মারজুকের পাশে ফারুকী
দীর্ঘদিন পর কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেল বই প্রকাশিত হয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় তার লেখা কবিতার সংকলন ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে।
সম্প্রতি মারজুক রাসেলকে উদ্দেশ্য করে লেখক ও শিক্ষক আফজার হোসেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে লিখেছেন ‘মারজুক রাসেল কেডায় আসলে?’
তার দেয়া স্ট্যাটাসের কঠোর সমালোচনা করলেন নির্মাতা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী।
ফারুকীর সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস নিচে তুলে ধরা হলো
ফেসবুকে মতামত দেয়া থেকে বিরত আছি বহুকাল। কিন্তু একটা বিষয়ে হৈচৈ দেখে কথা না বলে পারলাম না। মারজুক রাসেলের কবিতার বই বিক্রি হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছেন। মারজুক আমার গভীর গোপনতম ভাই ব্রাদার। শুরুর দিকে ও যখন আমার সাথে থাকতে শুরু করে তখন থেকেই ওর উপর এলিটিস্ট অবজ্ঞা দেইখা আসতেছি। প্রথম থেইকাই এই অবজ্ঞারে ঝাঁটা মারাকে আমার পবিত্র দায়িত্ব হিসাবে আমি তুইলা নিছিলাম। সেটা করছি কোনও কথা না বইলা! একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়া।
এই অবজ্ঞার আরেকটা নমুনা দেখলাম আজফার হোসেনের পোস্টে। সেখানে উনি মারজুক রাসেল কেডা এটা জানতে চাইছেন। তা জানতে চাইতেই পারেন। না জানলে জানতে চাওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু এই ধরনের পোস্টের উদ্দেশ্য যে "জানতে চাওয়া" না হইয়া "তুচ্ছ করতে চাওয়াও" হইতে পারে এটা আজিকার শিশুরাও বোঝে। আজফার ভাইয়ের কাজ কর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সত্যিই যদি উনি জানতে চাইতেন তাহলে কাউরে জিগাইলেই পারতেন। বা ওর দুয়েকটা কবিতা ঘাইটা পড়লেও পারতেন। পড়ার পর উনার ভালো লাগতে পারতো, খারাপও লাগতে পারতো। উনি ভাবতেই পারতেন এই কবিতার বই কেনার কী আছে। মানুষের হরেক রুচি। কারও এইটা ভালো লাগে, তো আরেকজনের ঐটা ভালো লাগে। কেউ স্ট্রেট, কেউ গে।
কিন্তু এইটুকু পরিশ্রম না কইরা "জানতে চাওয়া" বিষয়ক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমার মনে হয় উনি কাউরে বাতিল করার এলিটিস্ট তরিকাটা অ্যাপ্লাই করলেন। উনার (এবং উনার মতো আরো অনুসন্ধিৎসুদের) সুবিধার্থে মারজুকের পরিচয় নীচে সংযুক্ত করা হইলো:
নাম: মারজুক রাসেল
মাতা: হোসনে আরা
পিতা: শেখ সিকান্দার
সাং: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
জন্ম সময়: ১৫ আগস্ট, কোনও এক সময়।
এম
মন্তব্য করুন