• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানোয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভ

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৫ জুন ২০১৯, ১৬:৫৬

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কৃতিজনদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এই বাজেট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অধিকাংশ মানুষই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের ক্ষোভ ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন আরটিভি অনলাইনকে।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃতি খাতে মূল বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৫৭৫ কোটি টাকা, যা গতবছরের চেয়ে ৫০ কোটি টাকা কম। গেল বছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৫১০ কোটি এবং সংশোধিত বাজেট ছিল ৬২৫ কোটি টাকা।

এ নিয়ে সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, দেশব্যাপী শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চার প্রসার ঘটাতে হলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, মূল বাজেটের এক শতাংশ করা হোক সংস্কৃতিখাতে বরাদ্দ।

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলেন, চলচ্চিত্র খাতের বরাদ্দ আরেকটু বাড়ানো যেত। এবার যেটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটা সামগ্রিক বরাদ্দের তুলনায় সামান্যই বলবো। চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই খাতে রাষ্ট্রের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি। তবে সামগ্রিক বাজেট সন্তোষজনক। এই বাজেট দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।

নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, মূল বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানাই। সরকার নিশ্চয়ই চায় না, আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস হোক। সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের কাছে আমরা এই বাজেট আশা করি না। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবিটি মেনে নেবেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এই বাজেট দেখে আমরা হতাশ। সংস্কৃতিখাতে মূল বাজেটের ১ শতাংশ করার দাবি ছিল আমাদের। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার। তাই আমাদের প্রত্যাশাও তাদের কাছে বেশি। এখনও যেহেতু বাজেট পাস হয়নি, সামনে সময় ও সুযোগ আছে। তাই আমরা চাইবো আমাদের সংস্কৃতিকর্মীদের প্রত্যাশা সংস্কৃতি খাতে বাজেট বাড়ানো হোক।

বাজেট কমার পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারীর ওপর মূসক আরোপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শিল্পী-কুশলীরাও। বিশেষ করে নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের একটি কমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে দুদিন ধরে। সেটি এমন-‘টেলিভিশনের এখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছে! সবাই বাজেট বাড়ানো নিয়ে কথা বলছে, প্রফেশনালিজম নিয়ে কথা হচ্ছে! কিন্তু ঠিক সেই সময়ে সরকার টেলিভিশন এবং অনলাইন অনুষ্ঠান সরবরাহের ওপরে নতুন করে মূসক বসালেন বাজেটে! একটি রুগ্ন শিল্পকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিলেন! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাঁচতে দিন, টেলিভিশন ও অনলাইন অনুষ্ঠানের মূসক প্রত্যাহার করুন।’

এই স্ট্যাটাসটি অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ, তমালিকা কর্মকার, নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, পিকলু চৌধুরীসহ টিভি অঙ্গনের বেশিরভাগ শিল্পী-কুশলীরা ফেসবুকে শেয়ার করছেন।

এদিকে আজ শনিবার (১৫ জুন) বিকেল পাঁচটায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ সভা ডেকেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান। ঢাকা মহানগর অঞ্চলের আয়োজনে সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশপথের মুখে বসবে এ সভা। একই সময়ে সারাদেশে প্রতিবাদ সভা করবে ফেডারেশানের সব শাখা। অপরদিকে আজ সকালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সংবাদ সম্মেলন করে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

এম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কর নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে  
X
Fresh