• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মারা গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র ও পণ্ডিত বিরজু মহারাজ

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৫
মারা গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র ও পণ্ডিত বিরজু মহারাজ

কলকাতার নাট্যদুনিয়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী, মঞ্চদুনিয়ার দিকপাল শাঁওলি মিত্র আর নেই। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

সেদিন দুপুরে সিরিটি মহাশ্মশানে শাঁওলি মিত্রের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছায় শাঁওলি বলেছিলেন, তার মৃত্যুর খবর যেন দাহকার্যের পর সবাইকে জানানো হয়। সেটাই করা হয়েছে।

বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই মৃত্যুর পরবর্তী নিয়ম বিধি জানিয়ে গেছেন তিনি। ফুলের ভারে তার দেহ যেন সেজে না ওঠে, এমনই নির্দেশ ছিল তার।

প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ সিনেমায় ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাঁওলিকে। অভিনয় করেছেন ‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে। অভিনয় সুবাধেই শাঁওলি মিত্র ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এ ছাড়াও পেয়েছেন সংগীত-নাটক একাডেমি (২০০৩) ও বঙ্গ-বিভূষণ (২০১২) পদক। ২০১১ সালে রবীন্দ্র সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপারসন ছিলেন তিনি।

এদিকে শাঁওলি মিত্রের মৃত্যু শোক না কাটতেই চলে গেলে আরও এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। একই দিনে (১৬ জানুয়ারি) কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ মারা গেছেন। কত্থক নাচের এই সাধক চলে গেলেন ৮৩ বছর বয়সে।

গতকাল (রোববার) রাতে দিল্লির বাড়িতে নাতির সঙ্গে খেলছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। সেই সময় আচমকাই তার শরীর খারাপ হয়ে যায়। দ্রুত দিল্লির সাকেত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ।

কালকা-বিনন্দাদিন ঘরাণার শিল্পী ছিলেন বিরজু মহারাজ। তার জন্ম ১৯৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ের এক নামি কত্থক নৃত্যশিল্পীদের পরিবারে। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র। ছোট থেকেই নাচ-গানের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। বিরজু মহারাজের গুরু ছিলেন তার পিতা অচ্ছন মহারাজ। খুব ছোট বয়সেই বাবার কাছে কত্থক নাচের তালিম শুরু তার। এর পাশাপাশি কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লাচ্চু মহারাজ বরাবর অনুপ্রাণিত করেছিলেন বিরজু মহারাজকে।

শিশুশিল্পী হিসাবেই বাবার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতেন বিরজু মহারাজ। কৈশোরে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘গুরু’ তকমা জুড়ে গিয়েছিল তার নামের আগে। রামপুরের নবাবের দরবারে নৃত্য পরিবেশন করতে বিরজু মহারাজ। মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার জেতেন তিনি।

এনএস/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh