মান্নার কথা বলতেই কেঁদে ফেললেন ওমর সানী
বাংলা চলচ্চিত্রের অনবদ্য এক নাম মান্না। সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর ঢাকাই সিনেমার হাল একাই ধরেছিলেন এই তারকা। সামাজিক, রোমান্টিক, অ্যাকশন- সব ঘরানার সিনেমা দিয়ে দর্শকের মন জয় করে নেওয়া প্রয়াত এ অভিনেতা এখনও ভক্তদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই মহানায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সহকর্মী ওমর সানীর সাথে কথা হয় আরটিভির। জানালেন মান্নাকে নিয়ে নানা অজানা কথা।
শুরুতেই নায়ক মান্নাকে চলচ্চিত্রের অন্যতম খুঁটি উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, একটি শক্ত ঘর বানাতে আটটি খুঁটি লাগে। আমার মতে বাংলা চলচ্চিত্রের আটটি খুঁটির মাঝে তিনি একজন। তিনি আপাদ মস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ ছিলেন। নিজের থেকে তিনি চলচ্চিত্রকে বেশী ভালোবাসতেন। মাঝে মাঝে তিনি অসুস্থ হলে আমি প্রায়ই ভাইকে বলতাম চলেন ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসি, তখন তিনি বলতেন আরে মিয়া দূর কিছুই হবে না, বাদ দাও। এরপরেও মান্না ভাইকে একবার আমি গুলশানের একটি হাসপাতালের চেকাপের জন্য নিয়ে গিয়ে ছিলাম।
নায়ক মান্না ভীষণভাবে পলিটিশিয়ান ছিলে উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, মান্না ভাই আমার বন্ধু-বড় ভাই ছিল। তিনি ভীষণভাবে পলিটিশিয়ান ছিলে তবে তা ভালো দিক দিয়ে। সবসময় চলচ্চিত্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করতেন। ভাই শতভাগ নায়কদের মতো ফিটেস্ট ছিলেন না। সে সময় আমরা তার থেকে অনেক অ্যাডভান্স ছিলাম কিন্তু তারপরেও তিনি আমাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের থেকে অনেক অনেক উপরে ছিলেন তিনি। আল্লাহ মান্না ভাইকে ভালো রাখুক।
প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই মহাতারকা। মান্নার পরিবারের দাবি, ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মামলা এখনো চলমান।
মান্না অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান, বীর সৈনিক, শান্ত কেনো মাস্তান, বসিরা, খল নায়ক, রংবাজ বাদশা, সুলতান, ভাইয়া, টপ সম্রাট, চাঁদাবাজ, ঢাকাইয়া মাস্তান, মাস্তানের উপর মাস্তান, বিগবস, মান্না ভাই, টপ টেরর, জনতার বাদশা, রাজপথের রাজা, এতিম রাজা, টোকাই রংবাজ, ভিলেন, নায়ক, সন্ত্রাসী মুন্না, জুম্মান কসাই, আমি জেল থেকে বলছি, কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি।
মান্না তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন