মধ্যরাতে নায়িকা অঞ্জনার বাসায় ভয়ানক কাণ্ড, ১০ মিনিটে হাজির পুলিশ
চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানাকে অভিনয়ে দেখা না গেলেও ফিল্ম কেন্দ্রিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরব উপস্থিতি তার। বুধবার (১১ মে) দিবাগত রাতে তার বাসায় ভয়ানক কাণ্ড ঘটেছে।
অভিনেত্রী নিশ্চিত করেছেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তার বাসায় বহিরাগত একদল লোক প্রবেশের চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দিয়ে ওঠেন তিনি। তার চিৎকারে পালিয়ে যায় বহিরাগতরা। এরপরই তিনি উত্তরখান থানায় ফোন করে সহযোগিতা চান। পরবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যে তার বাসায় পুলিশ হাজির হয়।
অঞ্জনা গণমাধ্যমকে জানান, ‘গত রাতে ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। তখন আনুমানিক রাত দুইটা। আমি ড্রইং রুমে গেলাম, হঠাৎ ছাদে মানুষের পায়ের আওয়াজ ও ফিসফিস কথার শব্দ শুনতে পেলাম। ভয়ে আমার গা শিউরে উঠলো। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার ছেলেকে ডাকি। আমাদের শব্দ পেয়ে ৩ তলার ছাদ বেয়ে লোকগুলো নিচে নেমে যায়। আমি এক মুহূর্ত দেরি না করে উত্তরখান থানায় ফোন করি। সঙ্গে সঙ্গেই এসআই মুশফিক ভাইসহ ৬-৭ জন পুলিশ আমার বাড়িতে আসে।’
কিংবদন্তি এই নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বাড়ির সামনের সাইডের একটি অংশে আমার বাড়ির নির্মাণাধীন কাজের জন্য অনেক বালি রাখা আছে। লোকগুলো ৩ তলার ছাদ বেয়ে দুই তালার বারান্দার কার্নিশের অংশ থেকে নিচে বালিতে লাফ দিয়ে নেমেছে। বালিতে ৩-৪ জনের পায়ের ছাপ দেখেছি। আমার ড্রাইভার ছুটিতে। দারোয়ানও বৃষ্টির জন্য আসতে পারেনি। বাসায় একমাত্র আমি ও আমার ছেলে। কেউ হয়তো ক্ষতি করার জন্য এই সুযোগটাই খুঁজছিল।’
এদিকে ফোন করার ১০ মিনিটের মধ্যেই পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অঞ্জনা। তার ভাষ্য, ‘চির কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি। সত্যিকার অর্থেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা আবারও প্রমাণিত হলো।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে ৩৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কাপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। ১৯৭৯ সালে সমগ্র এশিয়া মহাদেশের প্রায় একশটি দেশের প্রতিযোগীর মধ্যে একমাত্র অঞ্জনা বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৮২ সালে মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ডান্স কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবও তিনি অর্জন করেন। তার অর্জনের মধ্যে আরও রয়েছে- সার্ক ডান্স ফ্যাস্টিবাল চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৬), উপমহাদেশীয় ডান্স কম্পিটিশন (১৯৮৮), ব্রিটিশ ডান্স ফ্যাস্টিভাল (১৯৯১), নিউইয়র্ক লসএঞ্জেলস ক্ল্যাসিকাল ডান্স কম্পিটিশন (১৯৯৪), দক্ষিণ এশিয় ফোক ডান্স ফ্যাস্টিভাল (১৯৯৮), জাপান ত্রিদেশীয় ডান্স কনফারেন্সসহ (২০০৩) আরও অসংখ্য পুরস্কার।
মন্তব্য করুন