• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ষাটতম জন্মদিনে একক আবৃত্তি শোনালেন মীর বরকত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ জুন ২০১৮, ২৩:৪৭

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক মীর বরকতের ষাটতম জন্মদিনের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘শুভ ষষ্টি মীর বরকত।’ জন্মোৎসবের আয়োজন করে কণ্ঠশীলন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকতকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রে সংস্কৃতিঅঙ্গনের বিশিষ্টজন মীর বরকতকে নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

আবৃত্তি ও নাট্যাঙ্গনে দীর্ঘ চার দশকের পথচলায় অসংখ্য আবৃত্তি ও নাট্যশিল্পীর শিক্ষাগুরু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মীর বরকত। ষাট বছরের প্রাজ্ঞ এক টগবগে তরুণ মীর বরকত। তিনি একাধারে একজন সফল আবৃত্তি ও নাট্যনির্দেশক, অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী, একজন দক্ষ সংগঠক ও প্রশিক্ষক, দেশের ঐতিহ্যবাহী আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের অধ্যক্ষ; সর্বোপরি একজন সার্বক্ষণিক সংস্কৃতিকর্মী।

জন্মদিনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল তাঁর একক আবৃত্তি পরিবেশনা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তিনি আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গান সমাপন’, ‘বিম্ববতী, ‘দুই পাখি’, ‘তোতাপাখি’, জীবনানন্দ দাশের ‘সহজ’, ফজল শাহাবুদ্দিনের ‘বাংলা ভাষা, মা আমার’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘বায়োস্কোপ’, অসীম সাহার ‘আমাদের রাজকুমার ও বাংলাদেশ’, ইকবাল খোন্দকারের ‘কৌতুক ছড়া’, নির্মলেন্দু গুণের ‘গামছা’, মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘বস্ত্র নিয়ে’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’, লোককবি আবদুল হাই মাশরেকীর ‘কিছু রেখে যেতে চাই’এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জন্মদিন’ কবিতাগুলো।

আবৃত্তি ও নাট্যশিল্পীদের অতিপরিচিত ও প্রয়োজনীয় নাম মীর বরকত। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে মীর বরকত ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু সেটাই তার প্রধান কর্মের স্থান হলেও প্রধান পরিচয়টা গড়ে ওঠে একজন আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক, গবেষক ও নির্দেশক হিসেবে।

নিজস্ব সংগঠন কণ্ঠশীলন ছাড়াও দেশব্যাপী শতাধিক আবৃত্তি ও নাট্যসংগঠনে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে। নিজ দল ও অন্যান্য সংগঠন মিলিয়ে প্রায় ৫০টি আবৃত্তি প্রযোজনা এবং তিনটি মঞ্চনাটকের নির্দেশনা দিয়ে সুধী ও বিজ্ঞমহলে প্রশংসিত হয়েছেন।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh