• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন মদ্যপ ধর্মেন্দ্র

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৯

‘হেমা মালিনী : বেওয়েন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ বইটি সদ্য প্রকাশিত হয়েছে। বইটি এ নায়িকার জীবনী নিয়ে লেখা। আর সেই বইতে তার জীবনের নানা অজানা কথা সামনে এসেছে।

সেখান থেকে জানা গেছে কোনো একসময় পরিবারের চাপে জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে পর্যন্ত বসতে হয়েছিল হেমাকে। কারণ তার পরিবারের লোক মোটেই মেনে নেননি ধর্মেন্দ্রকে।

হেমা-জিতেন্দ্র একে অপরের ভালোবাসতেন শুরু থেকেই। কিন্তু পরিবারের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন বিষয়টি। এই সম্পর্কটি লুকিয়ে রাখার জন্য বাইরেও দেখা করতেন না তারা।

ওই সময়ে তারা একসঙ্গে বহু সিনেমায় কাজ করেছিলেন। এর ফলে বেশির ভাগ সময় শুটিং সেটেই দেখা হতো তাদের। এর মধ্যে একদিন হঠাৎ উধাও হয়ে যান হেমা। যদিও পরে ফিরে আসেন তিনি, কিন্তু তারপর থেকে পরিবারের সদস্যদের কড়া নজরদারিতে চলে যান এ অভিনেত্রী।

তখন জিতেন্দ্রর সঙ্গে দুটি ছবিতে কাজ করছিলেন হেমা। একটি হলো দুলহান (১৯৭৪), অপরটি খুশবু (১৯৭৫)।

জানা যায়, জিতেন্দ্ররও হেমার প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা ছিল। যদিও হেমা সে ব্যাপারে কোনোদিনই তেমন আগ্রহ দেখাননি। তাই বিষয়টা মেনে নিয়ে তারা দুজনেই ভালো বন্ধু হয়ে যান।

এমনকি তাদের বন্ধুত্ব এতটাই গভীর ছিল যে জিতেন্দ্রর সঙ্গে মুমতাজের সম্পর্কের কথা নাকি সে সময় একমাত্র হেমাই জানতেন। তবে সম্পর্কের এই সমীকরণ নিয়ে মোটেই খুশি ছিলেন না ধর্মেন্দ্র। তিনি সবসময়ই জিতেন্দ্রকে সন্দেহ করতেন। তার জেরে কোনো একসময় শুটিং ফ্লোরে তাণ্ডবও করে আসেন ধর্মেন্দ্র।

তারপর হেমার পরিবার মেয়েকে রাজি করান জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে করতে। এই বিয়ে নিয়ে জিতেন্দ্রর পরিবারে যখন খুশির মেজাজ, তখন অস্থির অবস্থা হেমা-জিতেন্দ্র। এমনকি একতা কাপুর-তুষার কাপুরের বাবা এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে বলেনও- তিনি হেমাকে ভালোবাসেন না। হেমাও তাকে ভালোবাসেন না। শুধু পরিবারের আবদারে বিয়ে করছেন তারা দুজনে।

এই বিয়ে যাতে কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হতে পারে, সেজন্য দুই পরিবারের লোক মাদ্রাজ চলে যান। কিন্তু এই খবরে নাকি একেবারেই ভেঙে পড়েন ধর্মেন্দ্র। সেসময় তিনি তার বিমানবালা প্রেমিকা শোভা সিপ্পির বাড়িতে যান। সেখান থেকে তারা মাদ্রাজে যান অবস্থা দেখতে।

যেখানে হেমার বিয়ে হচ্ছিল সেই বাড়িতে ধর্মেন্দ্র পৌঁছাতেই অভিনেত্রীর বাবা নায়ককে একরকম গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। প্রশ্ন ছিল, তার মেয়ের জীবন থেকে কেন চলে যাচ্ছেন না ধর্মেন্দ্র?

কিন্তু সেসময় মদ্যপ ধর্মেন্দ্র কিছু শুনতে চাননি। অবশেষে সেদিন দুজনকে একটি ঘরের মধ্যে একলা কথা বলতে দেন পরিবারের সদস্যরা। ঘরের মধ্যে এই বিয়ে না করার জন্যে হেমাকে অনুরোধ করেন ধর্মেন্দ্র। সেদিন ঘর থেকে বেরিয়ে এসে হেমা বিয়ের জন্যে কয়েকদিন সময় চান। তাতে মোটেই রাজি ছিলেন না জিতেন্দ্র এবং তার পরিবারের সদস্যরা।

কিন্তু হেমা শান্তভাবে তার মনের কথা জানিয়ে দেন। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে সেদিন বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান জিতেন্দ্র এবং তার বাবা-মা।

ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসরণে

এম/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh