অস্ত্র মামলা থেকে রেহাই পেলেন সালমান
হিট অ্যান্ড রান ও অস্ত্র মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বুধবার তাকে বেকসুর খালাস দেন যোধপুর আদালত।
আদালত জানায়, ১৯৯৮ সালে ‘কৃষ্ণসার হরিণ' শিকারের সময় সালমানের কাছে লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, তার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এদিন সাতসকালেই রাজস্থানের যোধপুরের ওই আদালতে পৌঁছান সালমান খান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বোন অ্যালভিরা। আদালতে ঢোকার পথে তাকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আদালত কক্ষে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ত্র মামলায় ‘বেনিফিট অব ডাউট’ পেয়ে যান অভিনেতা।
১৯৯৮ সালে রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় যোধপুরের জঙ্গলে শিকারে যান সালমান। অভিযোগ, লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তিনি দু’টো চিঙ্কারা ও দু’টো কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন। ওই ঘটনার সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু, নীলমসহ ওই ছবির অন্য শিল্পীরা।
ওই বছরই সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ থেকে এরই মধ্যে রেহাই পেয়েছেন তিনি।
তবে অভিযোগ ছিল, ওই শিকারের সময় তার সঙ্গের পিস্তল ও রাইফেলের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল এবং তা পুনরায় নবায়ন করা হয়নি।
অস্ত্র আইন অনুযায়ী, সালমানের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র রাখার মামলা হয়।
‘সাজন’ খ্যাত তারকার আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, কোনো আগ্নেয়াস্ত্র না, ওই সময় তার কাছে কেবল এয়ারগান ছিল। তিনি যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন তারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।
সালমান খানের দাবি, বনরক্ষীরাই তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এক সাক্ষী।
মামলা থেকে রেহাই পাবার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে টুইট করেন বলিউড অভিনেতা। ফ্যানদের সমর্থন ও শুভেচ্ছার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান সালমান খান।
এইচএম/ডিএইচ
মন্তব্য করুন