• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সমালোচনার চেয়ে আলোচনা বেশি : বান্নাহ

  ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪৬
ছবি : সংগৃহীত

মাবরুর রশীদ বান্নাহ। সময়ের জনপ্রিয় এক নির্মাতার নাম। ২০১১ সালের বিজয় দিবসে বান্নার রচনা ও পরিচালনায় প্রথম নাটক দিয়েই বাজিমাত করেন তিনি। ব্যতিক্রমধর্মী গল্প আর নির্মাণে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে তৈরি করেছেন নিজস্ব পরিচিতি। গত অর্ধ যুগে সাফল্য পাওয়া তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।

বর্তমানে সব শ্রেণির দর্শকদের কাছেই বান্নাহর নাটক মানে অন্যরকম ভালো লাগা। একের পর এক হিট নাটক উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সারা বছরই নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণে ব্যস্ত থাকেন বান্নাহ। এত ব্যস্ততার মাঝেও জনপ্রিয় এই পরিচালক কথা বলেছেন আরটিভি নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কুদরত উল্লাহ

আরটিভি : সাম্প্রতিক সময়ে কী নিয়ে ব্যস্ততা আপনার?

বান্নাহ : ব্যস্ততা নেই বললেই চলে। আপাতত বিশ্রামে আছি। গত ঈদের পর থেকে একটি কাজ করেছি। একটু ব্যতিক্রম কিছু করার জন্যই কাজ করছি না। নিজেকে একটু প্রস্তুতির মধ্যে রেখেছি। এখন ব্যস্ততা বলতে যা বুঝায় তা হচ্ছে কিছু সিরিজ ফিল্মের বই পড়ছি ও রিসার্স করছি। চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছু নিয়ে সামনে আসার।

আরটিভি : বললেন প্রস্তুতির কথা। কী ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

বান্নাহ : এটা আসলে সময়ের ব্যাপার। রিসার্স করে যাচ্ছি। ভালো কিছু নিয়েই ফিরব আশা করছি। তবে এ বছর আর ভাবছি না। ২০২২ সালে ভিন্ন কিছু নিয়েই ফিরবো। এখন এর বাইরে কিছু ভাবছি না। ভিন্নতা বোঝা যাবে নতুন কাজ প্রকাশ পেলেই। তাই আপাতত কথটা এখানেই শেষ করছি।

আরটিভি : দীর্ঘ সময় ধরেই মিডিয়ায় নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, এ নিয়ে কী বলবেন?

বান্নাহ : হ্যাঁ, দীর্ঘ সময় বলা যায়। মিডিয়া নিয়ে আমার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সব খানেই তো ভালো মন্দ নিয়েই জীবন। তবে আমি মনে করি যে নামটা আমার তৈরী হয়েছে এটা মিডিয়ার জন্যই। এখানে কাজ করেছি, ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। আজকে আমি মাবরুর রশিদ বান্নাহ হয়েছি। একজন পরিচালক হিসেবে মানুষ ভালোবাসে আমার কাজকে এবং আমাকে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এতে অনেক ভাগ্যবান। এ জন্য অবশ্যই আমি কৃতজ্ঞ সৃষ্টিকর্তার প্রতি। তিনি আমাকে এই সুযোগটা তৈরী করে দিয়েছেন। তাই আমি বলব যে, নেতিবাচকের চাইতে অনেক অনেক বেশি ইতিবাচক ভাবে বেঁচে আছি এই মিডিয়াতে।

আরটিভি : নির্মাণের বাইরে এখন ব্যক্তিগত জীবন কেমন যাচ্ছে?

বান্নাহ : একদম নিজেকে সময় দিচ্ছি পুরোপুরি। কিছুদিন আগে বাবা-মা উভয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ চিন্তিত ছিলাম এ নিয়ে। খুব কষ্টের একটা সময় কাটিয়েছি। এখন আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। মানুষের ভালোবাসা আছে আমার প্রতি আর তাই এখন সেই কষ্টের সময়টা কাটিয়ে উঠেছি বলে আশা করছি। স্ত্রী, সংসার সব নিয়ে এখন বেশ ভালো আছি। নির্মাণের সময় তো আর ওভাবে সময়ই দেওয়া হয় না কিংবা দিতেই পারি না। তবে এবার সময়কে ধরে-বেঁধেই সময় দিচ্ছি। পরিবারের কাছে সময় কাটাতে ভালো লাগছে। পরিবার ও নিজেকে সময় দেওয়া এ দুটো বিষয়ই খুব উপভোগ করছি এই মূহুর্তে। আমি আসলে কাজের মানুষ কিন্তু যখন যেটা করছি মনযোগ দিয়েই করছি।

আরটিভি : নিজেকে ব্যাখ্যা করার মাধ্যম কতটুকু পেলেন?

বান্নাহ : মিডিয়াতে যা করতে এসেছিলাম, তার পুরোপুরি করতে পেরেছি তা না। তবে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে যেমন পরিশ্রম আছে, ঠিক তেমনি আমার জীবনেও আছে। তবে পরিশ্রমের মাত্রটা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়েছে। একটা সময় মনে হতো নাটক বানাতে পারাটাই এক ধরণের স্বার্থকতা। এখন আবার ভাবতে হচ্ছে মানুষের মনে দাগ কাটার মতো বা সমাজকে ভালো কিছু দেওয়ার মতো কাজ করাটাই হচ্ছে নিজেকে ব্যাখা করে দেওয়ার মতো জায়গা। এখন পর্যন্ত আমার নির্মাণে যেসব গল্প বলার চেষ্টাই করেছি মাত্র। দর্শকের কাছ থেকে এই ভালোবাসাটুকু আমি পেয়েছি। তবে এখনও বাকি অনেক দূর যাওয়া, অনেক কাজ করা।

আরটিভি : শুটিং কিংবা ঘুরতে দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?

বান্নাহ : আমি আর আমার স্ত্রী সানিয়া অনেক আগে থেকেই দেশ-বিদেশ ঘুরতে পছন্দ করি। সেজন্য আসলে শুটিং লাগে না। তবে এখন করোনার কারণে যে অবস্থা বিশ্বের তাতে শুটিং করার কোনো পরিকল্পনা নেই আপাতত। তবে যেহেতু অনেক দেশই ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আবারও ভিসা দিচ্ছে, সেহেতু ব্যক্তিগত ভাবে সামনে পরিকল্পনা আছে ঘুরতে যাওয়ার। এখন দেখা যাক সামনে কি হয়।

আরটিভি : বাসায় বসে নাটক কিংবা সিনেমাগুলো দেখা হয়?

বান্নাহ : নিজের কাজ ফ্রি থাকলে দেখা হয়। এছাড়া সিনেমাটাই বেশি দেখি। সেটা দেশ হোক কিংবা বিদেশি। নিয়মিত সিনেমা দেখি এটা বলতে পারেন।

আরটিভি : নির্মাণের বাইরে সবচেয়ে বেশি কী মনে পড়ে?

বান্নাহ : অবশ্যই ছোট বেলা কথা মনে পড়ে। স্কুলের কথা খুব বেশি মনে পড়ে। কলেজের কিছু কিছু কথা ভাবায় আমাকে। ভাবলে খুব আনন্দ পাই, আবেগে ভাসায় আমাকে। একটা খুব সুন্দর স্মৃতিতে নিয়ে যায় আমাকে। যা আসলে এখন বলে বোঝানো যাচ্ছে না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হয়তো মনে থেকে যাবে সেসব দিনগুলোর কথা।


কেইউ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকারেই নিয়োগ দেবে আবুল খায়ের গ্রুপ, লাগবে না অভিজ্ঞতা
লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতার মৃত্যু
সিলিকন ভ্যালি উৎসবে বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা সিজু
নারীবাদী ৯০ শতাংশ নির্মাতাকে প্রতারক বললেন অনুরাগ
X
Fresh