• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

রাজনীতি না করলেই ছাত্ররা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না: আবুল হায়াত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৪৮
আবরার ফাহাদ, হত্যা, বুয়েট, আন্দোলন, বরেণ্য অভিনেতা, আবুল হায়াত
আবুল হায়াত

ছাত্র রাজনীতি খারাপ নয়। ছাত্র রাজনীতির জন্য আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই ভালো জিনিস। কিন্তু যারা এটাকে পেছন থেকে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে আগামী দশ বছরের জন্য বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হোক- এমনটি বলেছেন বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ক্যাফেটেরিয়ার হল রুমের সামনে এ কথা বলেন অভিনেতা।

বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাবেক শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যজন আবুল হায়াতও এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র ও অ্যালামনাইয়ের সদস্য।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস করুন আমার স্ত্রী হাইপার-টেনশনের রোগী। কালকে থেকে প্রায় বিছানায় পড়ে আছেন। সে বলছে এই ছেলেটা তো আমাদেরও ছেলে হতে পারতো। এই ছেলেদের সাথে তো তুমি সেদিন অনুষ্ঠান করে আসলে না।

বুয়েটের অতীত পরিবেশ নিয়ে অভিনেতা বলেন, আমরা যখন বুয়েটে পড়েছি তখন এখানকার পরিবেশ এমন ছিল না। আমরা যখন আন্দোলন করতাম তখন ভিসি এসে আমাদের সামনে বসে থাকতেন। আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসতেন। কারণ তিনি আমাদেরকে নিজের সন্তান মনে করতেন।

আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা রাজনীতি না করলেই তারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। ১৯৬৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে সবচেয়ে বড় দল বের হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। প্রতিটি আন্দোলনে বুয়েটের অবদান অবশ্যই আছে। আমরা দেশ গড়ার জন্য পড়ি ও কাজ করি। বর্তমান ছাত্রদেরও সেই শান্তিতে পড়ার ও চলার সুযোগ তৈরি করা জরুরি।

অভিনেতা বলেন, আমি দুঃখিত! এই গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা শেরে বাংলা হলে ৫০ বছর পূর্তি পুনর্মিলন অনুষ্ঠান করেছি। আরও দুর্ভাগ্য আমার এই ছেলেগুলোকে আমি চিনি। গত বছর যখন হলফেস্ট হলো তখন এরা আমাকে ফোন করেছিল। যে হায়াত ভাই আপনি অবশ্যই আসবেন। আমরা পুরোনো ছাত্রদেরকে চাই। আমি এসেছিলাম। আরও অনেকে এসেছিল।

বুয়েট প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে বুয়েটে ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। সেসময় আমরা হলের প্রভোস্টকে বললাম আমাদেরকে সহায়তা করতে। আমরা বললাম, আমরা বর্তমান ছাত্র পরিষদকেও আমাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে যুক্ত করতে চাই। তিনি জানালেন, হলে কোনও ছাত্র পরিষদ নেই। আমি বললাম, তাহলে ছাত্রদের দেখাশোনা কে করেন। তিনি বললেন, আছে কিছু ছাত্র যারা নিজেরা-নিজেরাই তা করে। আমি বললাম, আপনি কি হলে যান না? তিনি বললেন, না আমি ওপরের দিকে খুব একটা যাই না। কারণ আমাকে ওরা নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে। এই যে শিক্ষক ও ছাত্রদের মাঝে এমন দূরত্ব ও প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা তো হওয়ার কথা ছিল না।

এমনকি আমরা ভিসিকে আমাদের অনুষ্ঠানের জন্য একটি চিঠি দিয়ে দেড় মাস অপেক্ষা করেছি। এবং তিনি বিশেষ অতিথি হয়ে আসবেন বলে কথা দিয়েও আসেননি। এখন একজন ভিসিকে আমরা কী বলতে পারি? তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান। আমাদের চোখের সামনে এখনো ড. রশিদ, ড. নাসের, শাহজাহান এইসব ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।

উল্লেখ্য, বরেণ্য এই অভিনেতা ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটে পড়ার সময় তিনি শেরে বাংলা হলে থাকতেন। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করেন তিনি। ১৯৬৮ সালে ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। যদিও পরবর্তীতে অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

জিএ/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
‘ইসরায়েলি ভাস্করের পুরস্কার নিয়ে গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন ড. ইউনূস’
গাজায় গণহত্যা চলছেই, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানছে না ইসরায়েল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানি পেছাল
X
Fresh