খতনা অনুষ্ঠানে বিমানে গেলেন হিরো আলম
আলোচনা আর সমালোচনা পাত্তা না দিয়েই নিজের মতো করে এগিয়ে যাচ্ছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে বিমানে করে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে গেলেন তিনি।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তানভির ভাই নামের একজন ব্যবসায়ী তাকে রংপুরে নিয়ে আসছেন। তার ছেলের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষ করে আজ রাতে বিমানে করে ঢাকা ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন : টাইট জিন্স পরায় সংসদ থেকে বের করে দেয়া হল নারী এমপিকে
হিরো আলম আরও জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই খাতনা অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। এরপর রাত ৯টার ফ্লাইটে রাজধানী ঢাকায় ফিরবেন।
- আরও পড়ুন :
- যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন অর্ধেক হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা
- আমের খাঁচিতে সাপ, প্রাণ গেলো শফিকুলের
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হিরো আলম বিমান থেকে নামার পর বেসরকারি বিমান সংস্থার কর্মকর্তা থেকে কর্মীরা ছবি তোলার জন্য ভিড় করতে থাকেন হিরো আলমের কাছে। উদ্দেশ্য হিরো আলমের সঙ্গে সেলফি তোলা।
এসআর/
মন্তব্য করুন
কেমন ছিল নায়ক মান্নার ভিজিটিং কার্ড
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্রয়াত নায়ক মান্না। দুই যুগেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন মান্না; যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে। কিন্তু জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
সম্প্রতি এই চিত্রনায়কের দুটি ভিজিটিং কার্ড প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যে একটি কার্ডে দেখা যাচ্ছে, মান্নার পুরো নাম লেখা— এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। কার্ডে তার পদবি হিসেবে দেওয়া আছে— মুভি স্টার, প্রডিউসার, ও ডিস্ট্রিবিউটর জেনারেল সেক্রেটারি। ওই সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন মান্না।
কাকরাইলের ঠিকানাসহ ৯ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে মান্নার সেই ভিজিটিং কার্ডে। তবে ধারণা করা হয়, ২০০৮ সালে তিনি মারা যাওয়ার আগের সময়ের ভিজিটিং কার্ড এটি।
ওপর ভিজিটিং কার্ডটি হালকা ধূসর রঙের। খুব সম্ভবত এই কার্ডটি মান্নার ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ের হতে পারে। যে কার্ডে শুধুই তার মান্না নামটি ব্যবহার করেছেন। নামের নিচেই রয়েছে নায়কের পদবি মুভি স্টার এবং ফিল্ম প্রডিউসার। কার্ডের এক পাশে আছে মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের নাম ও ঠিকানা এবং আরেক পাশে তার ফোন নম্বর দেওয়া।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মান্না। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও। কিন্তু এই নায়কের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান মান্না। পরবর্তীতে কাজী হায়াত নির্মিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমা দিয়ে মান্না হয়ে ওঠেন পরিচালক-প্রযোজকদের নির্ভরযোগ্য নাম।
মান্নার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো— ‘আম্মাজান’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘লাল বাদশা’, ‘বীর’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘পিতা মাতার আমানত’সহ ইত্যাদি। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন মান্না।
বুর্জ খলিফায় প্রদর্শিত হবে শাকিবের সিনেমার ট্রেলার, ব্যয় হতে পারে যত টাকা
ঢালিপাড়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় প্রদর্শিত হবে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমার ট্রেলার। আগামী ২৮ মার্চ এই চিত্রনায়কের জন্মদিন উপলক্ষে ট্রেলারটি দেখানো হবে আকাশচুম্বী এই ভবনে। পাশাপাশি জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো হবে শাকিবকে।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটলে ভার্সেটাইল মিডিয়ার তরফে আয়োজিত হয় ‘ইফতার উইথ টিম রাজকুমার’। আর সেখানেই এমন ঘোষণা দেন সিনেমার প্রযোজক আরশাদ আদনান।
অন্যদিকে শাকিবের ‘দরদ’ সিনোমর নির্মাতা অনন্য মামুনও একই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনিও সিনেমাটির প্রচারণা চালাতে চান বুর্জ খলিফায়।
তবে বুর্জ খলিফায় যে কোনো সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য কত টাকা ব্যয় হয়? এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খায় অনেকের মনেই।
বিভিন্ন আন্তজার্তিক পোর্টাল ও মাধ্যম হতে জানা গেছে, ১৬৩ তলা বুর্জ খলিফায় একটি বিজ্ঞাপন বা বার্তা দেওয়ার জন্য খরচ হয় আমিরাতি দিরহাম আড়াই লক্ষ থেকে প্রায় এক মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম পর্যন্ত। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কিংবা সিনেমা প্রচারের খরচের হিসাব নির্ধারণ করে ‘বুর্জ খলিফা ইন ইমার’। সময় এবং দিনের হিসাব করে এই টাকা নিয়ে থাকে তারা। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এক পরিমাণ অর্থ এবং ছুটির দিন বাদে, ভিন্ন পরিমাণ অর্থ নেয় সংস্থাটি। আর সময়ের হিসাবে এক থেকে তিন মিনিটের কোনো বিজ্ঞাপন বা বার্তা প্রদর্শনের জন্য, এর সমপরিমাণ অর্থ নেয় তারা।
