• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

১৫ বছরে ‘সিসিমপুর’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৫

হালুম, টুকটুকি, ইকরি কিংবা শিকু- আমাদের দেশের শিশুদের কাছে এই নামগুলো অতি পরিচিত। জনপ্রিয় শিশুতোষ সিরিজ সিমিমপুরের মাধ্যমে শিশুরা এই নামগুলো মনে গেঁথে নিয়েছে। ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে’ লাইনটা শোনা মাত্রই শিশুদের মধ্যে অন্যরকমের একটি অনুভূতি কাজ করে। শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৫ সালে টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’র যাত্রা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি ১৪ পেরিয়ে ১৫তম বছরে পৌঁছেছে অনুষ্ঠানটি।

চৌদ্দ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে ৩ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে।

বর্তমানে সিসিমপুর অনুষ্ঠানের একাদশ সিজন চলছে। শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর মাধ্যমে সারাদেশের প্রায় ১ কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, যেমন- চ্যানেল আই, দেশ টিভি ও চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি আরটিভি ও বিটিভি’তে প্রচারিত হচ্ছে।

২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত একটি জরিপে সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে শীর্ষস্থানীয় এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হয়েছে।

২০০৭ সালে এসিপিআর এর একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে এমন শিশুরা অনুষ্ঠানটি না দেখা শিশুদের থেকে মানসিক দিক থেকে এক বছরের বড়। এরা ভাষা ও বর্ণ, গণিত এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।

বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর যৌথ অর্থায়নে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সহযোগিতায় ২০১০ সাল থেকে “সিসিমপুর আউটরিচ প্রকল্প”টি দেশের ৬৪টি জেলায় ৩৩৪০টি স্কুলে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও সিসিমপুর প্রতিনিয়ত নানাধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সকল কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। অনুষ্ঠানটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে শুরু থেকে এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন লিমিটেড।

সিসিমপুরের মূলমন্ত্র: পৃথিবীটা দেখছি, প্রতিদিন শিখছি। আর তাই তো, ১৫ পেরিয়ে ২০, ৫০, ১০০ বছর... একদিন সূর্যের সমান প্রাচীন হবার স্বপ্ন নিয়ে চলছে সিসিমপুর, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর প্রাক-শৈশবকে পূর্ণাঙ্গ ও বিকশিত করবে বলে।

জিএ/এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘গত ১৫ বছরে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে’
শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন ১৬ 
রিটেন পাসের ১৫ বছর পর বিসিএসের ভাইভায় ডাক পেলেন দেবদাস
১৫ বছরে ৭৭৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক পুলিশ 
X
Fresh