প্রকাশ্যে দেশের প্রথম পোয়েটিক সিনেমার অফিসিয়াল ট্রেলার
প্রকাশ পেলো বাংলাদেশের প্রথম পোয়েটিক সিনেমা ‘বৃষ্টিতে আর জল নেই’ চলচ্চিত্রের ট্রেলার। এপি প্রোডাকশন বাংলাদেশের ব্যানারে, পাভেল আল মামুনের চিত্রনাট্যে, সিনেমাটি পরিচলনা করেছেন আমির পারভেজ। সিনেমাটিতে নান্দনিক সাহিত্য নির্ভরতা আর কাব্যিক চিত্রায়নে উঠে এসেছে এক নতুন ধরনের চলচ্চিত্র ভাষা।
পরিচালক আমির পারভেজ বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নিরীক্ষা এবং প্রয়োগের ফসল আমাদের এই চলচ্চিত্রটি। এটি নিঃসন্দেহে একটি নতুন ধরনের চলচ্চিত্রের উপস্থাপন।
সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অরুনা বিশ্বাস, পাভেল আল মামুন, আমির পারভেজ, সুলতানা মারিয়াম টুকটুক, জাকিয়া ইমি।
মন্তব্য করুন
গোপন গ্রুপ নিয়ে মুখ খুললেন মৌসুমী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেমে গেলেও তার রেশ এখনও রয়ে গেছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত শোবিজ তারকাদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁসে উত্তাল নেটদুনিয়া।
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া শিল্পীরা। শুধু তাই নয়, কথা বলেছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে থাকা শিল্পীরাও। কেউ আবার গ্রুপে যুক্ত হওয়ার কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অভিনেত্রী বলেন, একজন শিল্পী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় থাকবে কি না তা নির্ভর করে তার মনস্তাত্ত্বিক ও ব্যক্তিসত্তার ওপর। তবে সাধারণ মানুষ বা শিল্পী কেউই রাজনীতিকে উপেক্ষা করতে পারে না। কোনো শিল্পী বা রাজনৈতিক দল যদি গণমানুষের কথা না বলে তাহলে সাধারণ জনগণ তাকে ছুড়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দাপটে যেসব শিল্পীরা মানবতা লঙ্ঘন করে জাতির কাছে নিচুতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের জন্য আমার শিল্পী পরিচয় আজ লজ্জার।
সালমান-শাবনূরের ডাবিং রুমে খুনসুটি দেখে ফেলেন সামিরা, রাতেই রহস্যজনক মৃত্যু
‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো’-এই গান শোনেননি, এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এই গান যখন কানে বাজে তখন আনমনেই চোখের কোণে ভেসে ওঠে একজন সুদর্শন নায়কের মুখ। তিনি সালমান শাহ। বাংলা চলচ্চিত্রের নক্ষত্র ছিলেন তিনি।
রাজধানী ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বি-১১ নম্বর ফ্ল্যাটে ঠিক ২৮ বছর আগে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন শহীদ চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মায়ের নাম নীলা চৌধুরী। সালমান ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। এই ক্ষণজম্মা চিত্রনায়ক জম্মেছিলেন ১৯৭১ সালে আর চলে গেলেন ১৯৯৬ সালে। তখন তার বয়স মাত্র ২৫ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও রহস্যঘেরা। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা দাবি করলেও। তার মা নীলা চৌধুরী বারবার দাবি করেছেন সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। সেই রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। চলছে বিচার।
সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা এত বছর পর আবারও দাবি করেছেন যে, সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল। শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সালমান নিজেই নাকি স্বীকার করেছিলেন। আর সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেটি আদালতেও উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যুর পেছনে শাবনূরের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারটি আরও জোরালো গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেন, শাবনূরের সঙ্গে যে প্রেম ছিল সালমান নিজেই সেটি আমার কাছে স্বীকার করেছিলেন। কাজ করতে করতে একে অপরের কাছাকাছি এসেছিলেন সালমান-শাবনূর। এটি আমি মেনে নিতে পারিনি। সালমানের সঙ্গে শাবনূর সিঙ্গাপুরেও যান। এই কথাগুলো আমি পিবিআইকে বলেছি। শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সালমানও ব্ল্যাকমেইল হওয়ার শঙ্কায় থাকত।
তবে সেদিনের ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময়ে নিকটজনদের বয়ানে পাওয়া যায়- ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ‘প্রেমপিয়াসী’ ছবির ডাবিং করতে এফডিসিতে গিয়েছিলেন সালমান শাহ। সেখানে ডাবিংয়ের জন্য আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন এই ছবির নায়িকা শাবনূর।
এফডিসিতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর সালমান শাহ বাবাকে ফোন করে বলেন, তার স্ত্রী সামিরাকে নিয়ে এফডিসির সাউন্ড কমপ্লেক্সে আসার জন্য। ফোন পাওয়ার পরপরই সালমানের বাবা সামিরাকে নিয়ে এফডিসি আসেন। শ্বশুরের সঙ্গে সাউন্ড কমপ্লেক্সে এসে সামিরা দেখতে পান, সালমান ও শাবনূর ডাবিং রুমে খুনসুটি করছেন। ওই সময়ের বেশ কিছু বিনোদন পাক্ষিক এবং সালমানকে নিয়ে একাধিক গ্রন্থে লেখা হয়েছে, সালমানকে শাবনূরের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখে রেগে যান সামিরা। সালমানের বাবা চলে যাওয়ার পর সামিরাও দ্রুত গাড়িতে ওঠেন। ‘অবস্থা জটিল’ বিষয়টি বুঝতে পেরে একই গাড়িতে ওঠেন সালমান শাহ ও চিত্রপরিচালক বাদল খন্দকার। কিন্তু গাড়িতে বসে সালমানের সঙ্গে কথা বলেননি সামিরা। তাকে বোঝাতে থাকেন বাদল খন্দকার।
গাড়ি এফডিসির গেট পর্যন্ত গেলে সালমান প্রধান ফটকের সামনে নেমে যান। তার সঙ্গে বাদল খন্দকারও নেমে পড়েন। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। এরপর ডাবিং রুমে ফিরে গেলেও সেদিন আর ডাবিং হয়নি। পরে রাত ১১টার দিকে নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বি-১১ নম্বর ফ্ল্যাটে সালমানকে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন বাদল খন্দকার। বাসায় ফেরার পর রাতের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রকমের বক্তব্য পাওয়া যায় সে সময়ের পত্রিকাগুলোতে। তবে সেসব বক্তব্য প্রত্যক্ষদর্শী কারও বয়ানে ধারণ করা নেই।
এ ব্যাপারে চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল খন্দকার জানান, তিনি পরদিন সকালেই সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন। বাদল খন্দকার বলেন, ছবির কাজের শিডিউল নিতে তিনি সকালে সেখানে গেলে বাসার নিচে দারোয়ানরা তখন বলাবলি করছিলেন, সালমান রাতেই ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন।
অন্য আরেক চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম বলেন, শেষের দিকে অনেক মানসিক চাপে ছিলেন সালমান শাহ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং প্রযোজকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন শিল্পী সমিতির কাছে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজায় ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, সেদিন সকাল সাতটায় বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ছেলে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের সঙ্গে দেখা করতে ইস্কাটনের বাসায় যান। কিন্তু ছেলের দেখা না পেয়ে তিনি ফিরে আসেন। কারণ বাসার নিচে দারোয়ান সালমান শাহর বাবাকে তার ছেলের বাসায় যেতে দেননি।
নীলা চৌধুরীর বর্ণনা ছিল এ রকম, বলেছে স্যার এখন তো ওপরে যেতে পারবেন না। কিছু প্রবলেম আছে। আগে ম্যাডামকে (সালমান শাহর স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করতে হবে। একপর্যায়ে উনি (সালমান শাহর বাবা) জোর করে ওপরে গেছেন। কলবেল দেওয়ার পর দরজা খুলল সামিরা (সালমান শাহর স্ত্রী)। উনি (সালমান শাহর বাবা) সামিরাকে বললেন, ‘ইমনের (সালমান শাহর ডাকনাম) সঙ্গে কাজ আছে, ইনকাম ট্যাক্সের সই করাতে হবে। ওকে ডাক।’ তখন সামিরা বলল, ‘ও তো ঘুমে।’ তখন উনি বললেন, ‘ঠিক আছে আমি বেডরুমে গিয়ে সই করিয়ে আনি।’ কিন্তু যেতে দেয়নি। আমার হাজব্যান্ড ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিল ওখানে।
খাটের মধ্যে যেদিকে মাথা দেওয়ার কথা, সেদিকে পা। আর যেদিকে পা দেয়ার কথা সেদিকে মাথা। পাশেই সামিরার (সালমান শাহর স্ত্রী) এক আত্মীয়ের একটি পারলার ছিল। সেই পারলারের কিছু মেয়ে ইমনের হাতে-পায়ে শর্ষের তেল দিচ্ছে। আমি তো ভাবছি ফিট হয়ে গেছে। আমি দেখলাম, আমার ছেলের হাত-পায়ের নখগুলো নীল। তখন আমি আমার হাজব্যান্ডকে বলেছি, আমার ছেলে তো মরে যাচ্ছে।’ তাৎক্ষণিক ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমান শাহকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বলা হয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। সালমানের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে না পারায় তাঁর ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয় নানা প্রশ্নের।
বরাবরই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। নীলা চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, তাঁরা হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। পুলিশ বলেছিল, অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের সময় যদি বেরিয়ে আসে যে এটি হত্যাকাণ্ড, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় মোড় নেবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। পরে ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন
অবশেষে মুখ খুললেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন তুষ্টি
আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পীদের এ হোয়াটসঅ্যাপ ‘আলো আসবেই’ গ্রুপটি নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। কারণ সেখান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষার্থীদের গায়ে গরম পানি দেওয়ার পরামর্শ এসেছিল। গ্রুপটির চার অ্যাডমিনের একজন হলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। গ্রুপটি নিয়ে তুমুল সামালোচনার মাঝে নিজের অবস্থান জানালেন তিনি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে যা লিখতে যাচ্ছি, আমি জানি, তার জন্য আমি গালি ও ট্রলের সম্মুখীন হতে পারি। তবুও আমি আমার পজিশন ক্লিয়ার করতে চাই। আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে, আমি একটা রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। এর কারণ আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বাবা মালিবাগ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তাই আমার বাড়িতে সবসময় এই পরিবেশই ছিল যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আমি আমার নিজের পক্ষ ভেবেছি। আমার এই পক্ষপাতিত্ব যে ভুল তাও আমি মনে করি না। আমি মনে করি, আমি আমার অংশগ্রহণ ঠিক বিবেচনা করেই করেছি। কিন্তু এই দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমার নিজের কিছু বিচার-বিবেচনা আছে। আপনারা সকলেই জানেন কেউ কোনো দলের কর্মী হিসেবে কাজ করে, তখন তার সেই দলের নেতাদের কথামতো কাজ করতে হয়। সেসব দলীয় নির্দেশনার বিপক্ষে গিয়ে কাজ করার পরিস্থিতি থাকে না। এবং আমি তা করতেও চাই না দলের কর্মী হিসেবে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাই বলে এই হত্যাকাণ্ড, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার আমি সমর্থক নই। এক মিনিটের জন্যও ছিলাম না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বহু কর্মীই তা ছিলেন না। আমাদের অনেকেরই পজিশন নেওয়া দরকার ছিল। অনেক আগেই দরকার ছিল। আমি জানি, আপনাদের অনেকে এই কথাতেও ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু আশা করি, এটা মানবেন যে, আমরা বাংলাদেশে কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি। দলীয় রাজনীতির মধ্যেও খবর ফিল্টার হয়। যার সন্তান গেছে তার অবস্থা ভেবেছি। প্রতি মুহূর্তে আমি, আমাদের কেউ কেউ, একটা পজিশন নিতে গেছি। সেসব পজিশন কারও না কারও কারণে অন্য আরেকটা পজিশন হয়ে গেছে। আমরা বিটিভিতে গেছি, শিল্পীরা সহিংসতা ও ছাত্রদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, করেছেনও, তবে সেটা সংবাদে তেমন করে আসেনি। কিন্তু যা এসেছে তাতে আরও ভুল বোঝার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে যা দেখা গেছে সেটাও ঠিক না তা আমি বলব না। আমরা হাসপাতালেও আহতদের দেখতে গেছি। আর তখনও আমি সকল কিছু বুঝে উঠতে পেরেছি তেমন না।’
পক্ষ বদলের চেষ্টা করছেন না জানিয়ে তুষ্টি বলেন, ‘আমরা যে যাই ভাবি না কেন, দল মূলত কী কী করতে যাচ্ছে বা কী করবে, তা সম্পূর্ণ জানার উপায় আমাদের ছিল না। আমি এসব কথা বলে পক্ষ বদলের চেষ্টা করছি না। বরং আমার দলের পক্ষে যেসব মারাত্মক ভুল ছিল আমার যেসব বোঝাবুঝি ছিল সেগুলোর কারণে আমার দোনোমনা আর পরিস্থিতির কথা আপনাদের জানাতে এসেছি। আমি একটা সংগঠন করি, যেখানে সিংহভাগই এই হিংস্রতা, এই হত্যার সমর্থক নয়। কিন্তু আমাদের কোনো একটা পজিশন কীভাবে নিতে পারি তা ভাবতে ভাবতেই প্রতিদিন আরও নতুন মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন আরও বেশি করে আপনাদের থেকে দূরে সরে গেছি।’
শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও আমি বলেছি যে, সকলের সঙ্গে গিয়ে আলাপ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। কিন্তু ঘটনা এত দ্রুত ঘটছিল আমি যা সমর্থন করি না তা আপনাদের জানানোর সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমার অনেক সহকর্মীরাও এসবের ভিতরে ছিলেন, পরে হয়তো থাকেননি। তারাও আমাকে অনেক গালাগাল করেছেন। তবু আমি বলতে চাই যে, আমি আমার সহকর্মীদের জন্য অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাই করব। এছাড়াও আমরা আমাদের সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পরিনি এক সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য। সেসবও আমাকে ভাবিয়েছে।’
দলীয় সকল কর্মকাণ্ড অভিনেত্রী সমর্থন করেন না দাবি করে লিখেছেন, ‘এখনও আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে দেরি করেছি। যে ঘৃণার সম্মুখীন আমরা, যে গালাগালি আমি খেতে পারি সেসবের ভয়েই আরও আরও দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি, এসব সমালোচনা আর গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে। আর সেসবের মধ্য দিয়েই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আপনারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি দল বদলের ইচ্ছা থেকে আসিনি। আমি যে দলে ছিলাম সেই দলের নেতৃবৃন্দের সকল কার্যক্রম যে আমি সমর্থন করি না সেটা জানাতে এসেছি। আমি জানাতে এসেছি, আমি দল করলেও নিজের বিচারবুদ্ধি বিবেক-বিবেচনা বিক্রি দিয়ে আমি দল করি না।’
ট্রল ও গালির ভয়ে এতদিন মুখ খুলেননি বলেও জানান অভিনেত্রী। শামীমা তুষ্টি লিখেছেন, ‘আমি অনেক দেরিতে আপনাদের সামনে এসেছি। কিন্তু আমার অনুভূতি নতুন নয়। শুরু থেকেই হচ্ছিল। আমি সত্যি সত্যি ট্রল-গালির ভয়েই আমি আগে লিখিনি। অনেক ট্রল আর গালি নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলাম না। এখন কিছুটা কিছুটা নিজেকে সংযত করতে পেরেছি। সহ্য করার মত ধৈর্য আশা করি আমার হবে, আপনাদের সকল কথা নেওয়ার।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সে রকম জায়গা থেকেই আমার অবস্থান আমি আপনাদের কাছে পরিষ্কার করলাম। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বাংলাদেশে বিফলে না যায়, সেই প্রত্যাশা করছি।’
নায়িকা জাহারা মিতুকে নিয়ে দুই ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব!
