• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গম্ভীরায় নানা-নাতির হাট বসেছিল বকুলতলায়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:০০

গম্ভীরা'র মাধ্যমে লোকসঙ্গীতের উজ্জ্বল ধারা গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে শেষ হলো প্রথম জাতীয় গম্ভীরা উৎসব-২০১৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার বকুলতলায় সমাপনী দিনে গম্ভীরা পরিবেশন করে পাঁচটি দল।

দলগুলো হলো- কল্লোল-সুমনের আদি গম্ভীরা দল, শাহ্জামাল-মনিরের রসকস গম্ভীরা দল, শিশ মোহাম্মদ-সিতেশ’র চাঁপাই নকশী গম্ভীরা দল, ইসমত-সাবিনা’র প্রভাতী গম্ভীরা দল এবং জাহাঙ্গীর-আজিমের পরিবেশনায় প্রয়াস ফোক থিয়েটার।

শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত দলগুলোর পরিবেশনায় মুখর ছিল চারুকলার বকুলতলা উন্মুক্ত চত্বর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ ফুটে ওঠে নানা-নাতির গম্ভীরায়।

সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাষায় গম্ভীরা নামের যে শিল্পটি আছে তা আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। যারা গম্ভীরা উপস্থাপন করেন তাদের শুধু অভিনয় ও গান গাইলেই হয় না। গম্ভীরা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি প্রতিবাদেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ শিল্পটি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের ধারায় গম্ভীরার অবদান অনস্বীকার্য। সরকার যে সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে তাতে গম্ভীরা একটি সাংস্কৃতিক গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে।’

আয়োজক সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন দিয়াড়'র আহ্ববায়ক মুখলেসুর রহমান মুকুল ও সদস্যসচিব আনোয়ার হক বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো এ উৎসব শুরু হয় শুক্রবার বিকেলে। দু'দিনের গম্ভীরা উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ওইদিন আলাদা পাঁচটি গম্ভীরা দল তাদের চমৎকার পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করে।


উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লোকসঙ্গীতের অন্যতম আকর্ষণীয় ধারা গম্ভীরা। মূলত এ দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও ভারতের মালদা অঞ্চলে গম্ভীরার উৎস এবং প্রসার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের গম্ভীরার মুখ্য চরিত্রে নানা-নাতি সব এলাকা ও বয়সী মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।

'দিয়াড়' সদস্যসচিব আনোয়ার হক জানান, জাতীয় গম্ভীরা উৎসব দিয়ে যে ধারার সূচনা হলো, তা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে আলকাপ, কাহানী, বিয়ের গীত, ঝার্নিখেলা, লাঠিখেলা'র মতো লোকসংস্কৃতি নিয়ে উৎসব-গবেষণা-প্রকাশনাসহ ধারাবাহিক কার্যক্রম চালাবে 'দিয়াড়'।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh