সংগীতশিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যু, ময়নাতদন্তে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিয়াম পেইন মাত্র ৩১ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসে একটি হোটেলের চতুর্থ তলা থেকে পড়ে মারা যান বিখ্যাত ব্যান্ড দল ‘ওয়ান ডিরেকশন’-এর এই সদস্য। তবে তার মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক।
আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটর অফিস নিশ্চিত করেছে যে, ‘ওয়ান ডিরেকশন’ তারকা একাধিক ট্রমার কারণে মারা গেছেন। যার ফলে বুয়েন্স আয়ার্সের থার্ড ফ্লোরের হোটেলের বারান্দা থেকে পড়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
বুয়েন্স আইরেসের জরুরি পরিষেবার প্রধান প্রকাশ করেছেন যে পেইনের মৃত্যু ‘ক্রেনিয়াল ফ্র্যাকচার এবং অত্যন্ত গুরুতর আঘাতের’ কারণে হয়েছে। একটি নতুন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তার মাথার আঘাতগুলো মারাত্মক ছিল।
এ ছাড়াও তার হোটেল রুমে পাওয়া পদার্থগুলো সম্ভাব্য অ্যালকোহল এবং ড্রাগ সেবনের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেইন একাধিক আঘাত এবং অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক রক্তক্ষরণের কারণে মারা গিয়েছেন।’
আর্জেন্টিনার ময়নাতদন্ত পরবর্তী রিপোর্টে বলা হয়েছে, লিয়াম পেইনের মৃত্যুতে তারা একাধিক অসংগতি খুঁজে পেয়েছেন, যার ফলে তার মৃত্যুর কারণকে প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে ধরা হচ্ছে। ‘যদিও সবকিছু ইঙ্গিত দেয় যে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সংগীতশিল্পী একা ছিলেন এবং তিনি মাদকের অপব্যবহার থেকে এক ধরনের প্রাদুর্ভাবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার ফলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি ৪র্থ তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যার ফলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে পেইনের শরীরে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা মূলত উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই হয়েছে বলেই, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা আরও জানিয়েছেন যে, মাথার আঘাতগুলি মারাত্মক ছিল এবং ‘মাথার খুলি, বুক, পেট এবং অভ্যন্তরীন অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর বাহ্যিক রক্তক্ষরণও’ তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, পেইন ‘ওয়ান ডিরেকশন’ ব্যান্ডের কম্পোজার ও গিটারিস্ট ছিলেন। ২০১৬ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে এই ব্যান্ডের শিল্পীরা এককভাবে কাজ করছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই তার ভক্তরা আর্জেন্টিনার রাজধানীর ওই হোটেলে জড়ো হন।
আরটিভি /এএ
মন্তব্য করুন