রুপালি পর্দার এই প্রজন্মের নায়িকা জাহারা মিতু। একাধারে তিনি মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী। এর পাশাপাশি গেল বছর বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করেছেন লেখক হিসেবে।
এদিকে সম্প্রতি দেশের একটি পত্রিকার ডিজিটাল মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আসতেন চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। তবে এ কথা অস্বীকার করেছেন এই উঠতি অভিনয়শিল্পী। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন যে তাকে নিয়ে যে ভিডিও সংবাদ হয়েছে, তা মূলত ভিউ বাণিজ্যের জন্য।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সেই গুঞ্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই নায়িকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। গুঞ্জন উঠেছে জাহারা মিতুকে নিয়ে মনোমালিন্য চলছে দেশের জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের মধ্যে। কারণ হিসেবে চাউর হয়েছে দুজনের সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিতু।
এদিকে বিষয়টিকে গুজব বলে মিতু বলেন, ‘ছি ছি! আপনি দুজন ক্রিকেটারের নাম বলছেন! একজনই পাই না, আবার দুজনের সঙ্গে!’
তাকে নিয়ে শান্ত ও হৃদয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে শুনে নায়িকা বলেন, ‘এসব ভুয়া কথা। ছিঃ বলা ছাড়া আর কোনো মন্তব্য নেই। আমি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।’
নায়িকা আরও বলেন, ‘শান্ত একজন বিবাহিত ছেলে। এই গুঞ্জনের এক কানিও সত্য নয়। এগুলো ভুয়া খবর। শান্ত ও হৃদয়ের মধ্যকার মারামারির কথা শুনে আমি তো সারপ্রাইজড!
মিতুকে সবশেষ দেখা গেছে শত্রু সিনেমায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন বাপ্পি চৌধুরী। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার আগুন সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করছেন বদিউল আলম খোকন। মিতুর বিপরীতে আছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান।
প্রসঙ্গত, জাহারা মিতু দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন উপস্থাপনা থেকে। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও মূলত শাকিব খানের সঙ্গে আগুন ও কলকাতার দেবের সঙ্গে কমান্ডোতে স্ক্রিন শেয়ার করে আলোচনায় আসেন। তবে এই নায়িকার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য দুটি ছবি মুক্তি পায়নি। দেবের কমান্ডো কোনোভাবেই আর মুক্তি পাবে না, কারণ এর প্রযোজক সেলিম খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
মনে করেছিলাম ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু হয়নি: হিরো আলম
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর পর মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।’
এর আগে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনোদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলিনি। কেউ ফুটেজ দেখাতে পারলে গলায় জুতার মালা পরে শহর ঘুরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়েছি, এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব; কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি। বিএনপির লোকজন আজকে যে হামলা করলো তাতে কি মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়েছে?’
