গুলিবিদ্ধ হয়ে আইসিইউতে অভিনেতা গোবিন্দ
নিজের রিভলভারের গুলিতে-ই আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ অভিনেতা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দের ম্যানেজার শশী সিংহ আনন্দবাজারকে জানান, কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ব্যক্তিগত পিস্তলটি রাখতে গেলে সেটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি বের হয়ে যায়। এতে গোবিন্দের পায়ে গুলি লাগে।
প্রসঙ্গত, পায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আপাতত আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন গোবিন্দ। চিকিৎসকদের এক বিশেষ দল তার চিকিৎসা করছেন।
আরটিভি / এএ
মন্তব্য করুন
প্রকাশ্যে এলো অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যুর কারণ
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামি করা হয়েছে হিমুর ‘বয়ফ্রেন্ড’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে।
চার্জশিটে বলা হয়, ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানান চড়াই-উৎরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হিমুর ঘনিষ্ঠজন, কথিত প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। এমনকি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপনও করতেন তিনি।
সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডিবিধির ৩০৬ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হোমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভুবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।
আরটিভি/আইএম-টি
৭১ এর পর আল্লাহ আপনাদের উঠায় নিলেই ভালো হতো: খায়রুল বাসার
পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে পালন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফুঁসে উঠেছে আম জনতা, সামাজিক মাধ্যমে ছুঁড়ছেন নানান প্রশ্ন।
আলী জিন্নাহর এই জন্মদিন পালন করা নিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘ঘেন্না আপনাদের জন্য মুরুব্বিরা। ছি! ৭১ এর পর আল্লাহ আপনাদের উঠায় নিলেই ভালো হতো। এই দিন আমাদের দেখতে হতো না। আপনাদেরও বিরহ নিয়ে বাঁচতে হতো না।’
এরপর মন্তব্যের ঘরে এক মন্তব্যে তিনি লিখেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ উন্মাদেরা! একজনের বক্তব্য নিউজ পোর্টাল মারফত টাইমলাইনে আসলো, শুনতে গিয়ে ঘেন্নায় স্কিপ করলাম। পূর্ব বাংলা বলে চালিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ নামটা মুখে নিতেও তার কষ্ট হচ্ছে। বিস্ময়! এই বুড়াদের সাথে কিছু তরুণরাও আছে! জিন্নাহ তাদের পাকিস্তান দিয়েছে এই গর্বে মরে যাচ্ছে! এদের জায়গা দিবে পাকিস্তান? আল্লাহ তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়ার পথ করে দিক এই দোয়া করি।’
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন একজন গুজরাটি বংশোদ্ভুত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন।
আরটিভি / এএ
‘মা’ সম্বোধন করে জমি পেতে শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিলেন জয়
মা সবসময় সন্তানের আবদার পূরণ করে থাকেন। কখনো সন্তানকে ফিরিয়ে দেন না। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার কাছে নিজেকে সুযোগ্য সন্তান দাবি করে আবদার করেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরাল। যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা। যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল রয়েছে। আবেদনপত্রে দেখা গেছে শেখ হাসিনাকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা হিসেবে সম্বোধন করেছেন উপস্থাপক জয়। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’
তিনি লিখেছেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের ওপর বলীয়ান ছিলেন তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে।’
‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সব শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা ৫ কাঠা প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’
সবশেষ তিনি লিখেছেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)।’
ভাইরাল এ আবেদনপত্রটিতে জয়ের ছবির পাশে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের একটি সিলও দেখা গেছে। আর সুপারিশকারী হিসেবে রয়েছে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের স্বাক্ষর।
এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যম থেকে অভিনেতা জয়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি তার।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা এবং তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয়কে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ‘গোধুলী লগ্নে’ নাটকের মাধ্যমে টিভি পর্দায় ডেবিউ হয় জয়ের। এরপর বেসরকারি টেলিভিশনে ‘সেন্স অব হিউমার’, ‘কমনসেন্স’, ‘উইথ নাজিম জয়’ ও ‘৩০০ সেকেন্ড’ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন।
আরটিভি / এএ
নবাগত নায়িকা মেঘলার রহস্যজনক মৃত্যু
ঢাকাই শোবিজের নতুন মুখ সাদিকা রহমান মেঘলা। তবে তিনি আরাবি রহমান নামে অচিরেই শোবিজে আত্মপ্রকাশ করবেন সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন। নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তবে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে স্বপ্নবাজ মেঘলা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি মারা গেছেন এই অভিনয়শিল্পী।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে মেঘলার ছোট বোন রুখসানা আরটিভিকে বলেন, ‘দুই দিন আগে ঢাকা থেকে আপু গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। রাতে ঘুমানোর আগে বলতেছিল পায়ের মধ্যে কেমন যেন করছে। তখন পায়ে তেল মালিশ করে দেই। হঠাৎ রাতে ঘুম ভাঙলে ওর গায়ে হাত পড়তেই শরীর ঠান্ডা লাগে। তখন সবাইকে ডাকি। তারপর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত হই। শুকরবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
মেঘলা ঢাকার শ্যামলী বসবাস করতেন। কিশোরগঞ্জ জন্ম হলেও নেত্রকোনা বেড়ে ওঠা। নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই মডেলিংয়ে নাম লেখান তিনি। নিচ্ছিলেন সিনেমার প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। নিজেকে রুপালি পর্দায় দেখার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মেঘলা।
আরটিভি / এএ
ঢাকায় জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন নিয়ে নায়ক নাঈমের ক্ষোভ
‘চাঁদনী’ খ্যাত ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা নাঈম। এখন আর সিনেমায় দেখা যায় না। ৯০ দশকের শুরুতেই খ্যাতিমান নির্মাতা এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। নবাব বংশের সন্তান তিনি। পুরো নাম খাজা নাঈম মুরাদ।
‘চাঁদনী’ দিয়ে দিয়ে যাত্রা শুরু করে সহ-অভিনেত্রী শাবনাজকে সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্র জগত জয় করেছিলেন তিনি। প্রথম ছবির সাফল্যের পর একাধারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন নাঈম। একসময় প্রেম করে বিয়ে করেন শাবনাজকে। পিতা হন দুই কন্যা সন্তানের। তারপর ধীরে ধীরে সরে যান অভিনয় থেকে। সিনেমায় না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ খানের বংশধর চিত্রনায়ক নাঈম মুরাদ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে ঢাকায়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন ঢালিউড অভিনেতা নাঈম। ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন এ অভিনেতা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির ব্যানারে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনাসভার পাশাপাশি উর্দু গান-কবিতা পরিবেশন করা হয়। নওয়াব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এতে তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের নানা ঘটনা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ অনুষ্ঠানের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ভক্তদের স্পষ্ট ধারণা দিতে ফেসবুকে পোস্ট দেন অভিনেতা নাঈম।
নায়ক নাঈম ঢাকার নবাব পরিবার খাজা সলিমুল্লাহর বংশধর। ফেসবুকে জিন্নাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে নাঈম লিখেছেন, ঢাকার নবাব পরিবার এটি সাপোর্ট করে না।
নাঈম বলেন, ‘আমি খাজা নাঈম মুরাদ নওয়াব সলিমুল্লাহর পৌপুত্র এবং গর্বিত বাংলাদেশি নাগরিক। আমি এমন কোনো গোষ্ঠী বা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নই, যা আমাদের জাতীয় পরিচয় বা ইতিহাসকে ক্ষুণ্ন করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির সঙ্গে আমাদের ঢাকা নবাব পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এদের প্রচারিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান করি।