আরটিভির ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে বিভ্রান্তি
দীর্ঘদিন ধরেই দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি নিউজের ফেক (মিথ্যে) ফটোকার্ড তৈরি করে সাধারণ পাঠকদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে একটি কুচক্রীমহল।
ওই কার্ডগুলো আরটিভির তৈরি নয়। একটা মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সামাজিকমাধ্যমে ভুয়া কার্ড ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এতে পাঠকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নানান সংশয়।
সম্প্রতি আরটিভি নিউজের বিনোদন সংবাদের কিছু ফেক ফটোকার্ড চোখে পড়ছে। সেখানে আসন্ন ঈদে মুক্তিপ্রতিক্ষীত কয়েকটি সিনেমাকে ঘিরে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। কার্ডে চলচ্চিত্রগুলোর যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে সেগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন ও ভুয়া। বিভ্রান্তি এড়াতে পাঠকদের আরটিভি নিউজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুরোধ জানানো হলো।
মন্তব্য করুন
একই মামলার আসামি হলেন অপু বিশ্বাস-হিরো আলম
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। মামলার আরও দুই আসামি হলেন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপন।
প্রযোজক সিমি দাবি করেন, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করলেও সমাধান পাননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা গেছে, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গেল বছর আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও জাহিদুলকে।
বিষয়টি জানতে পেরে সমাধান করার আশ্বাস মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। বলা হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে।
দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা তার ভিডিওগুলো নেই।
বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।
মামলা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সিমি ইসলাম বলেন, ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুদিন অপুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সে-ও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু তার কথাও সে রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, আমি রাজি হলে অপুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর কোনো খবর নেই।
আরটিভি/এইচএসকে
‘এমন হতভাগী আমি তোমাকে শেষ বিদায় জানাতে পারলাম না’
দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় মারা যান তিনি।
জানা গেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জরায়ু ক্যানসার ধরা পড়ে আফরোজা হোসেনের। তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মেরুদণ্ডের হাড়ে। চিকিৎসার জন্য ভারতেও নেওয়া হয়েছিল তাকে। গত বছরের শেষদিকে কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও, অবশেষে মরণব্যাধির কাছে হার মানলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আফরোজার সঙ্গে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই। আজ ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তিনি আরও লেখেন, আপা আমি এখন তিনবেলা ফোনে কার সঙ্গে কথা বলব? আমাকে কে সাহস দিবে গো? তোমার সন্তান নাঈমকে আমি কি বলে সান্ত্বনা দিব গো।
সবশেষে অভিনেত্রী আবগেঘন হয়ে লিখেছেন, আমি টাঙ্গাইলে, এমন হতভাগী আমি তোমাকে শেষ বিদায় জানাতে পারলাম না। তুমি যাও, আমি আসছি গো আপা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০-১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন আফরোজা। ক্যারিয়ারের শুরুতে টেলিভিশন নাটক দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং পরে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন এই অভিনেত্রী।
আরটিভি/এএ-টি
‘যে এই ফেরেশতার জীবন নিয়ে গেছে, তার যেন কবর না হয়’
নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলেছে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহার মরদেহ। শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষিকা, শিক্ষিকার মা ও নানি তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার পুঁতে ফেলা মরদেহ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবিকে হাতেনাতে আটক করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মুনতাহাকে অপহরণের পর ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়।এরপর আলীফজান বেগম রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে মুনতাহা নিখোঁজের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি শেয়ার করে অনেকেই সন্ধান চেয়েছেন। সেই কাতারে ছিলেন শোবিজের অনেক তারকা। তার মৃত্যুর খবর শুনে হয়ে পড়েছেন সবাই হতভম্ব। অনেকেই তার ছবিটি শেয়ার করে নিজেদের অনুভূতির কথা লিখছেন।
মডেল ও অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ মুনতাহার একটি ছবি শেয়ার করে তার ফেসবুকে লিখেছেন, সকাল সকাল কাঁদলাম। আল্লাহ্ তুমি দুনিয়াতেই তার বিচার করো যে এই ফেরেশতার জীবন নিয়ে গেছে তার যেন কবর না হয়।
প্রসঙ্গত, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এএ-টি
ফারুকীর উপদেষ্টা হওয়া নিয়ে যা বলছেন সংস্কৃতি কর্মীরা
অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
ফারুকীর উপদেষ্টা হওয়ার খবরটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শুভকামনা জানাচ্ছেন এই পরিচালককে। ফারুকীকে প্রথম অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
সন্ধ্যা ৭টায় এই নির্মাতা শপথগ্রহণের আগেই ফারকীর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাকে অভিনন্দন জানান জয়। যেখানে তিনি লেখেন, অভিনন্দন ফারুকী ভাই। আমাদের মানুষ। আমাদের আস্থা। শান্তির বার্তা দিয়ে হোক শুরু আপনার নেতৃত্ব।
‘পরবাসিনী’, ‘লালটিপ’ সিনেমার পরিচালক স্বপন আহমেদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইকে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এটা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়! অভিনন্দন ফারুকী ভাই...আশা করি, এখন থেকে শিল্পী, শিল্পপ্রেমী, মিডিয়া, নাটক, সিনেমা এবং এই অঙ্গনের মানুষদের জন্য কোনো বাধা থাকবে না। আমাদের কমিউনিটি থেকে তার চেয়ে যোগ্য প্রতিনিধি আর কে হতে পারে! আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন আরেক নির্মাতা খিজির হায়াত খান। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, যাক, অবশেষে একজন শিল্পী (চলচ্চিত্র নির্মাতা) উপদেষ্টামণ্ডলীতে স্থান পেলেন।
অভিনেতা শিবলু লিখেছেন, অভিনন্দন! নতুন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কিছুদিন আগে নিজের ফেসবুক আইডি তে উপদেষ্টা হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন,এবার সত্যি ই উপদেষ্টা হয়ে গেলেন জনপ্রিয় পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
পরিচালক রাশীদ পলাশ শুভকামনা জানিয়েছেন এই নির্মাতাকে। আরেক পরিচালক সাজ্জাদ খান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, অবশেষে প্রিয় সরয়ার ফারুকী ভাইউপদেষ্টা হইতে পারলেন। সময়ের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।
পরিচালক গৌতম কৈরী লিখেছেন, অভিনন্দন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাই। তীব্র শুভকামনা।
গায়িকা এলিটা করিম লিখেছেন, অভিনন্দন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাই। নতুন কালচারাল উপদেষ্টা।
নির্মাতা রেদোয়ান রনি লিখেছেন, এর চেয়ে গৌরবের মূহুর্ত আমাদের ছবিয়াল ভাই বেরাদরের জীবনে আর কী হতে পারে! আমাদের গুরু Mostofa Sarwar Farooki আজ সংস্কৃতি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন, আমাদের সরো ভাই, আমাদের অভিভাবক,শিক্ষক,পরিবারের বড় ভাই যিনি সুখে দুখে আমাদের আগলে রেখেছেন এতদিন। দেশের এত বড় এক দায়িত্ব আজ কাঁধে তুলে নিলেন, আশা করি বরাবরের মতোই বাংলাদেশ তার মেধা পরিশ্রম সততা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে যাবে, আমরাও বরাবরের মতোই তার পাশে আছি নতুন বাংলাদেশে সবচেয়ে আশার আর ভরসার দিন আজ আমার, আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের সবার।
আরটিভি/এএ-টি
‘আহা ফুটফুটে মুনতাহা, এমন গোলাপ কলি ফুটতে দিলো না দৈত্যের দল’
নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলেছে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহার মরদেহ। শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষিকা, শিক্ষিকার মা ও নানি তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার পুঁতে ফেলা মরদেহ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবিকে হাতেনাতে আটক করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মুনতাহাকে অপহরণের পর ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এরপর আলীফজান বেগম রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে মুনতাহা নিখোঁজের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি শেয়ার করে অনেকেই সন্ধান চেয়েছেন। সেই কাতারে ছিলেন শোবিজের অনেক তারকা। তার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই হতভম্ব। অনেকেই তার ছবিটি শেয়ার করে নিজেদের অনুভূতির কথা লিখছেন।
অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী মুনতাহার একটি ছবি ও শেয়ার করে তার ফেসবুকে লিখেছেন তিনজন হত্যাকারীর ছবি পোস্ট করে নিজের ফেসবুকে লিখেন, এদেরকে কি মানুষ বলা যায়? এতটুকু শিশুকে যারা খুন করে তাদের কীভাবে মানুষ বলি! তাহলে তারা আসলে কি! একজন নারী, যিনি একজন মা, সে কীভাবে এত নিষ্ঠুর হয়। আহা ফুটফুটে মুনতাহা, এমন গোলাপ কলি ফুটতে দিলো না দৈত্যের দল। বেহেশতী ফুল তুমি সেখানেই ফুটে থেকো। তবে দুনিয়াতে তুমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে যে দোজখের আগুন ফেলে গেলে সে আগুন কোনো সান্ত্বনায় নিভবে জানি না। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দিন।
