• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

'এই চার বছরে তো বিয়ে করে বাচ্চার মা-ও হয়ে যেতে পারতাম'

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৩ জুলাই ২০১৭, ২৩:০৯

অবশেষে অনুরাগ বসুর 'জগ্গা জাসুস' মুক্তি পাচ্ছে চার বছর পর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানই শুধু না, ছবিতে রণবীর কাপুর আর ক্যাটরিনা কাইফকেও যে সাত বছর পর ফের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে! ফিল্মটা নিয়ে আগ্রহের আরো একটা কারণ, এই ছবির শুটিং চলাকালীন ব্রেক আপ হয়ে যায় নায়ক-নায়িকার। মুম্বাইয়ের মেহবুব স্টুডিওতে বসে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। তার সেই সাক্ষাৎকারটি আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: চার বছরে কখনো ‘জগ্গা জাসুস’ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল?

উত্তর: আসলে চার বছরে আমরা কোনো দিন নিছক বসে থাকিনি। সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। কোনো মাসে একটি গানের সিকোয়েন্স তো পরের মাসেই প্লেনের সিকোয়েন্স শুট করেছি। মনের মধ্যে একটা ধারণা প্রবল ছিল যে, ‘জগ্গা জাসুস’ একটা খুব ভালো ছবিতে পরিণত হবে।

প্রশ্ন: অনুরাগ বসু তার ফিল্মের উন্মাদনার জন্য পরিচিত। সেই পরিচয়টা কেমন পেলেন?

উত্তর: দাদার (অনুরাগ বসু) মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন সব হিরোইনই দেখেন। আমিও দেখতাম। ‘জগ্গা জাসুস’ ফিল্মে এমন অনেক কিছু আছে, যেগুলো যে-কোনো অভিনেতার কাছেই খুব বড় ব্যাপার। দাদা সহজেই অভিনেতার ভিতরের সামর্থ্য বুঝে নেন এবং তাকে সেইভাবে ব্যবহার করেন। সব সময়ে চেষ্টা করেন অভিনেতা যেন তার শ্রেষ্ঠ অভিনয়টা ওঁর ছবিতেই করেন।

প্রশ্ন: শুটিং চলাকালীন এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন মনে হয়েছিল, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’?

উত্তর: হ্যাঁ হয়েছিল। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ করেছি, এই ফিল্মের সঙ্গে যারা জুড়ে রয়েছেন, তাদের সবারই প্যাশন খুব প্রবল। ‘জগ্গা...’র সেটে সকলেই দাদার উন্মাদনায় বিশ্বাস রাখতেন। আর সেটাই ছিল আমাদের ড্রাইভিং ফোর্স। এই চার বছরে আমি তো বিয়ে করে বাচ্চার মা-ও হয়ে যেতে পারতাম (হেসে)। কিন্তু দাদার বিশ্বাস আমার কাছে একটা বড় সম্বল ছিল।

প্রশ্ন: ছবিতে আপনি একজন সাংবাদিকের ভূমিকায়। মিডিয়ার কাউকে কোনো উপদেশ দিতে চান?

উত্তর: এই ফিল্মে আমি একজন ইনভেস্টিগেটিং জার্নালিস্টের রোলে। সাংবাদিকদের জীবন কিন্তু খুব কঠিন। ছোট থেকে বড় যে কোনো খবরের জন্য তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। একটাই উপদেশ দিতে চাই, সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়ার আগে সেই সেলিব্রেটি সম্বন্ধে ভালো করে হোম ওয়ার্ক করে যান। আপনি যতটা জানবেন আপনার সামনের লোকটি ততই বেশি কথা বলবে।

প্রশ্ন: রণবীর কাপুর তো আবার এই ফিল্মের প্রযোজকও বটে। উনি কি সেটে অন্য রকম আচরণ করতেন?

উত্তর: আমার সঙ্গে সবচে’ বেশি কানেকশন ছিল দাদার। চিত্রনাট্য থেকে কস্টিউম, সব ব্যাপারেই দাদা ছিলেন আমার বাউন্সিং বোর্ড। তবে দাদাকে ফোনে না পেলে রণবীরকেই ধরতাম। ও ছিল আমার কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট।

প্রশ্ন: রণবীরের থেকে কী শিখলেন?

উত্তর: রণবীর একজন খুব বড় মাপের অভিনেতা। সেটে সব সময় ভীষণ সতর্ক থাকে। সব সময় চেষ্টা করতে থাকে কীভাবে আরো ভালোভাবে পারফর্ম করবে ক্যামেরার সামনে। এটা একটা বিশাল গুণ।

প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে তো চোদ্দো বছর কাটালেন। ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকালে কী মনে হয়?

উত্তর: নিজের সম্পর্কে প্রতিদিন অনেক কিছুই আবিষ্কার করি। একটা জিনিস খুব ভালোভাবে জানি, মেঘের পর রোদ আবার উঠবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে পজিটিভ থাকাটা সবচে’ জরুরি। কখনো আমরা জীবনকে খুব সিরিয়াসলি নিয়ে নিই। সেটা ঠিক না। আমি যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাই, তখনো শিখি। কিন্তু একটা বিশ্বাস খুব প্রবল থাকে, খারাপ সময় বেশি দিন থাকবে না। আর একটা জিনিস ফলো করি, সেটা হল আমি একদম জাজমেন্টাল নই। আমার সঙ্গে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে, তা হলে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ থাকবে। আমি সেটা বোঝার চেষ্টা করি। হঠাৎ করে কাউকে খারাপ ভাবতে পারি না।

প্রশ্ন: বলিউডে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও তো কম নয়। তা নিয়ে ভয় পান না?

উত্তর: না, না, ১৪ বছর পর ওই ভয়টা আর নেই। জীবনের প্রত্যেকটা দিনই আমার কাছে একটা নতুন উপহার। আমি জানি, সততার সঙ্গে কাজ করলে যেটা আমার, সেটা আমারই থাকবে।

প্রশ্ন: ‘জগ্গা জাসুস’-এর পরেও তো আপনার হাতে ছবির পাহাড় জমে আছে...

উত্তর: ‘জগ্গা...’ রিলিজ করার চার দিন পরে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর শুটিং শুরু করব। তার পর আনন্দ এল রাইয়ের ফিল্ম আছে শাহরুখ খানের সঙ্গে। তারপর আমির খান, অমিতজির সঙ্গে ‘ঠগ্‌স

অব হিন্দোস্তান’।

প্রশ্ন: অভিনয় ছাড়া আর কিছু করার প্ল্যান আছে?

উত্তর: ফিল্ম প্রোডিউস করব একদিন। দেখা যাক কবে করি।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh