• ঢাকা শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

সায়রা বানুর সঙ্গে এ আর রহমানের যে চুক্তি হয়েছিল

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:০০
সংগৃহীত
ছবি:সংগৃহীত

সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।

বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।

তাদের বিচ্ছেদেরর সিদ্ধান্ত বলিউড ও সংগীত জগতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে। আলোচনা চলছে, হঠাৎই কেন বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন এই দম্পতি। বিচ্ছেদের বিষয়টির পর সামনে আসছে সায়রা বানুর সঙ্গে এ আর রাহমানের চুক্তির বিষয়টি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এ আর রাহমান। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানিয়েছিলেন, সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক ভাবেই হয়েছয়ে এ আর রহমান কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তার মা সায়রা বানুকে পছন্দ করেন। আর এ আর রহমানের বিশ্বাস ছিল তার মায়ের প্রতি। একাধিক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর প্রশংসাও করেছেন এই গায়ক।

এমন এক সাক্ষাৎকারে এ আর রাহমান বলেছিলেন, তিনি সঙ্গীর খোঁজ করার জন্য সময় পাননি, তাই মাকে পাত্রী খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।তিনি এমন কাউকে চেয়েছিলেন যিনি তার সংগীত জীবনে সমর্থন দেবেন, শিক্ষিত, সুন্দর এবং বিনয়ী হবেন।

স্ত্রী সায়রা বানু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ আর রাহমান বলেছিলেন, তার ব্যক্তিত্বের দুটি বিষয় আছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে সায়রা যখন শান্ত থাকেন, তখন তিনি পুরোপুরি শান্ত–স্থির থাকেন। অন্যটি হচ্ছে তিনি রেগে গেলে আর কিছুই তার মাথায় থাকে না। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের শুরুতে সায়রা প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়তেন। এর কারণ ছিল, শপিংয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ কাজও তিনি করতে পারতেন না। এর কারণ ছিল তারকা স্বামী।

এ আর রাহমান অবশ্য এ ব্যাপারে তাকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার ব্যস্ততা এবং তারকা জীবনের কারণে জীবন স্বাভাবিকের থেকে আলাদা হবে। আর এই বিষয়টা তারা দুজন স্বাভাবিকভাবেই সামলাবেন। আর বিয়ের আগে বিষয়টা সায়রা বানুকে এই শর্ত জানানো হলে তিনি সেটা মেনেও নেন। এ আর রাহমান জানান এটা তাদের দুজনের বিয়ের আগের একান্ত একটা চুক্তি ছিল যেটা মানেই তারা জীবন শুরু করেন।

এ আর রাহমান বলেছিলেন, নতুন একজনের পক্ষে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তার বিয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ আর রাহমান উল্লেখ করেন, তার ছিল যৌথ পরিবার। এখানে অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে, তাদের প্রথম সন্তান জন্মের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারা সব মানিয়ে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সম্মান করে একসঙ্গে সংসার করছেন।

এদিকে এ আর রহমানের সম্পত্তি প্রসঙ্গে আইনজীবী বন্দনা শাহ জানান, বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনো আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য’

বন্দনা শাহ আরও জানান, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এ আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।

আরটিভি /এএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের ছবি ভাইরাল
বিচ্ছেদের পর ফের এক হচ্ছেন রহমান-সায়রা!
মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যা বললেন এ আর রহমান
‘বচ্চন’ পদবি মুছলেন ঐশ্বরিয়া, বিচ্ছেদ কি চূড়ান্ত!