• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বেলি-ড্যান্স করে স্বামীসহ চাকরি গেল শিক্ষিকার

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৫
বেলি-ড্যান্স করে স্বামীসহ চাকরি গেল শিক্ষিকার
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে কত ঘটনাই তো ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কখনও সে ঘটনা আলোচিত হয় আবার হয় সমালোচিত। ভার্চুয়ালি সেই ঘটনা এখন মুহূর্তেই হাতের মুঠোয় চলে আসে পাঠকের। সেই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষকে ভাবায়। কারও কারও হাসি পায় আবার কান্নাও। সম্প্রতি মিশরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে; যা এখন সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই আলোচিত।

মিসরে বেলি-ড্যান্স করায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে তালাক দিয়ে ঘরছাড়া করেছেন তার স্বামীও।

যদিও বেলি-ডান্সের উৎপত্তি ফ্যারাওদের যুগে। কিন্তু এখনও বেশির ভাগ নারীকে জনসমক্ষে বেলি-ডান্সের সময় তাচ্ছিল্যের চোখেই দেখা হয়। বেলি-ডান্সের জন্য সমাজের মানদণ্ডে মাপার রীতি নতুন নয়। এবার সেই মাপকাঠিতে মাপা হলো স্কুলশিক্ষিকা আয়া ইউসুফকে।

দোষ হিসেবে নীল নদে নৌকার ওপরে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বেলি-নাচ করার সময় একজন সহকর্মী অনুমতি ছাড়াই তার নাচের রেকর্ড করেন। ভিডিওতে পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশিই নাচতে দেখা যায় তাকে। আর এর মাসুল হিসেবেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় আয়া ইউসুফকে। তার স্বামীও তাকে ‘তালাক’ দিয়ে ঘরছাড়া করেন।
ভিডিওতে, আয়াকে ইসলামিক স্কার্ফ এবং একটি দীর্ঘ-হাতা পোশাক পরে নাচতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে আরব নেটমাধ্যমে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পরে, এটি মিশরীয় রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

নেট মাধ্যমে সমালোচকরা দাবি করেছেন যে, তার এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। মিশরে শিক্ষা নিম্নস্তরে পৌঁছেছে বলেও অন্য একজন নেটমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন।

এর পরেই আয়াকে দাকাহলিয়া গভর্নরেটের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেখানে তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার কাজ করেছিলেন।

এই ঘটনার পরে সারাজীবন নাচ না করার প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। এমনকি তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন বলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান। তবে এই পরিস্থিতিতে আয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মিশরে নারী অধিকার কর্মীরা। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, আয়া কিছু ভুল করেননি এবং তিনি সমাজের গোঁড়ামির শিকার।

তার সমর্থনে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার রক্ষায়, অন্য একটি স্কুলের উপপ্রধান তার মেয়ের বিয়েতে নাচের ছবি নেট মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

ইজিপ্সিয়ান সেন্টার ফর উইমেনস রাইটসের প্রধান, ড. নিহাদ আবু কুমসান, আয়াকে তার অফিসে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বেআইনিভাবে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ দায়ের করতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও আয়াকে নতুন একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আয়ার অভিযোগ, তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে নাচেননি। তিনি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে নেচেছিলেন। একই সঙ্গে এই ভিডিওটি চিত্রায়িত করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

কেইউ/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বিদ্যা
খুলনায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব
জয়ের স্ত্রীর দাবি, সালমান শাহর মতোই তার স্বামীকে টার্গেট করা হলো
মেলায় জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, আটক ৫  
X
Fresh