• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাচ্চাদের সময় দেওয়া হচ্ছে এখন প্রথম কাজ : ঈশিকা

  ০৯ এপ্রিল ২০২২, ২০:২০
বাচ্চাদের সময় দেওয়া হচ্ছে এখন প্রথম কাজ : ঈশিকা
ঈশিকা খান

বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু তার বিনোদনে পথচলা। এরপর মডেলিং, তারপর নাটকে অভিনয় শুরু করেন। বলতে গেলে অভিনয় ও উপস্থাপনায় নিজের ক্যারিয়ার জমে উঠেছিল বেশ। কিন্তু ঠিক সেই সময়টায় তিনি মিডিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। বলছি জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী ঈশিকা খানের কথা। লন্ডন প্রবাসী কায়সার খানের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর দেশ ছেড়ে একে বারে লন্ডনেই স্থায়ীভাবে তার বসবাস শুরু হয়।

তবে মাঝে মাঝে দেশে ফিরে আসেন আবার চলে যান। কিন্তু কোভিড-১৯-এর পর থেকে এখনও তিনি লন্ডন থেকে ফিরে আসেননি দেশে। কেমন যাচ্ছে লন্ডনে তার সংসার, সন্তান ও বর্তমান সময়। লন্ডন থেকে এসব নিয়ে আরটিভি নিউজের সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। কথা বলে লিখেছেন কুদরত উল্লাহ।

আরটিভি : আপনি তো দীর্ঘদিন ধরে লন্ডন আছেন। ঘটনা কী?

ঈশিকা : হাহাহা, প্রশ্নটা বেশ মজার। বিষয়টা হচ্ছে শশুরবাড়ি লন্ডনে, বিয়ের পর তো মেয়েদের শশুরবাড়ি থাকতে হয়। তাই এখানে আছি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এভাবেই দিন কাটছে।

আরটিভি : কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন আপনারা? সে সময়ের কথাগুলো জানতে চাই।

ঈশিকা : আসলে কীভাবে ব্যাখ্যা দেব, বুঝতে পারছি না। সময়টা খুব পেইনফুল ছিল। যখন কোভিড পজিটিভ হয় আমার ও কায়সারের (স্বামী) তখন ছোট ছোট দুটো বেবি। কাছে থেকেও আলাদা থাকতে হয়েছিল। তখনও লকডাউন চলছিল, এখন লকডাউন নেই কিন্তু আইনটা খুব কড়া। তবে এখনও ঝুঁকি আছে। জানেনেই তো লন্ডনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আবার নিজেও আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও ভয়টা রয়ে গেছে। ঘরে বসে থেকে প্রার্থনা ও সাবধানে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। আপনারাও সাবধানে থাকুন। তাই বাংলাদেশে থাকা নিজের পরিবার বন্ধু, পরিচিত মানুষ এবং পুরো বিশ্বের সবার জন্যই প্রার্থনা করি, ভয়াবহ ভাইরাস থেকে যেন সবাই মুক্তি লাভ করে।

আরটিভি : বর্তমানে সংসারজীবন কেমন যাচ্ছে?

ঈশিকা : খুবই ব্যস্ত। ছোট বাচ্চাগুলো বড় হচ্ছে। ওদের পেছনেই সময় দিচ্ছি। রান্না, সংসার, আতঙ্ক সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে দিনকাল। আগে বাইরে বের হতে পারলেও মাঝে তো বের হতেই পারিনি। এখন যা অবস্থা বাইরে বের হওয়া যায় কিন্তু ভয়টা রয়েই গেছে। সমস্যা হচ্ছে এখানেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে, তাই যাই খুব সাবধানে বাইরে।

আরটিভি : দেশে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু?

ঈশিকা : সত্যি বলতে কোভিড-১৯-এর জন্য বোধহয় দেশে আসা হবে না এখন। এখানের আইন খুব কড়া। একটু ভুল করলেই জরিমানা দিতে হয়। এখানের অবস্থাও ভালো নয়। পুরো বিশ্বের অবস্থাই ঠিকঠাক নেই। খুব ইচ্ছা ছিল এবারের ঈদে দেশে ফিরব। ফিরে সবার সঙ্গে দেখা করব। কিন্তু এ বছরও ফিরতে পারছি না। তবে আশা রাখি, আগামী বছরে ফিরতে পারব।

আরটিভি : তাহলে বলতে চাচ্ছেন অভিনয়ে আর নিয়মিত হতে পারছেন না?

ঈশিকা : অভিনয়ে আর নিয়মিত হতে পারছি না। কারণ সে সময়টা আর নেই। এখন সিদ্ধান্ত হচ্ছে, একেবারেই মিডিয়া ছেড়ে দিয়েছি। নিয়মিত ধর্ম-কর্ম পালনের চেষ্টা করছি। এদিকে বাচ্চারা বড় হচ্ছে, পড়াশোনা শুরু করছে। তাদেরকে ভালোভাবে মানুষ করতে হবে। বাচ্চাদের সময় দেওয়াটাই হচ্ছে আমার এখন প্রথম কাজ।

আরটিভি : লন্ডনে থেকে বাংলাদেশি শোবিজের খোঁজখবর রাখতে পারেন?

ঈশিকা : চেষ্টা করি রাখতে। নতুন নতুন নাটক-সিনেমা মুক্তি পেলে দেখার চেষ্টা করি। তবে সময়ের খুব অভাব এখানে। একটা না একটা কিছু নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে নিজের অভিনীত কাজগুলো বেশি দেখি। ভুলগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। নিজের অভিনয় নিজে দেখে হাসি। তবে এখানে ঘুম থেকে উঠে সাংসারিক কাজ শুরু করি। নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে, সেটাতেও সময় দিতে হয়। এসব কাজ করতে করতে কখন যে সময় চলে শেষ হয়ে যায় তা টের পাই না।

আরটিভি : দেশের সবচেয়ে বেশি কী মনে পড়ে?

ঈশিকা : আসলে দেশের তো সবকিছুই মনে পড়ে। বন্ধুবান্ধব, আড্ডা, মিডিয়ার কাজ। তবে সবথেকে বেশি মনে পড়ে আমার পরিবারের সবাইকে। বিশেষ করে মা আর বোনকে। দেশের বাইরে থেকে বোঝা যায় আসলে দেশটাকে কিভাবে মনে পড়ে। এই যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি তাতেও একটা শান্তি পাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৫ এপ্রিল : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
সাক্ষাৎকারেই নিয়োগ দেবে আবুল খায়ের গ্রুপ, লাগবে না অভিজ্ঞতা
লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতার মৃত্যু
লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে আসন ফাঁকা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, প্রতিবাদ বিমানের
X
Fresh