তিনি আরও বলেন, এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। গায়ের জোড়ে, নিজের জিদ তেজ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে যারা মানুষ খুন করে বা করতে চায় তারা মানষিক বিকারগ্রস্ত। তারা হিংস্র। হিংস্র প্রাণী যেমন লোকালয়ে রাখা যায় না, তাদের হয় জঙ্গলে অথবা লোহার সিকের বেষ্টনীতে রাখা হয়, এই মানুষদেরও আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করে আটকে রাখা উচিত। মাথাটা আউলা লাগছে, এই নিউজটা নেওয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এএ
‘মুজিব’ সিনেমায় তিশার অভিনয় নিয়ে সমালোচনা, মুখ খুললেন ফারুকী
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করেছিলেন ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায়। রোববার (১০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রথম দিন যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপদেষ্টা ফারুকী। সেখানে তিনি তাকে ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে চলা সমালোচনাসহ নানা বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী তিশার ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় ও সমালোচনা প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কোনো ধরনের উসকানিমূলক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। আপনারা আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করলে আমি জবাব দেব। কিন্তু যে প্রশ্ন উসকানি তৈরি করে এমন প্রশ্ন করবেন না।
এরপর শিল্পকলায় নাটক বন্ধ করা উগ্রবাদী অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারুকী বলেন, আমি বিষয়টা জানি। তবে একটা বলতে চাই এই সরকার কখনো শিল্পের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি এবং কখনো বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। তবে পাশাপাশি কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যারা শিল্পের চর্চা করেন তাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। যেমন আমরা সবাই জানি জুলাইতে দেশে গণহত্যা হয়েছে এমন না যে কেবল সরকার পতন হয়েছে। যদি জনতা বিজয়ী না হতো তাহলে আমি আজ এখানে থাকতাম না জেলে থাকতাম। এমন আমাদের অনেকের সঙ্গেই হতো। যারা জুলাইতে গণহত্যা চালিয়েছে সরকার তাদেরও বিচার করবে। যারা সরাসরি এটার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার হবে। এখন হত্যার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য ফিফথ হ্যান্ড অপরাধীরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতির জন্য ভালো কিছু না।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে রোববার (১০ নভেম্বর) শপথ নিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন— প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
আরটিভি/এএ-টি
নাম নিয়ে বিভ্রাট, যে ধর্মের অনুসারী নায়ক আলেকজান্ডার বো
দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচিত নাম আলেকজান্ডার বো। অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে বিনয়ী, ভদ্রলোক হিসেবেই পরিচিতি তার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে এই নায়ক আসলে কোন ধর্মের তা জানিয়েছেন।
আলেকজান্ডার বো সেই ভিডিওতে বলেন, আসলে আমার ধর্ম ইসলাম। আমার নাম শুনে অনেকেই আমি কোন ধর্মের মানুষ তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। আসলে আমার পারিবারিক নাম নজরুল ইসলাম স্বপন। আমি যখন প্রথম চলচ্চিত্রে আসি তখন আমার ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন ও ফরীদি ভাই মিলে আমার আলেকজান্ডার বো নামটি দেন। যেহেতু চলচ্চিত্র এসেছি কাজ করতে, সেই ক্ষেত্রে আমার পারিবারিক নামটি নায়কখচিত মনে হতো না। নামটির মাঝে একটু কবি কবি ভাব ছিল। তাই তারা সবাই মিলে নামটি পরিবর্তন করেন। আর আমার নির্মাতার পছন্দের একজন নায়ক ছিল। যিনি হংকংয়ের মার্শালাটের একজন হিরো ছিলেন। সুতরাং সেই সময় তার নামের সঙ্গে মিল রেখেই আমার নাম রাখা হয় আলেকজান্ডার। আর আমি যেহেতু মার্শালাট থেকে এসেছি সেই ক্ষেত্রে আমাদের যে সম্মান দেওয়া হয় মার্শালাটে সেটাকে জাপানি ভাষায় বো বলা হয়। সেই জায়গা থেকেই বো নিয়ে আলেকজান্ডার বো নামকরণ করা হয়। আর এরপর থেকেই এই নামেই আমি দর্শকদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠি।
প্রসঙ্গত, আলেকজান্ডার বো ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবিতে শিমলার বিপরীতে আলেকজান্ডারের অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়।
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আলেকজান্ডার। প্রতিবারই গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ১৯৯৭ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে রাশিয়াতে ইউরোপিয়ান কারাতে প্রযোগিতায় অংশ নিয়ে রানারআপ হয়েছিলের। ১১তম দক্ষিণ কোরিয়া ওপেন এবং ৩০ তম বুসান মেয়রস কাপ কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৮ তে স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৩টি দেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমক দেখিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ১৩৫টিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলেকজান্ডার বো। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এ অভিনেতা।
আরটিভি/এএ/এসএ