• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

'হাসিনা পার্কার' চলচ্চিত্রে দাউদ ইব্রাহিমের অর্থায়ন!

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:১৮

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনার জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হাসিনা পার্কার’। এতে দাউদ ইব্রাহিমের বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। ছবিটি মুক্তি নিয়ে যখন তুমুল ব্যস্ত এর শিল্পী-কলাকুশলীরা তখন একের পর এক বাধা এসে সামনে দাঁড়াচ্ছে।

প্রশ্ন উঠেছে, ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম! এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ। এদিকে দুই দিন আগে পুলিশের কাছে আটক হয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল। এরপরই ছবিতে দাউদ ইব্রাহিমের প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের ভাষ্য, দাউদ ইব্রাহিম এর আগেও বলিউডের সিনেমায় বিনিয়োগ করেছে। এই ছবিতে অর্থ যোগান দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

এদিকে ‘হাসিনা পার্কার’ ছবির মধ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হবে বলে আশঙ্কা করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছে ‘হিন্দু সেনা’ নামের একটি সংগঠন।

অন্যদিকে ছবিটির পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরকে আসামী করে প্রতারণা, চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে ফৌজদারি মামলা করেছে ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান ‘এম অ্যান্ড এম ডিজাইনস’।

তাদের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই ছবির পোশাক সরবরাহ করেছে ‘এম অ্যান্ড এম ডিজাইনস’। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এর জন্য কোনো অর্থ দেওয়া হবে না, তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছবিতে, ট্রেলার এবং সব ধরনের প্রচারণায় ব্যবহার করা হবে।

কিন্তু ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক এবং নায়িকা শ্রদ্ধা কাপুর, কেউই কাজটি করেননি। চুক্তিভঙ্গের কারণে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, পরিচালক ও নায়িকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এম অ্যান্ড এম ডিজাইনস।

হাসিনা পার্কার ছবিটি দাউদের বোন হাসিনা পার্কারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি। ১৯৯১ সালে স্বামী খুন হয়ে যাওয়ার পর অন্ধকার জগতে পা রাখে হাসিনা। ধীরে ধীরে মুম্বাইয়ের ত্রাস ‘আপা’ হয়ে ওঠে সে।

মূলত মুম্বাইয়ে দাউদের ব্যবসা সামলাতো হাসিনা। তার বিরুদ্ধে ছিল বহু মামলা। ২০১৪ সালে মারা যান হাসিনা। তাকে নিয়ে তৈরি ছবিটিতে দেখানো হয়েছে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনা।

এই সূত্র ধরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো চিঠিতে হিন্দু সেনা দাবি করেছে, ছবিতে মুম্বাই বিস্ফোরণে পুলিশের ভূমিকাকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। এমনকি ওই ছবিতে বিস্ফোরণের সমর্থনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। সব মিলিয়ে ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিটি যেন দাউদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতেই তৈরি করা হয়েছে।

পিআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh