লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে বিমান
লোকসানের তলানিতে থাকা জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’লাভের মুখ দেখা শুরু করেছে।
স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পরই যাত্রা শুরু করে জাতীয় পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। জন্মের ৪৬ বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে ডানা মেলে বিমান।
২০০৭ সালে কোম্পানি হওয়ার পর দু’বছর লাভের মুখ দেখলেও, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদ। টানা ৫ বছর লোকসানে থাকার পর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ফের লাভে ফেরে যার পরিমাণ ছিল ৩২৪ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরেও ২৭৬ কোটি লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি।
লাভ থেকে গেলো বছর কর হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩১০ কোটি টাকা জমাও দেয় বিমান। যাকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই টাকা আগের দেনা-পাওনা পরিশোধ করে কী-না তা স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে বিমান যখন কেবল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনি গেলো বছরের ৮ মার্চ কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। ফলে আগের অর্থবছরের চেয়ে আয় কমে সাত শতাংশ। আয় কিছুটা কমলেও বেড়েছে যাত্রীসংখ্যা। গেলো অর্থ বছরে বিমান যাত্রী বহন করে ২৩ লাখ ১৮ হাজার জন। ২০১৪-১৫ তে যা ছিল ২০ লাখ ২০ হাজার জন।
তবে বিমান মন্ত্রী জানালেন, বাংলাদেশ থেকে কেবল ইংল্যান্ড নয় যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও সরাসরি জিনিসপত্র যেতে পারে তাহলে আমরা যে ভাড়াটা পাবো সেটা লাভের দিকে গড়াবে।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিমানের বহরে যোগ করতে হবে নতুন নতুন উড়োজাহাজ। লাভের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি বলে মনে করেন।
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন