জারের পানি, কতোটা নিরাপদ? (ভিডিও)
রাজধানীতে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বাসা-বাড়িতে জারে ভরে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তার বেশির ভাগের গায়ে উল্লেখ নেই প্রতিষ্ঠানের নাম, উৎপাদন কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ। দামও রাখা হচ্ছে ইচ্ছে মতো।
রাজধানীতে সুপেয় পানির অভাবে জারের পানির ওপর নির্ভর করতে হয় নগরবাসীর একটা বড় অংশকে। তবে এসব জারের পানি কতটা বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সব জারে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তার বেশির ভাগের গায়ে লেখা থাকে না প্রতিষ্ঠানের নাম। উল্লেখ নেই উৎপাদন কিংবা মেয়াদউর্ত্তীণের তারিখ। ওয়াসার পানি ভরে সেসব বিক্রি করা হচ্ছে।
দামের ক্ষেত্রেও ঠকানো হচ্ছে ভোক্তাদের; কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে এসব অসাধু চক্র। বিশ লিটারের একটি জার বিক্রি করা হচ্ছে দশ থেকে আশি টাকায়। ক্ষেত্র বিশেষে সেটা গিয়ে ঠেকে একশ’ টাকারও ওপরে।
এদিকে, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)সভাপতি গোলাম রহমান এমন অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, পানি বোতলজাত করার ব্যবসায় জারা নিয়োজিত আছেন তারা অধিকাংশই প্রতারক। তারা আসলে ওয়াসার লাইনের পানি দিচ্ছে। সেখানে তাদের কাছে উন্নতমানের সেবা পাওয়ার আশাটা দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনারও তাগিদ দিলেন তিনি।
অন্যদিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, মুনাফার লোভে বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে বিশুদ্ধ পানি বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছে এসব প্রতিষ্ঠান। তারা লাইন থেকে জারে পানি ভর্তি করে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে তারা যা টাকা পাচ্ছে সেটা পুরোটাই লাভ।
তিনি আরো বলেন, অনেক বৈধ প্রতিষ্ঠান আছে যারা সঠিকভাবে পানি তৈরি করছেন। কিন্তু তারা সিন্ডিকেটের কারণে ঠিকভাবে পানি সরবরাহ করতে পারছেন না।
আরকে/এসএস
মন্তব্য করুন