• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘আসমানী হওয়ার চেষ্টা করছি’

এ এইচ মুরাদ

  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:২০

দেশীয় চলচ্চিত্রে আগমন ঘটেছে এক সুন্দরী নায়িকার। তিনি সুস্মি রহমান। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবিতেই নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। সঙ্গে আছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। ছবির নাম ‘আসমানী’।বড় পর্দায় কাজের সুযোগ পাওয়া, অভিজ্ঞতা, নতুন পরিকল্পনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সুস্মি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এ এইচ মুরাদ।

‘আসমানী’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?

২০১০ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করি। এসময় অনেক ধারাবাহিক, খণ্ড নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। আর নাটকে অভিনয়ের সময় থেকে আমার এই ছবির পরিচালক এম সাখাওয়াত হোসেন এর সঙ্গে একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন সাখাওয়াত ভাই ‘আসমানী’ ছবির গল্পটি শোনালেন আমাকে। তখন ভাবীও (নির্মাতার স্ত্রী) ছিলেন। ভাবীই আমাকে বললেন চরিত্রটিতে আমাকে খুব মানাবে। তারপর থেকেই আসমানী হওয়ার চেষ্টা করছি (হাসি)।

ছবিতে আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন

গল্পে কখনো গ্রামের সাধারণ মেয়ে, কখনো বয়স্কা মহিলা, কখনো আবার পতিতা। আমার চরিত্রে অনেকগুলো শেড রয়েছে। অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। কাজটি করার সময় অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ দর্শকরা আসমানীকে গ্রহণ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আপনার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী

বাপ্পী চৌধুরী দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন নায়ক আর এটি আমার প্রথম অভিনয়। ভেবেছিলাম সিঙ্ক করতে অসুবিধা হবে। কিন্তু একদমই না কাজটি আমরা বন্ধুর মতোই করেছি। বাপ্পীর কাছে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। শুধু বাপ্পী নয় ছবিতে অনেক সিনিয়র অভিনেতা কাজ করেছেন। শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় সবার কাছেই সহযোগিতা পেয়েছি।

ছোট পর্দা ও বড় পর্দার মধ্যে পার্থক্য কেমন?

আমার কাছে বড় পর্দায় কাজের অভিজ্ঞতা ভিন্ন এবং ভালো লাগার। আমি বলব দীর্ঘদিন টেলিভিশনে কাজ করে যেটা পাইনি সেটা ‘আসমানী’ করতে গিয়ে পেয়েছি। দেখুন আমার ছবির পোস্টার, টিজার কিছুই বের হয়নি তবুও বাইরে গেলে অনেকেই জানতে চান আপনি ‘আসমানী’ ছবিতে অভিনয় করছেন তাই না। এই জিনিসটা কিন্তু আমি ছোট পর্দায় কাজ করে পাইনি। আরো একটি মজার কথা বলি, আমরা গাইবান্ধায় ছবির শুটিং করতে গিয়েছিলাম। সেটা ছিল প্রথম লটের শুটিং। সেখানকার একটি বাজারে আমাদের শুটিং হয়। জানেন তারপর থেকেই গ্রামের মানুষ ওই বাজারটার নাম দিয়েছে আসমানী। এক বছর পরেও মানুষ ওই জায়গাটাকে আসমানী বলে ডাকেন। এটা আমার জীবনে অনেক বড় একটি পাওয়া। আর চলচ্চিত্রে আমি নতুন হলেও বাংলা চলচ্চিত্রের ফেসবুকে আমাকে নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে বিষয়টি আমাকে সত্যি খুব আনন্দ দেয়।

নতুন কাজের খবর কী?

কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজের ব্যাপারে কথা চলছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেশের মধ্যে অনেকেই কাজের ব্যাপারে কথা বলছেন। আমার আসমানী ছবিটি আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবার কথা। ছবিটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। আমার লেডি অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করার খুব ইচ্ছে। যদি সেরকম ছবিতে সুযোগ পাই কাজ করার ইচ্ছে আছে। সবসময় চেয়েছি ভালো অভিনেত্রী হতে। আর কাজের ক্ষেত্রে আমার কাছে বাণিজ্যিক ছবি প্রথম পছন্দ।

ছোট পর্দায় আবার কবে দেখা যাবে?

আসমানীর শুটিং শুরু আগে থেকেই ছোট পর্দায় কাজ বন্ধ রেখেছি। বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও আপাতত টিভি নাটকে কাজের ইচ্ছে নেই। এই মুহূর্তে বড় পর্দার জন্যই নিজেকে তৈরি করছি।

একটু পেছনে ফিরে যেতে চাই। শোবিজে আপনার শুরুটা হয়েছিল কীভাবে?

র‍্যাম্পের মাধ্যমে আমার মিডিয়ায় পথচলা শুরু। সেটা ২০০৪ সালের দিকের কথা। ২০০৯ সালে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সঙ্গে কাজের সুযোগ আসে। তখন থেকেই নিয়মিত প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডে কাজ করি। টানা ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে অংশ নিই। তাদের সাথে আমার সবশেষ কাজ ছিল জিপিস্টারের বিজ্ঞাপনচিত্র। প্রায় দুই বছর বিজ্ঞাপনটি টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল।

এম/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh