• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ঢাকায় এসেছিলেন শরণার্থী হয়ে, হলেন নায়করাজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ আগস্ট ২০১৮, ১২:২৯
ছবি: সংগৃহীত

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে শরণার্থী হয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ‘বেহুলা’। সেই থেকে শুরু।

নিজের সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘আমি আমার জীবনের অতীত ভুলি না। আমি এই শহরে রিফিউজি হয়ে এসেছি। স্ট্রাগল করেছি। না খেয়ে থেকেছি। যার জন্য পয়সার প্রতি আমার লোভ কোনোদিন আসেনি। ওটা আসেনি বলেই আজকে আমি এতদূর শান্তিতে এসেছি।’

রাজ্জাকের নায়ক জীবনে জন্ম হয়েছে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো জুটি। রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। প্রায় অর্ধশত বছরের অভিনেতা হিসেবে রাজ্জাকের ঝুলিতে রয়েছে তিনশোটির মতো বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিই পেয়েছে ক্লাসিকের খ্যাতি।


-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মাখন মিয়ার শিক্ষিত বউটা
-------------------------------------------------------

অভিনয় জীবনের এক পর্যায়ে ছবি পরিচালনার কাজও শুরু করেন রাজ্জাক। ষোলটির মতো সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। সবশেষ তার পরিচালিত ছবিটির নাম ‘আয়না কাহিনী’।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। পশ্চিম পাকিস্তানের উর্দু সিনেমা আর ভারতের হিন্দি ও বাংলা সিনেমাকে হটিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা চলচ্চিত্রকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন রাজ্জাক।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তম-সুচিত্রার জোয়ারের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি প্রায় একাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে দাঁড় করান। প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান ‘কী যে করি’ সিনেমার জন্য। এরপর চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এই বরেণ্য অভিনেতাকে।

নায়করাজ রাজ্জাক ২০১৭ সালের ২১শে আগস্ট সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২৩শে আগস্ট তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও পড়ুন :

পিআর/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh