• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাচ্চু ভাইকে নিয়ে এতো স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না: আসিফ আকবর

এ এইচ মুরাদ, আরটিভি অনলাইন

  ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০২
ছবি সংগৃহীত

মন খারাপের দিন। ১৮ অক্টোবর। এদিন আমরা হারিয়েছি দেশীয় ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সারা বাংলাদেশ স্তব্ধ। তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন সহকর্মীরাও। কেউই এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। নশ্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে। এটা চরম ও কঠিন একটি সত্য। কিন্তু কিছু মৃত্যু আছে যা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়াটা কঠিন হয়ে যায়। মানতে কষ্ট হয়। প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া ব্যথিত করে তোলে প্রতিটি প্রাণ।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চাইলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে
-------------------------------------------------------

আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর রাতেই কথা হলো জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে। তাদের সম্পর্ক ছিল বড় ভাই ছোট ভাইয়ের মতো। এদিন ‘গহীনের গান’ ছবির শুটিং-এর কথা ছিল আসিফের। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। একটা পর্যায়ে শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যান। এদিকে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছামাত্র গহীনের গান-এর শুটিং বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রযোজক-পরিচালক।

ইউনিটের সবাইকে সান্ত্বনা দেয়ার পর রাতে নিজের অফিসে ফেরেন আসিফ আকবর। সেখানেই আরটিভি অনলাইনের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে কথা হয়। এসময় আসিফকে বেশ বিষণ্ন দেখাচ্ছিল। তিনি বললেন, বাচ্চু ভাইকে নিয়ে কি বলবো? কি লিখবো? এতো স্মৃতি সারাজীবন বললেও শেষ হবে না। ক্ষমা করে দেবেন বাচ্চু ভাই......(কান্না)।

খানিকটা চুপ থাকার পর আবার শুরু করলেন। ১৯৯৫ সালে একটি ব্যান্ডদল গড়েছিলেন। তখন এলআরবি অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। সেই লিটল রিভার নামটাই আমাকে খুব টানে। আমাদের ব্যান্ড-এর নাম রাখি ফিকেল বয়েজ ব্যান্ড। বাচ্চু ভাইয়ের এলআরবি আর আমাদের এফবিবি।

অবশেষে ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমিতে আমাদের ব্যান্ডের অভিষেক হয়। তখন কনসার্টে এলআরবি, উইনিংসহ অন্যান্য ব্যান্ডের গান কাভার করতাম। এমনও হয়েছে আমি গান গাইছি অন্যদিকে বাচ্চু ভাই ড্রামস বাজাচ্ছেন। আমি বলতাম বাচ্চু ভাই আপনার গান গাইবো। তখন তিনি বলতেন, আমার লিস্টেরগুলো বাদ দিয়ে গা। বলছিলেন আসিফ আকবর।

১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলে বাচ্চু ভাই আমার সঙ্গে বাজিয়েছিলেন। এরপর অনেকবার একসঙ্গে শো করেছি। তখন আমি আজকের আসিফ ছিলাম না। ২০০১ সালে আমার ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম প্রকাশের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশ-বিদেশে বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে শো করেছি। অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন বাচ্চু ভাই। আমার সঙ্গে টম অ্যান্ড জেরির মতো সম্পর্ক ছিল। এই ভালো এই খারাপ। ইন্ডাস্ট্রিতে আমিই মনে হয় তাকে সবচেয়ে বেশি জ্বালিয়েছি। কোনও কিছু হলেই বাচ্চু ভাই এইটা করলেন কেন ওইটা করলেন কেন? ভাই বলতেন, আসিফ গোস্বা (রাগ) করিস না ভাই।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবার পথে ভাই সব সময় আমার আম্মার সঙ্গে দেখা করতেন। আমাকে বলতেনও না। আম্মা পরে আমাকে জানাতেন, তোর ভাই এসেছিল। কোন ভাই জিজ্ঞেস করতেই তিনি বাচ্চু ভাইয়ের কথা বলতেন।

আসিফ আকবর বলেন, এই নীল মনিহার কিংবা আবার এলো যে সন্ধ্যায় গানগুলো আমরা যেভাবে বাঁচিয়ে রেখেছি। ঠিক তেমনিভাবে বাচ্চু ভাইয়ের গানও আমরা বাঁচিয়ে রাখবো। তার গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে তার গান গাইবার চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুন :

এম/এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আসছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’
এক যুগ পর ভোট দিলেন আসিফ আকবর
X
Fresh