• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কার জন্য ভোট চাইলেন চিত্রনায়িকা মাহি?

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫২
কার জন্য ভোট চাইলেন চিত্রনায়িকা মাহি?

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ঝিমিয়ে পড়া এফডিসিতে। প্রতিদিনই দুই প্যানেলের প্রার্থী, ভোটার, সাংবাদিকরা সেখানে যাচ্ছেন, চলছে প্রচারণা। নির্বাচন উপলক্ষে প্রিয় মানুষটির জন্য ভোট চাইলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু মাহির সেই প্রিয় মানুষটি কে?

এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন রিয়াজ ও ডি এ তায়েব। এই পদের দুই প্রার্থীর মধ্যেই একজন নায়িকার সেই প্রিয় মানুষ। তিনি ডি এ তায়েব।

ফেসবুকে ডি এ তায়েবের একটি ছবি পোস্ট করে মাহি লিখেছেন, 'আমার প্রাণপ্রিয় শিল্পী সমিতির সকল সম্মানিত ভোটারদের কাছে আমার প্রিয় মানুষটির জন্য ভোট চাই।'

মাহির সেই পোস্টে তার স্বামী রাকিব সরকার লিখেছেন, 'প্রিয় ভাইয়ের জন্য সবসময় অনেক দোআ।'

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছেন সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন। তাদের সেই ২২টি ইশতেহার পাঠকের জন্য প্রকাশ করা হলো-

১. জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত বিএফডিসিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের উদ্যোগ নেওয়া।

২. ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ২০২১’ - এর নীতিমালা অনুযায়ী শিল্পীদের কল্যাণে সব্বোর্চ ব্যবহার।

৩. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে চলচ্চিত্র নিমার্ণের জন্য সহজ শর্তে বড় অঙ্কের ফান্ডের ব্যবস্থা করা।

৪. অন্যায়ভাবে যেসব সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল, স্থগিত ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে তাদের অধিকার ফেরত দেওয়া ও সদস্যপদ পুনর্বহাল করা।

৫. শিল্পী সমিতির মর্যাদা রক্ষা ও সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকা এবং কেউ একাবার সদস্য হলে তাদের সদস্যপদ আজীবন সংরক্ষণ থাকবে। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী গুরুতর কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ এলে এবং তদন্তসাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে; যা সাধারণ সভায় উত্থাপন করে চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হবে।

৬. যেকোনো দুর্যোগ, সমস্যা ও প্রতিকূল পরিস্থিতে শিল্পী সমাজের পাশে দাড়ানো ও সহায়তা করা। সহায়তা গ্রহণকারীদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় কোনো সহায়তা কর্মকাণ্ডের ছবি বা ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশ না করা।

৭. আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সব ধরনের ধর্মীয় উৎসবে (যেমন- দুই ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা) স্বল্প আয়ের সদস্যদের উৎসব ভাতা ও উপহার প্রদানের ব্যবস্থা করা।

৮. পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন দেশের শিল্পী সংগঠনের সাথে পারস্পরিক মতবিনিময়।

৯. মতবিনিময় এবং শিল্পী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর।

১০. শিল্পীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

১১. শিল্পী সমিতির ওয়েবসাইট সমৃদ্ধ করতে প্রযুক্তিগত আরও উন্নয়ন, সব শিল্পীর প্রফাইল তৈরি করা। বিশেষ করে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যে শিল্পীদের প্রফাইল তৈরি করে আন্তর্জাতিক কাস্টিং ডিরেক্টরদের প্রদান করা। নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যে ভাষার ব্যবহার না থাকায় বিশ্বের যেকোনো দেশের চলচ্চিত্রে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যে আমাদের শিল্পীরা যেন কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা, যা পার্শ্ববর্তী দেশ বিগত দিনে করেছে।

১২. শিল্পী সমিতির সভাপতিকে পদাধিকার বলে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে সমিতির নেতাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য অন্তর্ভুক্তীকরণের ব্যবস্থা করা।

১৩. ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করা শিল্পীদের জন্য বিশেষ বিমা ও সবার জন্য গ্রুপ বিমার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।

১৪. শিল্পীদের চিকিৎসা কার্যক্রমের সুবিধার্থে কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবের সঙ্গে বিশেষ ছাড়ের জন্য চুক্তির উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন।

১৫. শিল্পীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও তাদের বাবা-মাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

১৬. চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন ও নতুন প্রযোজকদের চলচ্চিত্রের পান্ডুলিপি থেকে শুরু করে ছবি মুক্তি পর্যন্ত যাবতীয় সহায়তা প্রদান।

১৭. চলচ্চিত্র-সংক্রান্ত সব সংগঠনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং পারস্পরিক স্বার্থে মতবিনিময়।

১৮. শিল্পী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া। যেখানে সব ধরনের শিল্পী তৈরির পাঠ্যসূচি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

১৯. নৃত্যশিল্পীদের জন্য ড্যান্স স্টুডিও ও ফাইট অ্যান্ড স্টান্ট স্টুডিও এবং অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্টসমৃদ্ধ জিমনেসিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া।

২০. সব শিল্পী উপযোগী মেকআপ সেলুন ও পার্লার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া।

২১. শিল্পীদের পেশার মান বৃদ্ধিতে দেশের ও দেশের বাইরের কিংবদন্তি শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ সেমিনার ও ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করা।

২২. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর ও বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন ও অভিনেত্রী নিপুণ একটি প্যানেল গঠন করেছেন। অন্য প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এনএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনী সংস্কৃতির চিরন্তন পাঠটি সুখকর না
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করলেন নিপুণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
যে কারণে স্ট্যাটাস দিয়ে ডিপজলকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিলেন আন্না
X
Fresh