হামলাকারীদের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির লোকজনকে বলি আমাকে মেরে ফেলবেন মারেন, কোনও অসুবিধা নেই। আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় পাই না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। বিনা অপরাধে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সবার চেহারা দেখেছি; সবার বিরুদ্ধে মামলা করবো। বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে জীবনে একটা মামলা করেছিলেন। আর ডিবি হারুন তাকে ও তার পরিবারকে ট্র্যাপে ফেলে সেই মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন। যা আমি আগেই বলেছি। বিএনপির লোকজন কীভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করলো সেটি আপনারা ভিডিওতে দেখবেন। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের ওপর পাওয়ার দেখালো, তারা ক্ষমতায় এলে দিনের বেলায় মানুষকে জবাই করবে। বিএনপির লোকজন এখনই ভাববেন না আপনারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মারধরের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। যারা মারধর করেছেন, তাদের একজনও বাঁচতে পারবে না। আমি হিরো আলম মারা যাবো কিন্তু মাথানত করবো না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, বিএনপির লোকজন আজকে আমার ওপর হামলা করেছে। একটা স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি; আরেকটা স্বৈরাচার আসছে। এটি তার প্রমাণ।
স্বৈরশাসক বলা হলেও সত্যিকার অর্থে তিনি ভালো মানুষ: সোহেল রানা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এক স্বৈরশাসককে দেশ ছাড়া করতে ৬ শতাধিক মানুষের আত্মত্যাগের ঘটনা ইতিহাসে বিরল। তবে দেশের ইতিহাসে স্বৈরাচার বলতে শুধু হাসিনাই নয়, অনেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদকেও স্বৈরাচার মনে করতেন।
হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদের সঙ্গে বেশ লম্বা সময়ের ওঠাবসা ছিল দেশের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল রানার। সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সোহেল রানা।
দেশের খ্যাতিমান এই পরিচালক জানালেন, এরশাদকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করা হতো। সে প্রসঙ্গে সোহেল রানার বক্তব্য, যাদের রক্তের মধ্যেই আছে আমরা অন্যায় করব। সেই ধরনের কিছু অন্যায় আছে যা এরশাদ করেননি তা নয়। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আমি দশ বছর তার সঙ্গে ছিলাম। আমি দশ বছর যা দেখেছি, তাতেই আমি বলতে পারি, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ।
সোহেল রানা বলেন, তাকে (এরশাদ) নয় বছরের স্বৈরশাসক হিসেবে অনেকে বলে। আমি বলি, যদি ওনাকে স্বৈরশাসক বলা হয়, তাহলে গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকা কথিত সরকারদের স্কুলে এরশাদকে ভর্তি করতে হবে; সেটাই শিখতে যে স্বৈরতন্ত্র কী, স্বৈরশাসন কাকে বলে, সেটা কীভাবে করা উচিত এবং স্বৈরশাসনের অবস্থানটা কী।
সোহেল রানার আসল নাম মাসুদ পারভেজ। তিনি চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা নাম ধারণ করে। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ছবিটির পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানার একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।
আরটিভি/এএ/এসএ
আত্মার মাগফিরাত কামনা করলেন আরশ, তানিয়া বৃষ্টি বললেন ‘ইন্নালিল্লাহি...’
ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের দুই আলোচিত তারকা আরশ খান ও তানিয়া বৃষ্টি। একসঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকেই কাজ করেছেন। এই জুটির পর্দার প্রেম একসময় রূপ নেয় বাস্তবে। একের পর এক জুটি হয়ে কাজ করায় তারা বেশ কয়েকবার প্রেমের খবরে আলোচনায় আসেন। ২০২২ সাল থেকে চর্চায় এই জুটি। সে সময় জানা যায় তারা একসঙ্গে থাকছেন রাজধানীর মহানগর প্রজেক্টে।
এদিকে অনেকদিন হলো আরশ খান ও তানিয়া বৃষ্টিকে আগের মতো জুটি বেঁধে কাজ করতে দেখা যায় না। পাশাপাশি তেমন আগের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুনসুটির ছবিও দেখা যাচ্ছে না। দুজনের মধ্যকার মধুর সম্পর্ক আজকাল রূপ নিয়েছে শত্রুতায়। একে অন্যের দিকে ছুড়ছেন কথার তির।
দিন কয়েক আগে তানিয়া বৃষ্টি আরশকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম। এ ছাড়া দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।
এরপরই আরশ বলেন, তানিয়া বৃষ্টি আমার কলিগ। কিছুদিন আগে দেখলাম আমাকে ভাই-ব্রাদার টাইপ বলেছে, আমি বলব বোনের মতো। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তার জবাবে ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন তানিয়া বৃষ্টি। পোস্টে তিনি লেখেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কারও নাম উল্লেখ না করলেও বোঝা যাচ্ছে আরশকে লক্ষ্য করেই তির ছুড়েছেন।
আরটিভি/এএ/এসএ