আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক শোক বার্তায় তারা এ কিংবদন্তি নির্মাতার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আজ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা চলছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আমজাদ হোসেন গত ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪২ লাখ টাকা দেন। এরপর ২৭ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয়। আমজাদ হোসেন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘তোমার আমার’। এরপর অভিনয় করেন ‘হারানো দিন’ ছবিতে।
পরিচালক হিসেবে তিনি নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমজাদ হোসেন ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’র মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন। এছাড়া জাতীয়ভাবে তিনি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আমজাদ হোসেন নেই। তিনি বেঁচে থাকবেন অসংখ্য ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তার অসাধারণ কাজের কথা মনে থাকবেন। তরুণরা তার নির্মিত চলচ্চিত্র, লেখা গান, অভিনয় থেকে শিক্ষা নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে আরও সমৃদ্ধ করবে এমনটাই প্রত্যাশা তার সহকর্মীদের।
এম/পি
মন্তব্য করুন