যানারি। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে ১৪টি কারখানা। আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু করতে পারবে আরো ৫৫টি।
তবে প্রকল্প পরিচালক জানালেন, হাজারীবাগ থেকে সবগুলো ট্যানারিকে সাভারে এনে সেগুলোর ‘হোয়াইট ব্লু বর্জ্য’ দিয়ে ‘সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ (সিইটিপি) চালু করাই তাদের অগ্রাধিকার।
ক্ষোভ আছে, চামড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংগঠনের প্লট না পাওয়া নিয়েও।
২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জমির দলিলই পাওয়া যায়নি- এমন আক্ষেপ করে বিটিএ বলছে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে আগামি পাঁচ বছরে এ খাতের আয় পাঁচশ’ কোটি মার্কিন ডলারে নিতে পারবেন তারা।
বিসিকের কারণেই প্রকল্পে হযবরল অবস্থা- এমন অভিযোগ করে ট্যানারি মালিকরা বলছেন, গার্মেন্টস শিল্প সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের আমদানিতেই খাতটির রপ্তানি আয়ের ৭০-৮০ শতাংশ টাকা বিদেশে চলে যায়। বিপরীতে সবকিছু দেশে উৎপাদিত হয় বলে, চামড়া খাতের শতভাগ টাকাই থেকে যায় দেশে।
এম
মন্তব্য করুন