• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কাঁদার সময় গ্লিসারিন ব্যবহার করিনি : নাবিলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৯

পারবেন না, সেটা জেনে কোনো কাজে হাত দেন না। মন সায় দিলেই হ্যাঁ বলেন। অভিনয় দক্ষতায় টিভি পর্দায় জনপ্রিয় হয়েছেন অনেক আগেই, এবার আসছেন বড় পর্দার দর্শকদের হৃদয় হরণে। বলছিলাম প্রিয়মুখ মাসুমা রহমান নাবিলার কথা। আজ শুক্রবার ‘আয়নাবাজি’র হৃদি হয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। জুটি বেঁধেছেন তুখোড় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সঙ্গে। ছবির পরিচালনায় জনপ্রিয় নির্মাতা অমিতাভ রেজা। ‘আয়নাবাজি’ মুক্তির আগেই আরটিভি অনলাইনের সামনে মুখোমুখি হন নাবিলা। তার সেই মুখবন্ধ লিখেছেন এ এইচ মুরাদ।

হৃদি চরিত্র সম্পর্কে বলুন
‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্র আয়নাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি চরিত্রের আনাগোনা। হৃদি চরিত্রও ঠিক তাই। প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রেম আসে। হৃদিও আয়নার জীবনে প্রেম হয়ে আসে। পাশের বাড়ির মেয়ে, খুব সাধারণ, শিক্ষিত ও সৃজনশীল। থ্রিলারের মধ্যদিয়ে এ চরিত্র একটি সুবাতাস নিয়ে স্ক্রিনে হাজির হয়।

কখনো ভেবেছিলেন চলচ্চিত্রে কাজ করবেন?
ফিল্ম করবো কিংবা নায়িকা হবো এরকম কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে মিডিয়াতে কাজের প্রেক্ষিতে অনেক সময়ই বড় পর্দায় কাজের অফার পেয়েছি। তখন চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি, নায়িকা হিসেবে মানাবে না আমাকে।

এখন?
ছবির ট্রেইলার প্রকাশের পর থেকেই পজেটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। আমার খুব ভালো লাগছে এ কারণে, অনলাইনে ভালো মন্দ দু’টো বিষয়ই কমেন্ট জানানোর সুযোগ থাকে। এখন পর্যন্ত সবার কাছ থেকে ভালো লাগার বিষয়টি জানতে পারছি। দর্শক হলে ছবিটি কীভাবে গ্রহণ করেন তাই দেখার অপেক্ষায়।

ছবিটি নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি...
আসলে যা গত হয় তা পুরোটাই তো স্মৃতির পাতায় রয়ে যায়। তিন মাস ধরে ছবিতে কাজ করেছি। প্রথম যেদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই খুব ভয় পেয়েছিলাম। যেদিন শেষ শুটিং চলছিল সেদিন কান্নার দৃশ্যে অভিনয় করছিলাম। জানেন, সত্যিই খুব কাঁদছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল আজকেই শেষ, কাল থেকে আর ক্যামেরার সামনে আসা হবে না। ওই দিনের মতো পুরো ছবির শুটিংয়েই কান্নার দৃশ্যগুলোতে গ্লিসারিন ব্যবহার করিনি। ছবির সবগুলো ইমোশনাল শর্টেই দর্শক ন্যাচারাল কান্না দেখতে পাবেন।

ভবিষ্যতেও কি চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখা যাবে?
চলচ্চিত্রে ফের কাজ করবো, এমন ইচ্ছে নেই। তবে হ্যাঁ, যদি এ চলচ্চিত্রের (আয়নাবাজি) মতো কোনো কাজ পাই তখন ভেবে দেখবো। নাচে-গানে ভরপুর ছবিতে কাজের ইচ্ছে নেই। ‘আয়নাবাজি’ও বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি। এতে বিনোদনের সবকিছুই আছে।

‘আয়নাবাজি’র জন্য প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?
প্রথমই যেটি বলবো, শুটিংয়ের তিন মাস অন্যকোনো কাজ করিনি। চেয়েছিলাম চরিত্রের যে ঘোরের মধ্যে আছি সেটি ধরে রাখতে। আর আমাদের বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপ হয়েছিল। আরো একটি মজার ঘটনা আছে- এতোদিন ধরে উপস্থাপনা করছি, কিন্তু কেউ কখনো বলেননি আমার উচ্চারণে সমস্যা আছে। অমিতাভ ভাই-ই (আয়নাবাজির পরিচালক) প্রথম বলেছিলেন যে, আমার উচ্চারণ অস্পষ্ট। এটিকে বলে টেলড্রপ। যখন কোনো শব্দ শেষ করি তখন শেষেরটা শোনা যায় না। এজন্যও আমাকে ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে।

চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
দক্ষ একজন অভিনেতা। এতো বড়মাপের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করলাম, তা বোঝার উপায় ছিল না। খুব বন্ধুত্বপরায়ন মানুষ। শুটিংয়ের সময় তার কাছে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

চলচ্চিত্র নিয়ে প্রত্যাশা...
প্রত্যাশা তো অনেক বেশি। আমরা ভালো লাগার জায়গা নিয়ে কাজটি করেছি। এখন দর্শকদের ছবিটি ভালো লাগলেই নিজেকে সার্থক বলে মনে করবো। ভালো কাজের প্রাণ হলেন তারাই। রায় দেয়ার ভার তাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।

এইচএম/ এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh