মৃত্যুবার্ষিকীতে তনুশ্রীকে স্মরণ করলো নাট্যধারা
একটি অসমাপ্ত জীবন রেখে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া এক নাট্যকর্মীর নাম তনুশ্রী গায়েন। আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) তার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে অনলাইন স্মরণসভার আয়োজন করে নাট্যসংগঠন নাট্যধারা। নাট্যধারার সকল কর্মীরা তার নাট্যজীবনকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
শিল্পমাধ্যমের সকল ক্ষেত্রে মানুষ বিচরণ করতে চায় খোলা আকাশের নিচে উড়ন্ত পাখির মতো। তনুশ্রী গায়েন ছিলেন তেমনই একজন শিল্পী। বাবা মায়ের উৎসাহের শেষ ছিল না, মেয়ে বড় হয়ে নৃত্যশিল্পী হবে। বাবা দৈনিক ইত্তেফাকের এক্সিকিউটিভ। স্বর্গীয় সুধীররঞ্জন গায়েন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। মেয়েকে ভর্তি করালেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি বাফাতে। তখন ১৯৮৭ সাল। তনুশ্রী সবে স্কুলে যাই যাই করছে। ১৯৮৯ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত শিশু একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে আবার ভর্তি হলেন বাফায়। সময়কাল ১৯৯৩ থেকে ৯৭। ছন্দ যার রন্ধ্রে সেকি আর থেমে থাকবে। শুরু হলো বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী কবিরুল ইসলাম রতনের কাছে বিশেষ তালিম গ্রহণ ও নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য হিসেবে পথ চলা। সেখানে একই সঙ্গে সে ছাত্রী ও শিক্ষক। এরপরই নাট্যধারায় যোগদান।
সেই থেকে নাট্যচর্চার শুরু হলো তার। একে একে অভিনয় করলো নাট্যধারার অন্যতম সফল প্রযোজনা ‘চাঁদের অমাবশ্যা’ ও ‘অগ্নিজল’ নাটকে। চাঁদের অমাবশ্যায় তার কোরিওগ্রাফ দর্শকের হৃদয়ে মাঝে পূর্ণিমার মতোই উজ্জ্বল। বরগুনা জেলার বামনা থানায় শফিপুর গ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র অনার্স পর্বে প্রবেশের মুখে হঠাৎ করেই জ্বরে পড়লো। ডাক্তার রিপোর্ট দিলেন লিওকোমিয়া। সহজ ভাষায় ব্লাড ক্যানসার। ঢাকায় এই দূরারোগ্য ব্যাধির উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর তাকে কলকাতার ঠাকুরপুকুরস্থ ক্যানসার সেন্টার ওয়েলফেয়ার হোম এন্ড রিসার্স ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার দ্বারপ্রান্তে এসে কোন রকম সময় না দিয়েই ২০০০ সালের ২৯ নভেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তনুশ্রী।
পি
মন্তব্য করুন