মা হলেন অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা
বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা কন্যা সন্তানের মাহয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানান অভিনেত্রী ও তার স্বামী অভিনেতা আলী ফজল।
বিবৃতিতে তারা জানান, আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত ১৬ জুলাই আমরা এক সুস্থ কন্যাসন্তানের মা-বাবা হয়েছি। আমাদের দুই পরিবারও খুব খুশি। ভালোবাসা ও আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
রিচাকে সর্বশেষ সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি’-তে দেখা গেছে। অন্যদিকে চলতি মাসেই মুক্তি পেয়েছে আলী ফজল অভিনীত আলোচিত সিরিজ ‘মির্জাপুর ৩’।
প্রসঙ্গত, ‘ফুকরে’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রথম কথা হয় রিচা-ফজলের, এরপর প্রেম। পরে ২০২২ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মন্তব্য করুন
অশ্লীলতার অভিযোগ, নিষিদ্ধ হলো ১৮ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বলদে যাচ্ছে বিনোদনের মাধ্যম। একসময় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান কিংবা প্রেক্ষাগৃহই ছিলো বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। তবে বর্তমানে সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।
অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও সে ধারা বজায় আছে। দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। তবে অশ্লীল কনটেন্ট দেখানোর অভিযোগে ভারত সরকার দেশটিতে চলমান ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, ভারতের সরকাড়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব প্ল্যাটফর্ম ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে আপত্তিকর এবং পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট প্রচার করছিল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এগুলোর প্রসার ঘটানো হচ্ছিল।
২০২১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ভারতে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের ওপর একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু ওই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আপত্তিকর কনটেন্ট প্রচার করে। যার কারণে দেশীয় সংস্কৃতি এবং আইন রক্ষার্থে সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
নিষিদ্ধ করা ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আনকাট আড্ডা, ভুভি, ড্রিমস ফিল্মস, ইয়েসমা, ট্রি ফ্লিকস উল্লেখযোগ্য। সরকার শুধু এই অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করেনি সেই সঙ্গে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারা এই অভিযোগ এনেছে যে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো সচেতনভাবেই ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করেছে এবং অশ্লীল কনটেন্টের মাধ্যমে সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি লোকসভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন লঙ্ঘনকারী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো শুধুমাত্র অশ্লীল কনটেন্ট প্রচারেই থেমে থাকেনি। তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে। এই মাধ্যমগুলোতে ছোট ক্লিপ আপলোড করে ব্যবহারকারীদের পুরো ভিডিও দেখার জন্য অ্যাপ ডাউনলোডে প্ররোচিত করা হয়েছে।
আরটিভি /এএ
অবশেষে বিয়ে না করার কারণ জানালেন মারজুক রাসেল
একাধারে তিনি গীতিকবি ও অভিনেতা। তিনি নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। নিজের রাজ্যেই তিনি যেন রাজা! নিজের মতো বলেন, লেখেন। নিজের মতো চলেন। তার নিজস্ব একটি ভাষা আছে। যা অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বলছি মারজুক রাসেলের কথা।
গীতিকবি ও অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত করে তরুণদের। সেইসঙ্গে তাকে নিয়ে অসংখ্য কৌতূহল ভক্তদের। এরমধ্যে অন্যতম তার চিরকুমার থাকার কারণ। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মারজুক। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
শুনেছি, জেরিন নামের এক তরুণীর সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। এরপর তিনি বিয়ে করে সংসারী হলেও আপনি হননি। এই প্রেমই কি আপনাকে সংসারবিবাগী করেছে? আপনার কি সংসারী হতে ইচ্ছা করে না?
সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে বরাবরের মতই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মারজুক বলেন, ওইটা একতরফা ছিল, আমার তরফে, ওয়ান-সাইডেড। কিশোরবেলায় প্রকৃতি আমারে দিয়া ওই পাগলামি করাইয়া নিছিল। দাম্পত্য জীবন আর সংসারজীবন এক নয়। একলাও সংসার করা যায়। কাজকর্মে, দূরে একলা থাকলেও আমি সংসারবিবাগী নই—নানু, মা, বোন, ভাইদের নিয়েই আমাদের সংসার। দাম্পত্যে জড়াইতে প্রথম চেষ্টা করছি ১৯৯৬ সালেই, ম্যাচ হয় নাই।―ম্যাচ না করলে, সামাজিক আইন মাইনা, জোর কইরা ম্যাচ করাইয়া আজীবন বা বিচ্ছেদের পূর্বাপর ‘ক্যাচক্যাচ, ঘ্যাচঘ্যাচ’ কইরা যাওয়ায় আমি আগ্রহী নই। ইংরেজি ‘ম্যাচমেকিং’ শব্দবন্ধটা এই ক্ষেত্রে স্মরণীয়। ‘ম্যাচ’ করে না!
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রাজনৈতিক স্যাটায়ারভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘৮৪০’। এতে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আরটিভি/এএ/এস
অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান আর নেই
অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শিল্পী সমিতির সাভপতি মিশা সওদাগর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অঞ্জনা রহমান টানা ১০ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই কদিন তিনি সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তার আশানুরূপ কোনো উন্নতি হয়নি। বরং অবস্থার অবনতি হয়। তাই বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
জানা গেছে,জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে অঞ্জনা অসুস্থ। শুরুতে তার জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। এর মধ্যে ‘অশিক্ষিত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘আশার আলো’, ‘জিঞ্জির’, ‘আনারকলি’, ‘বিধাতা’, ‘বৌরানী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘মানা’, ‘রাম রহিম জন’, ‘সানাই’, ‘সোহাগ’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ও ‘অভিযান’ উল্লেখযোগ্য।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।
বিয়ে করলেন তাহসান, পাত্রী কে?
কোনো রকমের পূর্বাভাস বা গুঞ্জন ছাড়াই দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
বিয়ের খবরটি গণমাধ্যমকে তাহসান নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পাত্রীর নাম রোজা আহমেদ। তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর সেখানে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে একটি রূপসজ্জা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এ ছাড়া বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি একজন মেকআপ শিক্ষিকা হিসেবে তিনি বহু নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছেন।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসান ও রোজা দম্পতির নতুন জীবনের পথচলায় শুভকামনা জানাচ্ছেন ভক্তরা। কেউ কেউ বলছেন, অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিলো।
অন্যদিকে, তাহসান খান গায়ক-গীতিকার, অভিনেতা ও টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন।
এর আগে, ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট তাহসান খান অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যা সন্তান আইরা তাহরিম খান। তবে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর হঠাৎই তারা সেই সম্পর্কের ইতি টানেন। এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
আরটিভি/আইএম/এস
তাহসানের স্ত্রী কে এই রোজা
পৌষের শীতে এ যেন এক উত্তাপ ছড়ানো খবর। বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, স্ত্রী কে? আর কিইবা তার পরিচয়।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, তাহসানের স্ত্রীর নাম রোজা আহমেদ। তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তাও।
এ ছাড়া প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন রোজা আহমেদ। পাশাপাশি একজন মেকআপ শিক্ষিকা হিসেবে তিনি বহু নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে রোজার রয়েছে অসংখ্য অনুসারী এবং নেটিজেনদের কাছেও তিনি জনপ্রিয়।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসান ও রোজা দম্পতির নতুন জীবনের পথচলায় শুভকামনা জানাচ্ছেন ভক্তরা। কেউ কেউ বলছেন, অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিলো।
এর আগে, ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট তাহসান খান অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। তবে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর হঠাৎই তারা সেই সম্পর্কের ইতি টানেন। এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
আরটিভি/আইএম/এস
বিয়ের খবর ভাইরাল, যা বললেন তাহসান
