শাবনূরের প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের ইতিকথা
ঢাকাই ছবির তুমুল জনপ্রিয় নাম শাবনূর। তিনি এতটাই জনপ্রিয় অনেক নায়কই তার দর্শকপ্রিয়তার ওপরে ভর করে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন বলা হয়ে থাকে। লাখো তরুণের স্বপ্নকন্যা শাবনূর।
শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ খ্যাত এই নায়িকা হঠাৎ করেই আত্মগোপনে যান। বিভিন্ন সূত্রে ২০১৩ সালে শাবনূরের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। এই বিয়ের আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া-আসা বাড়িয়ে দেন তিনি। কারণ সেখানেই থাকতেন তার প্রেমিক অনিক।
জানা গেছে, ২০১০ সালে বজলুর রশীদ চৌধুরীর ‘বধূ তুমি কার’ ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অনিক। চলচ্চিত্র কাজের সূত্র ধরেই তাদের পরিচয়। সেখান থেকেই প্রেম ও বিয়ের সম্পর্কে জড়ান তারা।
জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে শাবনূর বিয়ের বিষয়টি চেপে রাখেন। অনিক বর্তমানে ব্যবসায় নিয়ে আছেন। শাবনূরকেও আর অভিনয়ে দেখা যায়নি।
শাবনূরের গোপন বিয়ের পর বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ্যে এলেও চুপ ছিলেন নায়িকা। ২০১৬ সালের শুরু দিকে প্রথমবার স্বামীকে সবার সামনে এসে পরিচয় করিয়ে দেন শাবনূর।
এদিকে নায়িকার বিয়ের তারিখ নিয়েও ছিল রহস্য। এতদিন শাবনূর বলেছেন, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর তার বিয়ে হয়েছে। অন্যদিকে অনিক বলেছেন, বিয়েটা হয়েছে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর।
পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অনিক বলেছিলেন, মূলত আমরা বিয়ে করেছি ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর তাকে আমার মা আংটি পরিয়েছিলেন। ভুলে হয়তো ওই তারিখটিকে বিয়ের তারিখ বলেছে।
এবার দীর্ঘ ৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন শাবনূর। গত ২৬ জানুয়ারি অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। শাবনূরের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিককে পাঠিয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর। তবে অনিকের অবস্থান জানা যায়নি। তার বাংলাদেশে ব্যবহার করা নম্বরটিতে আরটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি কেউ।
এম
মন্তব্য করুন