জন্মদিনে সুবর্ণা মুস্তাফাকে যে বার্তা দিলেন স্বামী
নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। আজ এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আশির দশকের জনপ্রিয় এই টিভি অভিনেত্রী ৬২ বছরে পা রাখলেন।
বিশেষ দিনটিতে সুবর্ণা মুস্তাফা দেশে নেই। বর্তমানে তিনি কানাডায় আছেন। তাই সবচেয়ে কাছের মানুষ অর্থাৎ তার স্বামী-নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের মন খারাপ। স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘মুস্তাফা, তোমাকে খুব মিস করছি। শুভ জন্মদিন। দ্রুত আসো প্লিজ।’
স্বামীর প্রেমময় বার্তায় জবাবও দিয়েছেন সুবর্ণা। মন্তব্য করেছেন, ‘আমিও তোমাকে অনেক বেশি মিস করছি। তোমাকে সবসময় ভালোবাসি।’
সুবর্ণা মুস্তাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তবে তার পৈতৃক নিবাস ঝালকাঠি জেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। তার বাবা ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা ও আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা। মা ছিলেন পাকিস্তান রেডিওর একজন প্রযোজক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন। অভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছেন তিনি।
প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অভিষেক ঘটে সুবর্ণা মুস্তাফার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে।
এরপর ‘আজ রবিবার’ নাটকটিতেও দর্শকদের মুগ্ধ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবির মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমিদের মনে দোলা দেন তিনি।
এ ছাড়া ‘নয়নের আলো’ ছবিতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান।
এনএস/টিআই
মন্তব্য করুন