ভোর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খানের বিয়ের খবর ভাইরাল। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিষয়টি খোলাসা করেছেন তাহসান নিজেই।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
জনপ্রিয় এই গায়ক-অভিনেতা বলেন, এখনও বিয়ে হয়নি। এমনকি কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। আজ সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।
এর আগে, আজ ভোরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই মূলত খবরটি ছড়ায়।
জানা গেছে, তাহসানের স্ত্রীর নাম রোজা আহমেদ। তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তাও।
এ ছাড়া প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন রোজা আহমেদ। পাশাপাশি একজন মেকআপ শিক্ষিকা হিসেবে তিনি বহু নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছেন।
সামাজিকমাধ্যমে রোজার রয়েছে অসংখ্য অনুসারী এবং নেটিজেনদের কাছেও তিনি জনপ্রিয়।
এর আগে, ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট তাহসান খান অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। তবে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর হঠাৎই তারা সেই সম্পর্কের ইতি টানেন। এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
আরটিভি/আইএম/এস
নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য, শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন
মুখ ভরা হাসি নিয়ে আর প্রিয় মানুষদের কাছে ফেরা হলো না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের। এক সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরের দিন শনিবার এফডিসিতে প্রথম ও চ্যানেল আইয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে অঞ্জনার মৃত্যুর পর সামনে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। অভিনেত্রীর নিকটাত্মীয় সালমা হক শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আরটিভিকে বলেন, হঠাৎ করে দেখি যে আপার অনেক জ্বর আসছে। কাঁপুনি দিয়ে প্রচণ্ড জ্বর। আমি ও আমার ভাই মুগদা হাসপাতালের মেডিসিন ডাক্তার আবু রুহানিকে ফোন দিলাম। তাকে বললাম, অঞ্জনা আপা অসুস্থ, অনেক জ্বর আসছে, বাথরুমও করে দিয়েছে বিছানায়। তিনি বললেন তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করো। পরে আপার পালিত ছেলে মনিকে বললাম যে বাবা তুমি ভর্তি করো। সে বললো না কিছু হবে না, ঠিক হয়ে যাবে। আম্মুর এরকম হয়েছে অনেকবার উত্তরায় থাকতে, ঠিক হয়ে যাবে। আমি চারদিনই এসে আপাকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে বিছানায় বাথরুম করে দিয়েছে। আমি এসে এসে আবার স্যুপ খাইয়ে দিয়ে গেছি। পরে আমি হাত ধরে দেখলাম যে হাত ধরলে নিচে পরে যায়। তখন ভাবলাম হয়তো স্ট্রোক করেছে।
তিনি বলেন, বাসার তিনজন কাজের লোক বলল আপা উনি তো চার দিন ধরে বিছানায় বাথরুম করতেছে। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ছয়দিন তিনি বিছানায় পরে ছিলেন। হয়তো তার ডেঙ্গুও হয়েছিল। আমার মনে হয় ডেঙ্গু থেকে তার সমস্যা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্ট্রোক করেছে।
সালমা আরও বলেন, আসলে আপার সঙ্গে কি হয়েছে তা ঠিক আমি আর বলতে পারছিনা। মনি ছোট মানুষ, তাই হয়তো বোঝেনি। না হলে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। পরে আমি তার মেয়ে জামাই রিপনকে বললাম। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে রহস্যের জট যেনো খুলছেই না। শেষ বিদায়ের জন্য অভিনত্রেীকে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে গোসল সম্পন্ন করা হয়। সে সময় তার শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বলে আরটিভিকে নিশ্চিত করেছেন একটি সূত্র।
সূত্রটি আরটিভিকে বলেন, সকালে গোসল করানোর সময় আমি দেখি তার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন। যেগুলো দেখে আমার কাছে স্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। শুধু তাই নয় আপা আমাকে মাঝে বলেও ছিলো কে বা কারা যেনো তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে যা নিয়ে তিনি বেশ ভয়ে ছিলেন। মাঝে আমাকে একদিন কল দিয়েও বলে ছিল দেখা করতে কি যানো বলবে! কিন্তু সেই কথাটি শেষ পর্যন্ত আর শোনা হলো না।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা যায় অঞ্জনার পালিত ছেলে মনি তার মায়ের অসুস্থতার খবর কাউকে জানায়নি। এমনকি কেউ দেখা করতে চাইলে তাও দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। এর মধ্যে ‘অশিক্ষিত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘আশার আলো’, ‘জিঞ্জির’, ‘আনারকলি’, ‘বিধাতা’, ‘বৌরানী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘মানা’, ‘রাম রহিম জন’, ‘সানাই’, ‘সোহাগ’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ও ‘অভিযান’ উল্লেখযোগ্য।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।
আরটিভি/এএ/এআর