আমজাদ হোসেনের মরহেদ আনা হবে শুক্রবার
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, গীতিকার, অভিনেতাসহ আরও অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা চলছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
কিন্তু প্রথম দিকে ছুটির ফাঁদে এবং কিছু জটিলতায় আটকে যায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হবে।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক জানান, এরই মধ্যে ব্যাংকক থেকে মরদেহ আনার সব প্রক্রিয়া শেষের দিকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার না হলেও শুক্রবারের মধ্যে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হবে।
আমজাদ হোসেন ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’র মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন। এছাড়া জাতীয়ভাবে তিনি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
এম/এসজেড
মন্তব্য করুন