• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জরিমানা পোষাতে কোরবানির পশু চামড়ার দরপতন

ইকরাম হোসেন

  ১১ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:১৬

হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে জরিমানা পোষাতে এবার অভিনব কৌশল নিলেন এর মালিকরা। সিন্ডিকেট কারসাজিতে কোরবানির পশু চামড়ার দরের পতন ঘটিয়ে জরিমানা উসুলের চেষ্টায় তারা। এতে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্ষতির শিকার হয়েছে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানাও।

বগুড়ায় গেলো ১০ বছরে মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে কম ছিল চামড়ার দাম। তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ব্যবসায়ীরা বললেন, ঈদের দিন অনেক স্থানে ক্রেতাই যায়নি; পরদিন গেলেও যে দাম দিতে চেয়েছেন, তাতে বিক্রির বদলে সব চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলাকেই যৌক্তিক ভেবেছেন অনেকে।

বরিশালে মাত্র ৪০০ টাকায়ও গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। ছাগলেরটা বিক্রি হতে দেখা গেছে ১০ থেকে ২০ টাকায়।

খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার বাজার যশোরের রাজারহাট। এখানে ধস নেমেছে দামে; মিলছে না অর্ধেক মূল্যও। তার ওপর আবার বাড়তি ঝামেলা হলো, পাচার রোধে বাজার থেকে চামড়া ফিরিয়ে নিতেও দেবে না কর্তৃপক্ষ।

এভাবে সারাদেশে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোরবানির চামড়ার হকদাররাও। কারণ কোরবানিদাতারা পশু চামড়া বিক্রির টাকা এলাকার এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংসহ গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন। কেউ কেউ মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্যও দান করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ট্যানারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন।

আক্ষেপ করে তারা বলছেন, সারা বছর বড়জোর আড়াই হাজার কোটি টাকার চামড়া কেনে ট্যানারি মালিক ও রপ্তানিকারকরা। অথচ তারা বছরে রপ্তানি করে ৯ হাজার কোটি টাকার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে রপ্তানিকারকদের বছরে ১ হাজার সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেয় সরকার। তবুও কোরবানির ঈদ আসার আগে থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার আওয়াজ তুলে গরিবের হক কেড়ে নিচ্ছেন তারা।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh