• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিরতির আগে দর্শক হাসছেন বিরতির পর কাঁদছেন!

এ এইচ মুরাদ, আরটিভি অনলাইন

  ০৬ জুন ২০১৯, ১২:১৬

সিনেমার শেষভাগে দুষ্টের দমন হবে, শিষ্টের পালন হবে। যেকোনো ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রেই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অশ্লীলতার কালো অধ্যায়ের সময়ও এই ফর্মুলা ধরে রাখা হয়েছিল। সিনেমা দেখে মানুষ বিনোদনের পাশাপাশি কোনও একটা তথ্য বা কিছু শিখে ঘরে ফিরবেন। আর এই বিষয়টির দিকে পরিচালকরা জেনে বুঝে বা না বুঝেও তা করে থাকেন।

ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে গল্পের সংকট। গেল কয়েক বছর ধরে হুবহু নকল গল্পের ছবি নির্মাণ হচ্ছে। মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে ইন্ডাস্ট্রি। গল্প নকল সেই সঙ্গে দুর্বল নির্মাণ দেখে দর্শকরা বিরক্ত। তাইতো 'আয়নাবাজি', 'দেবী', 'যদি একদিন'র মতো মৌলিক গল্পের ছবি শুরুতে কম হলে মুক্তি পেলেও দর্শক আগ্রহের কারণের প্রেক্ষাগৃহে দিনের পর দিন চলেছে। অন্যদিকে অনেক বিগ বাজেটের নকল ছবি সুপারস্টার নিয়েও হালে পানি পায়নি। কারণ মানুষ ওই ছবিগুলোর অরিজিনাল ভার্সন আগেই টেলিভিশন বা অনলাইনে দেখে ফেলেছেন।

নকল ছবি নিয়ে বিরক্ত সিনেমা হল মালিকরাও। কথা প্রসঙ্গে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ আরটিভি অনলাইনকে বলছিলেন, আমাদের আশে পাশের গল্প নিয়েই অনেক সুন্দর ছবি নির্মিত হতে পারে। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে, রোমান্টিক, পারিবারিক, মুক্তিযুদ্ধের ছবি। অনেক সাবজেক্ট আছে ছবি নির্মাণের। খান আতা (চলচ্চিত্র নির্মাতা খান আতাউর রহমান) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দারুণ ছবি বানিয়েছেন।

তিনি আর বলেন, বর্তমানে আমাদের গল্পের অভাব। একটা সময় আমরাও ছবি প্রযোজনা করেছি। কাহিনীকার, গীতিকার তাদের আমরা পাঁচতারকা হোটেলে রেখে লেখার দায়িত্ব দিতাম। এটা তাদের পারিশ্রমিকের বাইরে ছিল। সব খরচ আমরা দিতাম। 'যেওনা সাথী, চলেছো...' মতো এমন কালজয়ী গান তো সেখান থেকেই হয়েছে। আগেরদিনেও বাইরের ছবির সত্ত্ব কিনে এদেশের নির্মাতা ছবি করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে আসল ছবির চেয়ে তারা ভালো নির্মাণ করেছেন। এখনকার চলচ্চিত্র পরিচালকদের উচিত আগের সেইসব কালজয়ী ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করা। সিনিয়র পরিচালক, কাহিনীকারদের সঙ্গে গল্প নিয়ে কথা বলা। সবাই মিলিতভাবে কাজ করলেই ভালো ছবি করা সম্ভব।