জানা গেছে, ছুটির দিন বাদে, এক থেকে তিন মিনিটের ভিডিও বার্তার জন্য আমিরাতি দিরহাম আড়াই লাখ দিরহাম নিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকাতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু সপ্তাহের ছুটির দিনে সাড়ে তিন লাখ আমিরাতি দিরহাম নেয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা।
সিনেমা, বিজ্ঞাপন কিংবা কোনো বার্তার পুরো প্রদর্শনগুলো পরিচালনা করে দুবাইভিত্তিক মার্কেটিং এজেন্সি ‘মুলেন লো মেনা’। শুধু তাই নয়, লাইভ হওয়ার চার সপ্তাহ আগে অর্থসহ সকল কিছু জমা দিতে হয় তাদের কাছে। পরে সেসব এটির মালিক ‘ইমার প্রপার্টিজ’ দ্বারা অনুমোদন করিয়ে নেয় তারা। এই ভিডিও প্রচারের সময়, ডিসপ্লেতে কোনো মিউজিক যোগ করলে সে ক্ষেত্রে আলাদা কোনো অর্থ দিতে হয় না তাদেরকে।
যে কারণে ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাসায় বুবলী
শবনম বুবলী ও শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। আর জন্মদিনের দিন চিত্রনায়কের গুলশানের বাসায় দেখা গেল বুবলী এবং বীরকে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে নিজের বাসায় দোয়া মাহফিল ও কোরআন খানির আয়োজন করেছিলেন শাকিব।
এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দেন বুবলী। চিত্রনায়িকার পোস্ট করা ছবিতেই সেসব দেখা যায়। শুধু তাই না, দাদির (শাকিব খানের মা) সঙ্গে কেক কাটেন বীর। এসময় পাশে ছিলেন বুবলীও। হয়তো শাকিবও ছিলেন সেখানে। কিন্তু বুবলীর ফ্রেমে ধরা দেননি তিনি।
ছেলের জন্মদিনের আয়োজনের ছবি শেয়ার করে বুবলী লিখেছেন, আজকের বাপজানের জন্মদিনের ব্যস্ততায় সবচেয়ে মিষ্টি কিছু মুহূর্ত। আমি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ— যেভাবে আপনারা শেহ্জাদকে ভালোবাসা দিয়ে আজকে সারাক্ষণ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন! অসংখ্য ধন্যবাদ! এভাবেই শেহজাদ বাবাকে সবসময় আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।
পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই ৪০ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে বুবলীর কমেন্টসবক্সে। অনেকেই এই ছবির নিচে বীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভ কামনা জানিয়েছেন বুবলীকেও।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বুবলীর দুটি সিনেমা। একটি ‘দেওয়ালের দেশ’এবং অপরটি ‘মায়া’। অন্যদিকে ঈদে মুক্তি পাবে শাকিবের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘রাজকুমার’।
চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়।
রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় মারা যান তিনি।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন পূজার মা। চিত্রনায়িকার মায়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।
তিনি জানান, ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। কয়েক সপ্তহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় আনা হয়। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন টু’ সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই নায়িকা। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পূজা। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি
মাকে ছাড়া কীভাবে থাকব : পূজা
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ঝর্ণা রায়। মাকে হারিয়ে শোকে কাতর পূজা। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
গণমাধ্যমে পূজা জানান, এমন শোক সহ্য করার শক্তি আপাতত খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
পূজা বলেন, এভাবে মামুনি আমাকে একা করে চলে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এই শোক কীভাবে ভুলব আমি। বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করব। মাকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন যুদ্ধ করে একাই আমাকে সেগুলো পূরণ করতে হবে। ভালো থেকো মা আমার। সবাই আমার মামুনির জন্য প্রার্থনা করবেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পূজার মা। ফেসবুক পোস্টে মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন নায়িকা। অভিনেত্রীর মা ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এরপর রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় এনে চিকিৎসকের পরামর্শে রাখা হয়। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ঝর্ণা আন্টি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। কয়েক সপ্তহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় আনা হয়। আজ হুট করেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন টু’ সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এই নায়িকা। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পূজা। এখনও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করলেন নিপুণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অভিনেতা শ্রাবণ শাহকে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই। ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে নিপুণের কিছুটা বিরুদ্ধে যাওয়ায় নাকি তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। শুধু শ্রাবণই নন, আরও ছয়জনের শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিপুণ বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শ্রাবণ বলেন, আমার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হলো জানতে চাইলে নিপুণ আপু তখন একটা স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট দেখায় আমাকে। মূলত স্ক্রিনশট ছিল— আমার ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস। আসলে চিত্রনায়িকা রত্না আপা আর আমি মিলে মজা করে আলাপ করছিলাম।
রত্না আপা ফেসবুকে লেখেন, দুজন এত ঝামেলায় না জড়িয়ে, একজন সভাপতি আরেকজন সাধারণ সম্পাদক হয়ে যাক। দ্বন্দ্বের অবসান হোক। রত্না আপার এই কথার সূত্রেই আমি লিখেছিলাম, সভাপতি পদে কাউকে না পাওয়া গেলে শেষে জায়েদ খানকে সভাপতি করে প্যানেল ঘোষণা দিয়ে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে না তো? আর সেটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।
নিপুণ আপু স্ক্রিনশটটি আমাকে দেখিয়ে বললেন, এই স্ট্যাটাসের কারণেই নাকি আমার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
অভিনেতা আরও বলেন, এই সামান্য কারণে আমার সদস্যপদ কেন স্থগিত করা হবে। আমি গত ১৯ তারিখে শিল্পী সমিতির সমস্ত চাঁদা পরিশোধ করেছি। আসলে বুঝতে পারছি না শিল্পী সমিতিতে এসব কী চলছে? ব্যক্তি আক্রোশ কেন ঝাড়া হচ্ছে?
অন্যদিকে এবার স্বতন্ত্র থেকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন শ্রাবণ। এটাও একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করেন এই অভিনেতা।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্য চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, কিছু সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা শুনেছি।
প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে আপন মানুষ চলচ্চিত্র করে আলোচনায় আসেন শ্রাবণ। সর্বশেষ কাজী হায়াতের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জয় বাংলা’ সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।
মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না : পরীমণি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়ান তারকারা। তারপর সেই বিবাদের সুত্র ধরে পাল্টাপাল্টি জবাব দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারকারা। গত ২১ মার্চ ছেলে বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন বার্তা দেন মা বুবলী।
এরপরই ফেসবুকে একটি রহস্যঘেরা পোস্ট দেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আর এতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। স্ট্যাটাস, পাল্টা স্ট্যাটাস নিয়ে রীতিমতো আলোচনায় ছিলেন এই দুই নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বুবলী-পরীর এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ চর্চা হয়ে আসছে নেটদুনিয়ায়।
এর মাঝেই হঠাৎ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। অনেকের ধারণা— বুবলী-পরীর মধ্যকার ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের প্রেক্ষাপট ধরেই এই পোস্টটি দিয়েছেন তিনি।
ওই স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন—‘যে বা যারা আমার শক্রর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, আজ থেকে কোনো দিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো।’
পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে নেটিজেনরা মনে করছেন, একজন পরিচালককে ইঙ্গিত করেই মূলত স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সেই নির্মাতাকে পরী ও বুবলী দুজনের সঙ্গেই প্রায় সময় দেখা যায়।
দুই নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরের কয়েক দিনও বিভিন্ন স্থানে বুবলীর সঙ্গে দেখা গেছে ওই নির্মাতাকে। আর এতেই খেপেছেন পরীমণি। সেই কারণেই নাকি এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে খোলসা করেননি, করতে চানওনি পরীমণি।
এ প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে পরীমণি বলেন, এই শত্রু পরিচালকও হতে পারে, আবার ভাই-বন্ধুও হতে পারে। বলব না। তবে যার বোঝা সে এতক্ষণে বুঝে গেছেন। অন্যদের না বুঝলেও চলবে।
চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, যে আমার শত্রু, তার সঙ্গে ঘটনার পরের সারা দিনই ওই মানুষটি ছিলেন। আহারে, আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাকে যেভাবে তিনি ভালোবাসা দেখান, এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে ভালোবেসেছিলাম, বিশ্বাস করেছিলাম, নানা সময়ে পাশেও দাঁড়িয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এসব আমার জন্য বৃথা, ভীষণ কষ্ট পেয়েছি আমি।
যাকে আপনি শত্রু ভেবে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তিনি এসে ক্ষমা চাইলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু আসলেও তাকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কখনোই হবে না। এ ধরনের বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি। আর কী জানতে চান?