শমী কায়সারের স্মার্টফোন চুরি নিয়ে সেদিন যা ঘটেছিল
গেল ২৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন চুরি হয়। অভিযোগ আছে, এই ঘটনায় তিনি ও তার নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রেখে তল্লাশি করেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা বেশ আশাহত হন। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে শমীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাছান।
তবে সেই দিনের মূল বিষয় নিয়ে আজও প্রশ্ন আছে জনমনে। কেন তিনি এমনটি করলেন। যেহেতু বাবার পরিচয়ের সুবাদে তিনি অনেকটা পরিচিত। বাবা শহীদ সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার। আর সাংবাদিক বাবার সন্তান হিসেবে তার এমন আচরণ মানতে পারেননি গণমাধ্যমকর্মীরা।
২৪ এপ্রিলের ঘটনা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই বলেন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শমী কায়সার। ওইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তিনি জানান, তার দুটি মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন উপস্থিত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হতভম্ব হয়ে যান। তবে বিষয়টি নেতিবাচক রূপ নেয় যখন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল গেট বন্ধ করে উপস্থিত সবার দেহ তল্লাশি করার কথা বলে।
সাংবাদিকরা তাতে সম্মতি দেন। দেহ তল্লাশি শেষে সাংবাদিকরা বের হওয়ার সময় শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলেন।পরবর্তীতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হন।
একপর্যায়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সাংবাদিকরা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার উদ্যোগ নেন। দেখা যায়, অনুষ্ঠানের লাইটিংয়ের দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মী মোবাইল দুটি নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের হেনস্তা করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। পরবর্তীতে শমী কায়সারও ক্ষমা চান। ততক্ষণে বিষয়টি গণমাধ্যমে পৌঁছে যায়। এক সময় তা মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
জিএ/ এমকে
মন্তব্য করুন