• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ মে ২০১৮, ১০:৩৫
ছবি: সংগৃহীত

‘এক সপ্তাহ আগে আব্বাকে স্বাভাবিক মেডিকেল চেকআপের জন্য একটা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান চিকিৎসক জানান, দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানান, ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে বড় ব্লকগুলোতে রিং বসানো সম্ভব না। তারা দ্রুত ওপেন হার্ট সার্জারি করার পরামর্শ দেন।’- মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামির আহমেদ এ কথা জানান।

এদিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তার ফেসবুকে লিখেন, ‘একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ ভীষণ অসুস্থ। আমার হার্টে ৮টা ব্লক ধরা পড়েছে। বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না। এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের সিসিউতে চারদিন ভর্তি ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমার হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি।’

নন্দিত এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্বের এমন স্ট্যাটাসের পর আরটিভি অনলাইনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভকামনা জানান প্রিয় মানুষটির জন্য। বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। তিনি শারীরিক অসুস্থ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেছেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের একটি শীর্ষ সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : অজয়ের মৃত্যু নিয়ে গুজব
--------------------------------------------------------

এদিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, “আমার এনজিওগ্রাম করার পর ৮টি ব্লক ধরা পরেছে। ডা. লিয়াকত আলী আমাকে বললেন, ‘আপনি বাইপাস সার্জারি (ওপেন হার্ট সার্জারি) করে ফেলেন।’ আমি বলেছি, আমার তো বাসায় কিছু কাজ রয়েছে। আমি সেই কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে আসি। উনি আমাকে ১০ দিনের মধ্যে বাইপাস করে নিতে বলেছেন। আমি এখন বাইপাস করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

এর আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে বুলবুল লিখেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট, শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা ও কুরআন শরিফ রাখতে চাই। আর, তোমরা আমার জন্যে শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই।’

বুলবুলের এমন স্ট্যাটাসে যেন চাপা ক্ষোভই প্রকাশ পায়। তিনি আরও লিখেছেন, ‘সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।’

তিনি লিখেছেন, ‘এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোটো ভাই মিরাজ হত্যা হয়ে যাবে, এ আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’

বরেণ্য এই সঙ্গীতকার জানান, ৬ বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন :

পিআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh