• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নেশাই এখন পেশা অনিকের

আফরিন মিম

  ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৩২

আহনাফ খান অনিকের কাছে গিটার কোনো বাদ্যযন্ত্র না, যেন একটা ভালোবাসা। কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাননি। তালিম নিতে বড় কোনো গুরুর দীক্ষা লাভেরও সুযোগও পাননি। ভালোবাসতে গিয়েই শিখেছেন গিটারে সুর তোলা, গড়েছেন ক্যারিয়ার।

শুরুটা কীভাবে- প্রশ্নটা শুনে ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরলেন যেন। একটু অন্যমনস্ক হয়ে বললেন, ‘২০০৬ সাল। শখ করে কেনা একটা গিটার ছিল। ওইটাই বাজাইতাম ভুলভাল। পরে এক বড় ভাই-নাম বিপু, বাসায় আসতেন। তার থেকে কর্ড ধরাটা দেখে নিয়েছিলাম। সেই থেকে শুরু।'

অনিক বলেন, 'বিপু ভাইয়ের বাজানো দেখে খুবই আগ্রহ হইতো। এত্ত কিছু বাজাইতো একটা গিটারে! খুবই অদ্ভুত!' অনিক পরে ডেভিড গিলমোর, মার্ক নফলার এবং এরিক ক্ল্যাপটন এদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন।

কয়েক বছর আগে শুরু করলেও এরই মধ্যে অনিকের পরিচিতি বেশ। বাংলা ফাইভ, দ্যা আরমীন মুসা ব্যান্ড, লিমনেড এই তিনটি ব্যান্ডদলে লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি ফ্রিলান্স্যার হিসেবেও তার অভিজ্ঞতা কম না। গিটারের পাশাপাশি তিনি ম্যান্ডোলিন এবং ইউকেলেলেও বাজান।

অনিক মিউজিকের আর এন্ড বি এবং জ্যাজ জনরা পছন্দ করেন।

অনিকের পরিবারের সদস্যরা পড়াশুনার পাশাপাশি গিটার বাজানোর সমর্থন করলেও ক্যারিয়ার হিসেবে সমর্থন করতেন না। তারা চাইতেন সে পড়াশুনা শেষ করে ভালো চাকরি করুক। কিন্তু জীবনে মিউজিসিয়ান হওয়াটাই ছিল তার লক্ষ্য। এটা তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে অন্যরকমভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে।

তরুণদের মধ্যে যারা মিউজিসিয়ান হতে চায় তাদের প্রতি অনিকের পরামর্শ হলো, “মিউজিককে শুরুতে কোনোভাবেই পেশা হিসেবে চিন্তা করা যাবে না। এটাকে নেশা হিসেবে চিন্তা করতে হবে। ভালো হলে নেশার জায়গাটা পেশায় চলে আসবে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানান, “ওভাবে ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু ভাবি না। আমি 'লিভ ইন দ্যা মোমেন্ট' টাইপের মানুষ। আজকে যা হচ্ছে তা চলুক। কালকে কি হবে কালকে দেখা যাবে। আজকেরটা প্রপারলি করা লাগবে। প্রপার হইলে কালকে ডাক আসবে। নাইলে আসবেনা।”

অনিক স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজে পড়াশুনা করেছেন। ভ্রমণপ্রিয় অনিক অবসরে রান্না করতে ভালোবাসেন।

বাংলাদেশে ক্যারিয়ার হিসেবে মিউজিসিয়ানদের সুযোগ কেমন জানতে চাইলে অনিক বলেন, “মিউজিসিয়ান হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ খুবই ভালো। ব্যাপার একটাই, ট্রেন মিস করা যাবে না। ট্রেন হাতে গোনা ৩-৪ বার আসবে। ঠিক প্ল্যাটফর্মে এগোতে হবে। আর নিজের টোনাল এবং প্লেয়িং'র একটা সিগনেচার বানাতে হবে।”

তিনি বলেন, “পুরো গানে অনেক বাজানোর জায়গা থাকে, কিন্তু এর মধ্যে একটা কাজ এ রকম হতে হবে যেটা শুনলে মনে হবে যে, এটা নতুন কিছু। ইন্ডাস্ট্রি ছোট কিন্তু দুর্দান্ত সব মিউজিসিয়ান আছেন। প্রতিযোগিতা অনেক। এটাকে প্রতিযোগিতা হিসেবে নয়। নিজের জায়গা থেকে শতভাগ কাজ করতে হবে।”

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ক্যানসার জয় করে গানে ফিরলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী গিটারিস্ট
X
Fresh