১৫ বছরে আরটিভি
কেন দেখতেই হবে আরটিভি (ভিডিও)
‘তোমায় নিয়ে গল্প আমার.., তোমাকে আসতে হবে.., আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে.., সময় ডেকেছিলো’। সময়ের সেই অপেক্ষা শেষে গণমানুষের স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যতের হাল ধরতে ১৪ বছর আগের এই দিনে যাত্রা শুরু করে দেশের পঞ্চম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি।
বর্তমানকে অবলম্বন করে, আগামীর স্বপ্ন বুনতেই ‘আজ এবং আগামী’র চ্যালেঞ্জে, গণমানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা নিয়ে এক-এক করে ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পা রাখলো দর্শকপ্রিয় চ্যানেলটি। দীর্ঘ এই পথপরিক্রমায় নানা চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে আরটিভিকে।
মানুষের কথা বলতেই প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গুরুত্ব ছিল সংবাদ বা সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ যেমন উঠে আসে তেমনি তুলে ধরা হয় দেশের সাফল্যগাঁথাও।
আর বিশেষ দিন মানেই আরটিভি। তা সে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’, মা দিবস, বন্ধু দিবস, বা রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী বা মৃত্যুবার্ষিকীই হোক! প্রতিটি দিনকে গুরুত্ব দিয়ে, দর্শকদের চাহিদা মাথায় রেখে সাজানো হয় অনুষ্ঠানমালা।
আবার হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের দিনে প্রচার করা হয় নানা অনুষ্ঠান। আর ঈদে তো কথাই নেই! এক এক করে টানা সাতদিন থাকে বর্ণাঢ্য সব অনুষ্ঠান।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করতে ঋতুভিত্তিক এমন সব অনুষ্ঠান মানেই আরটিভি। যেকোনো প্রয়োজনেরও দেশবাসীর পাশে থাকে আরটিভি।
নতুন প্রজন্মকে মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর দায়বোধ থেকে জাতীয় দিবসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায় আরটিভিতে।
তবে চ্যানেলটির আজকের এই মসৃণ পথচলার সঙ্গে মিশে আছে করুণ কিছু ঘটনা। প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছর পর ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগুনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় আরটিভি। এরপর, ২০১৪-তে আরও একবার পোড়ে আগুনে। তবে, দর্শকদের ভালোবাসাকে পুঁজি করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আন্তরিকতা ও শ্রম-ঘামে, রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকে উঠে দাঁড়ায় আরটিভি।
শুরু হয় ফের পথচলা। যোগ হয় বিষয়ভিত্তিক বা ঘটে যাওয়া ঘটনাভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, ‘গোলটেবিল’, ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ বা ‘আওয়ার ডেমোক্রেসি’র মতো অনুষ্ঠান।
সুস্থ বিনোদন মানেই আরটিভি। প্রতিদিন প্রচারিত সিনেমার সঙ্গে, একের পর এক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়ে দর্শকদের ভালোবাসায় প্রতিদিন হচ্ছে সমৃদ্ধ।
দেশীয় চলচ্চিত্রের খারাপ সময়েও, কাণ্ডারির ভূমিকায়, আরটিভি। ‘বেঙ্গল মাল্টি মিডিয়া’ পরিবেশিত, ‘আয়নাবাজি’ ‘যদি একদিন’, ‘সাপলুডু’- দেশের পর বিদেশেও দর্শকনন্দিত হয়েছে।
আর সব সবার মতো সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিও আছে সমান নজর। তাই তাদের অবদানের স্বীকৃতি বা সমাজের মূলধারায় প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টার কমতি নেই আরটিভির।
নিত্য-নতুন প্রত্যয়ে, ঝলমলে আগামীর জন্য আজকের হয়ে জেগে আছে গণমানুষের টেলিভিশন চ্যানেল- আরটিভি। দর্শকের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর ভালোবাসা নিয়ে যুগ যুগ বেঁচে থাকুক ১৫তম জন্মদিনে এমন শুভকামনা। শুভ জন্মদিন, আরটিভি!
এসএস
মন্তব্য করুন