অপূর্ব-সিফাতের ‘নাটকীয় প্রেম’
ঘড়িতে রাত দুটোর বেশি বাজে। একটা মূর্তিকে চোরের মতোই এদিক-ওদিক ঘুরঘুর করতে দেখা যায় মাজেদা বেগমের বাড়িতে। মুনিয়ার ঘরে চোরমূর্তি দরজা খুলে উঁকি দিয়ে দেখে কেউ নেই।
ফাঁকা ঘরে চুরি করতে সুবিধে হবে, এমনটা ভেবেই হয়তো চোর মূর্তি ঢুকে পড়ে মুনিয়ার ঘরে। অন্যদিকে মাজেদা বেগম ঘুম ভেঙে পানি খেতে ডাইনিংয়ে আসলে মুনিয়ার ঘরে আলো জ্বলতে দেখে উৎসুক হয়ে ওঠেন। দরজার ফাঁকা দিয়ে তাকাতেই যেন চোর দেখতে পেয়ে আঁৎকে ওঠেন।
সকালে মুনিয়া অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা অজ্ঞান চোরের দিকে। মাজেদা বেগম জানায় রাতের ঘটনা। চোরের জ্ঞান ফিরবার আগেই পুলিশে কল করতে চাইলে মুনিয়া তাকে বাধা দেয়।
জানায় লোকটার আসল পরিচয় না জেনে পুলিশকে কল করা ঠিক হবে না। তার উপর মাজেদা বেগম তাকে আঘাত করেছে। এখনও জ্ঞান ফেরেনি। দেখে তো ভদ্র ঘরের ছেলেই মনে হচ্ছে। যদি খারাপ কিছু হয়ে থাকে তাহলে তো পুলিশ এসে উল্টো মাজেদা বেগমকেই ধরবে।
মেয়ের কথায় মাজেদা বেগম যেন কিছুটা শঙ্কিত হয়ে ওঠে। দ্রুত তার এক ডাক্তার বান্ধবীকে ফোন করে সাহায্যের জন্য। ডাক্তার আসবার পরে চোরের বাধন খুলে চেয়ার থেকে নিয়ে এসে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
জ্ঞান ফিরলে বোঝা যায় মাথায় আঘাত লাগার ফলে চোর তার স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে। কিছুই মনে করতে পারছে না। মহা বিপদে পড়ে গেল।
একদিন বান্ধবীর সাথে মাজেদা বেগম বাইরে গেলে মুনিয়া এসে চোরকে ইভান বলে ডাকলে বোঝা যায় ছেলেটা মুনিয়ার পরিচিত। একপর্যায়ে ইভান হেসে উঠলে বোঝা যায় তার আসলে স্মৃতিশক্তি হারায়নি। এতোক্ষণ সে অভিনয় করছিল। ইভানের সাথে মুনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক।
এমন কাহিনি ঘিরেই গড়ে উঠেছে ‘নাটকীয় প্রেম’ শিরোনামের একক নাটকের গল্প। এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্ব ও নাইরুজ সিফাত।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। আরও অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, পীরজাদা হারুনসহ অনেকে।
নাটকটি প্রচারিত হবে ৮ ডিসেম্বর শনিবার রাত ৮টায় জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আরটিভিতে দেখানো হবে।
আরও পড়ুন :
এম/পিআর
মন্তব্য করুন