কারিনাপুত্রকে নিয়ে আলোচনার ঝড়

পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকেই নানা আলোচনা তৈরি করছেন তৈমুর আলী খান পাতৌদি।। অনেকে বলছেন, অনলাইনে প্রকাশ হওয়া সাইফ-কারিনার ছেলের ছবিগুলো ভুয়া। আবার অনেকে বলছেন, ছবিগুলো আসল। কারণ, কয়েকটি ছবিতে কারিনার বালিশে হাসপাতালের নামের কিছু অক্ষর দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে সাইফ-কারিনার মুখপাত্র জানান, ২০ ডিসেম্বর তৈমুরের জন্মের পরপরই যে ছবিগুলো ছড়ায়, সেগুলো ছিল ভুয়া। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ছবিগুলো সত্যিই তৈমুরের কি না, এ বিষয়ে সাইফ আলি খানও নিশ্চিত করেননি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, গেলো মঙ্গলবার জন্মের ঘণ্টা খানেক পরই ভাইরাল হয়ে যায় মা কারিনার সঙ্গে তৈমুরের ছবি। মুম্বাইয়ের ওই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে জন্ম নেয় বাবা সাইফও। সেখানকার একটি ছবিতে কারিনার বালিশে দেখা গেছে ‘ব্রিচ’ শব্দটির অংশবিশেষ। আরেকটিতে লেখা পাওয়া যায়নি। তবে ২২ ডিসেম্বর যে ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়, সেটিতে দেখা গেছে সাইফ-কারিনা ও তৈমুরকে। সেখানেও ছিল ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নামের অংশবিশেষ। মূলত যেসব ছবিতে ব্রিচ লেখা পাওয়া যায়নি সেগুলোই নকল বলে ধরা হচ্ছে। তবে কোনগুলো আসল বা নকল তা নিয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে এ তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুর্ধর্ষ স্বৈরাচারী শাসক তৈমুর লংয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন। আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, বাগদাদ ও জর্জিয়ার বিরাট অংশজুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করেন তৈমুর।

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের সঙ্গেও তৈমুর নামটি জড়িত। তার বংশধর হলো ৩শ’ বছর ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর। ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি দখলের অভিযানে কয়েক হাজার ভারতীয়কে হত্যা করেন তৈমুর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আশিস মহারিশি নামের ব্যক্তি লিখেছেন, তৈমুর আরবি নাম না। এটা তুর্কি ভাষা থেকে নেয়া। এর অর্থ হলো লোহা বা শক্তিশালী কেউ।

অনেকের ভাষ্যমতে, সবচেয়ে বর্বর ও হিংস্র খুনিদের একজন ছিলেন তৈমুর। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যোদ্ধা তিনিই। কীভাবে এমন নাম রাখা হলো? কেউ আবার বলছেন, ২০৩৭ সালে যদি কোনো ছেলে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে নিজেকে তৈমুর আলী খান পাতৌদি বলে পরিচয় দেয় তাহলে মেয়েরা আগেই জানিয়ে দেবে আমার প্রেমিক আছে!

তৈমুরের জন্মের পর থেকে এতো বেশি আলোচনা হয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সুবাদে এখন কারিনাপুত্রই সবচেয়ে বড় তারকা!

এইচএম /ডিএইচ