• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চামড়ার দাম কমলেও বেড়েছে পণ্যের

ইকরাম হোসেন

  ১৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:১০

গেলো ৪ বছরে কাঁচা চামড়ার দাম কমলেও, কয়েকগুণ বেড়েছে চামড়াজাত পণ্যের। ফলে এতিম-দুঃস্থরা বঞ্চিত হলেও ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন চামড়া দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকরা। পরিসংখ্যানও বলছে, দেশে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

গেলো ২ বছরে গরু-খাসির মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অথচ ৪ বছর ধরেই কোরবানির পশু চামড়ার দাম আগের বছরের চেয়ে কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ চামড়াজাত পণ্যের দাম কমেছে, এমন কথা শোনা দূরে থাক কল্পনাতেও আনেননি কেউ।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালে প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। পরের বছর তা কমিয়ে ধরা হয় ৭০-৭৫ টাকা, ২০১৫ সালে দর আরো কমিয়ে ৫০-৫৫ টাকা এবং এ বছর সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে ছিল ৪০ টাকা।

অনুসন্ধান বলছে, এক বর্গফুট কাঁচা চামড়া পাকা করতে দেড়শ’ থেকে সর্বোচ্চ আড়াইশ’ টাকা খরচ হয়। আর এক জোড়া জুতা তৈরিতে চামড়া লাগে ৩ বর্গফুট। অর্থাৎ, জুতা তৈরিতে চামড়া লাগে সাড়ে ৪শ’ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭শ’ টাকার। অথচ এসব জুতাই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একটি মানিব্যাগ বা পার্সে চামড়া লাগে ২ বর্গফুট ও ব্যাগে ৮ বর্গফুট। লাভ বেশি বলেই খাতটি নিয়ে ব্যাপক সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখেন সংশ্লিষ্টরা।

এতো গেলো দেশি বাজারের কথা। বিদেশের বাজার আরো সম্ভাবনাময়। হিসাব বলছে, কেবল আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালে ১০ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের ৪১ লাখ ৮০ হাজার জোড়া জুতা রপ্তানি হয়। আর ২০১৪ সালে ৬ কোটি ১৪ লাখ ডলারের ২৫ লাখ ৫৪ হাজার জোড়া জুতা রপ্তানি হয়। এছাড়া অন্য আরো পণ্য তো আছেই।

তৈরি পোশাক খাতের দেখানো পথ ধরে উঠে আসছে চামড়া শিল্পও। সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপে দেশের দ্বিতীয় রপ্তানি খাত হিসেবে সম্ভাবনার পাখা মেলতে শুরু করেছে এ শিল্প। এরই মধ্যে এ খাতের রপ্তানি আয় বছরে ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। বলছে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন।

চামড়া শিল্প এখন দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প খাত। ক্রমবর্ধমান এ খাতের উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এখন কেবল দরকার সম্মিলিত সহযোগিতা।

এম/ ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh