• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিজ্ঞাপন-চলচ্চিত্রে বিদেশি শিল্পীদের কাজে কঠোর নীতিমালা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ জুন ২০২০, ১৮:৩৮
Strict policy on the work of foreign artists in advertisements and films
ছবি সংগৃহীত

বিদেশি শিল্পীদের দেশীয় বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে কাজের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা তৈরি হয়েছে। দেশের চলচ্চিত্রে বিদেশি অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী, সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২০ (সংশোধিত)’ জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

নতুন এই নির্দেশনার ক্ষেত্রে বিদেশি শিল্পীর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন তৈরিতে নির্মাতাকে প্রত্যেক বিদেশি শিল্পীর জন্য ৫ লাখ টাকা করে সরকারকে দিতে হবে। এছাড়া টিভি চ্যানেলের এককালীন প্রতি মিনিট ব্যাপ্তির ওই বিজ্ঞাপনের জন্য ১০ হাজার টাকা করেও দিতে হবে।

দেশীয় বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পী অংশগ্রহণের অনুমোদনের জন্য বিজ্ঞাপন নির্মাতা কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান সরাসরি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রযোজক/পরিচালক/প্রতিষ্ঠানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরির ক্ষেত্রে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে প্রত্যেক বিদেশি শিল্পীর জন্য ৫ লাখ টাকা এবং নির্মিত বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেলের এককালীন প্রতি মিনিট ব্যাপ্তির জন্য ১০ হাজার টাকা সরকারকে দিতে হবে।‘

বিনা পারিশ্রমিকে বিদেশি অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী, সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত শিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা যাবে না। শিল্পীদের সাথে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে পারিশ্রমিকের পরিমাণ ও পারিশ্রমিক পরিশোধের পদ্ধতি উল্লেখ থাকতে হবে। বিদেশি শিল্পীর প্রাপ্ত সম্মানী দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আয়কর ও ভ্যাটের আওতাভুক্ত হবে বলে সংশোধিত নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুমোদনের জন্য সুপারিশকৃত বিদেশি অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী, সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ক পারমিট গ্রহণ করতে হবে। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় চলচ্চিত্রে বিদেশি কণ্ঠশিল্পীর গাওয়া গান ব্যবহার করা যাবে। বিদেশি শিল্পী সরকার অনুমোদিত সময় পর্যন্ত দেশে অবস্থান করবেন। সরকারি অনুমোদন ছাড়া ভিন্ন কোনো ছবির কাজে বা বেসরকারি কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অনিবার্য কারণবশত পূর্বানুমোদিত শিল্পীর পরিবর্তন প্রয়োজন হলে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সরাসরি এবং চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্র/বিজ্ঞাপন নির্মাণের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে, নৈতিকতাহীনতা বা অশ্লীলতা ও বর্বরতা প্রদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় পরিলক্ষিত হলে মন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুমতি বাতিল হয়ে যাবে বলে সংশোধিত নীতিমালায় জানানো হয়েছে।

দেশীয় বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীর কাজ ও প্রচার নিয়ে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, বিজ্ঞাপনে বা চলচ্চিত্রে বিদেশি শিল্পীদের কাজ নিয়ে বিটিভির একটা নীতি ছিল। কিছু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে সেটিও আর অনুসরণ করা হচ্ছে না। আজকের নতুন নীতিমালাসহ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব নিয়ে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিদেশি চ্যানেলে বেআইনিভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদেশি টিভি ডাউনলিংকারী ও ক্যাবল অপারেটরদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছেন। ফের কঠোরভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আমাদের এই শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আমাদের শিল্পী সমিতি প্রথম মেয়াদ থেকেই বিদেশি শিল্পীদের সিনেমায় ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ নিয়ে সক্রিয় ছিলাম। সিলেটে অবৈধভাবে শুটিং করার সময় বাবা যাদব, রজতাভ দত্তসহ বেশ কজনকে সরকারের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করতে সম্ভব হয়েছি। বিদেশে গিয়ে কিন্তু আমরা ঠিকই রাজস্ব দিয়ে কাজ করি। অথচ আমাদের দেশে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশি শিল্পী দিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। শিল্পীদের প্রতি আমাদের কোনও মর্যাদা নেই। তারা আসুক সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ করুক। তবে এই নীতিমালার জন্য আমাদের শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাহেবকে কৃতজ্ঞতা। তিনি বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন এতে আমাদের সমস্ত শিল্পীরা খুশি।

বিষয়টি নিয়ে চিত্রনায়ক ওমর সানী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। যে উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে পুরোপুরিভাবে আমি একমত। এজন্য অভিভাবক হিসেবে কাজটি করার জন্য আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাহেবকে এবং আমাদের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দুজনকেই আমাদের সকল শিল্পীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।

এম/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যাদের হাতে সিনেমা নেই তারাই নির্বাচন করে : অনন্ত জলিল
ইলিয়াস কাঞ্চন সবচেয়ে বড় প্ল্যানবাজ লোক : জায়েদ খান
এবার নিপুণকে ফিরিয়ে দিলেন শাকিব খান
‘অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্তে বিচলিত নই’
X
Fresh