চার বছর পর ফের ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’
হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ধারায় মিশে আছে লোকসংগীত। বিশ্ব দরবারে লোকগীতির সুর-সুধা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’র উদ্যোগ নেয় সান ফাউন্ডেশন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বসেছিল উৎসবটির পঞ্চম আসর। এরপর থেমে যায় সুরের এই মিলনমেলা। নানান পরিস্থিতির কারণে আর বসেনি ফোক ফেস্টের এই আসর।
অবশেষে দীর্ঘ চার বছর বিরতির পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লোক গানের এই উৎসব। আয়োজক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এমন আভাস।
একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ফোক ফেস্ট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে সান ফাউন্ডেশনের। চলছে শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়াও। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হতে পারে এই ফোক ফেস্ট। বরাবরের মতো আর্মি স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে উৎসবটি। তবে এখনও কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সান ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, স্পষ্ট করে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য এই মুহূর্তে নেই। তবে আলোচনা চলছে যেন লোকগানের উৎসবটি ফিরিয়ে আনার জন্য। সারাদেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল উৎসবটি।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে অতীতের চেয়ে আরও জাঁকজমক করে আয়োজনের চেষ্টা থাকবে এবার। শিল্পী তালিকায়ও চমক থাকবে। বিশ্বের নানান দেশের শিল্পীরা অংশ নেবেন উৎসবে। চূড়ান্ত হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে। এখন পর্যন্ত ১৭টি দেশের ৫০০ লোকসংগীত শিল্পী অংশ নিয়েছেন ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট’-এ।
সর্বশেষ আসরে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শাহ আলম সরকার, চন্দনা মজুমদার, মালেক কাওয়াল, শফিকুল ইসলাম, ফকির শাহাবুদ্দিন, কাজল দেওয়ান, কামরুজ্জামান রাব্বিসহ অনেকে।
বিদেশি শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন, হিনা নাসরুল্লাহ (পাকিস্তান), হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা (মালি), শেভেনেবুরেবি (জর্জিয়া), সাত্তুমা (রাশিয়া), জুনুন (পাকিস্তান)।
আরটিভি/এইচএসকে-টি
মন্তব্য করুন