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ অভিনেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রতি যেকোনো কর্মকাণ্ড, যা জনসাধারণের আশা এবং মূল্যবোধের বিরোধিতা করে আমি তা সমর্থন করি না। আমি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার এবং তাদের স্বার্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে অবস্থান করি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ বড় একটা ফ্যাক্ট। এই নাম দিয়ে অনেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের পরিবার এই সংগঠন সম্পর্কে স্পষ্ট জানেই না।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির ব্যানারে যারা এটা করেছেন, তারা কেবল তাদের স্বার্থ রক্ষায় করেছেন। আমাদের নবাব পরিবারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যারা করেছেন, তারা অন্যায় করেছেন। আমি অনুরোধ করব- আমাদের নাম নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তা আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করব।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল বলেছেন, ‘মুসলিম লীগে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্ব ছিল অসাধারণ। সমগ্র ভারতে মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলনের সূচনা ছিল এটি।’
আরটিভি /এএ-টি
আবরারকে নিয়ে সিনেমা, মুক্তি ৭ অক্টোবর
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের করুণ মৃত্যু হয়। অমানবিকভাবে সেদিন পিটিয়ে মারা হয় তাকে। বুয়েটের সেই ভয়াল রাত আজও কাঁদায় সবাইকে।
সেই আবরারকে নিয়ে নির্মাণ হয়েছে শর্ট ফিল্ম ‘রুম নম্বর ২০১১।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদের উদ্যোগেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন।
আবরারকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের খবরটি জিসু এন্টারটেইনমেন্টের পেজ থেকে জানা যায়। সেই পেজে শর্ট ফিল্মটির একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।
পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, আসছে……‘রুম নম্বর ২০১১।’ সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত আমাদের প্রথম মৌলিক কাজ। বাংলাদেশ এবং আমেরিকায় একই সময়ে রিলিজ হবে। পেজ থেকে ‘একটিফুল’কে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও পোস্টারে আবরারের কথা উল্লেখ নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জিসু এন্টারটেইনমেন্টের সিইও শেখ জিসান আহমেদ বলেন, হ্যাঁ, এটি আবরার ফাহাদের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে ফিল্মটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ইচ্ছা আছে আগামী ৭ অক্টোবর আবরারের মৃত্যুবার্ষিকীতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, ২৫ মিনিটের হতে পারে সিনেমাটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবেও মুক্তি দেওয়া হবে। বাংলাদেশ এবং আমেরিকায় মুক্তি পাবে ‘রুম নম্বর ২০১১।’
সিনেমাটি নির্মাণের সহযোগিতার বিষয়ে জিসান বলেন, আমাদের প্রথম মৌলিক এই ফিল্মটির সহযোগিতায় রয়েছেন আমেরিকার বাংলাদেশি সংগঠন ‘একটিফুল’।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সে সময় আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর ফুঁসে ওঠে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্ররাজনীতি।
আরটিভি/এইচএসকে/এসএ
বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই বিচার চাইলেন তমা
নির্মাতা রায়হার রাফী ও নায়িকা তমা মির্জার প্রেমের খবর ছিল ‘ওপেন সিক্রেট।’ জীবনের বিশেষ দিনগুলোতে একে অপরের পাশে থেকেছেন তারা। এমনকি ভালোবাসার কথাও জানান দিয়েছেন তমা-রাফী।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাফীর সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে তমা মির্জার। নির্মাতা ও নায়িকার অনুসারীরাও মুখিয়ে আছেন এ বিষয়ে জানতে। এবার এই বিচ্ছেদ গুঞ্জনের মাঝেই বিচার চাইলেন তমা। তবে রাফী কিংবা সম্পর্কবিষয়ক কোনো কারণে বিচারের দাবি রাখেননি নায়িকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল হত্যার বিচার চেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে নিহত তোফাজ্জলকে নিয়ে বানানো একটি পোস্টার শেয়ার দেন তমা। সেখানে লেখা, ‘বাবা, মা, ভাই কেউ তো নাই! বিচার চাইবো কেডা?’
এমন পোস্টারের ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি বিচার চাই।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে কয়েক দফায় মারধরের পর রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা শেষে বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মা-বাবা আর ভাইয়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তিনি।
আরটিভি /এএ এসএ