• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নিজেকে ভেঙেচুরে গড়ে তোলার নামই জীবন: তমা মির্জা

  ২০ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৩৭
তমা মির্জা

‘বলো না তুমি আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ২০১০ সালে সিনেমা হলের পর্দায় দেখা যায় তমা মির্জাকে। তিনি একাধারে বিজ্ঞাপন ও নাটকেও অভিনয় করেছেন। তবে এর পাশাপাশি বেশকিছু চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেত্রী হিসেবেও অভিনয় করেছেন। কিন্তু অনন্ত হীরার পরিচালনায় ‘ও আমার দেশের মাটি’ চলচ্চিত্রে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে আলোচিত হন তিনি। তকমা লাগে চিত্রনায়িকার। এরপর তমা ২০১৫ সালে শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ‘নদীজন’ চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ওটিটি প্লাটফর্ম। সেই সুবাদে তমা মির্জাও নিজেকে মেলে ধরেছেন। আবারও নিয়মিত হয়েছেন অভিনয়ে। নিজেকে ভেঙেচুরে গড়ে তোলার নামই তো জীবন। সেই জীবনের কিছু কথা ও সম্প্রতি নিজের নতুন কাজ নিয়ে কথা বলেছেন আরটিভি নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন আরটিভির রিপোর্টার কুদরত উল্লাহ।

আরটিভি: প্রায় এক যুগ হতে চলল মিডিয়ায় কাজ করছেন, দীর্ঘ এ পথচলা কীভাবে দেখছেন?

তমা মির্জা: হ্যাঁ, পথটা অনেক দীর্ঘ। এ পথে অনেকেই আমাকে সাপোর্ট করেছেন। তাদের জন্য ভালোবাসা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি অল্প বয়সেই। কিছুটা পলিটিক্স দেখেছি, কাদা ছোড়াছুড়ি দেখেছি। তাই তো সবসময় চেষ্টা করি নির্ভেজাল থাকতে। আমার কাছে কাজটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।

আরটিভি: তাহলে অভিনয়ে নিয়মিত?

তমা মির্জা: হ্যাঁ, বেশ কিছুদিন ধরেই করছি। তবে একটু সাবধানে করতে হচ্ছে। কারণ করোনার ভয়টা এখনও কাটেনি। তবুও সবকিছু কাটিয়ে এখন অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছি। তবে এখন ওয়েব ফ্লিমের প্রমোশন নিয়ে একটু ব্যস্ত। এইতো...

আরটিভি: সম্প্রতি আপনার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’-এর চরিত্র নিয়ে কিছু বলুন...

তমা মির্জা: আসলে এখনই সব বলতে চাচ্ছি না। এই গল্পের পাখি চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে এখনও মনে হয় আমি ঘোরের মধ্যে আছি। একটা ফ্যাক্টরির মধ্যে আটকে পড়ে যাওয়া মেয়ের চরিত্রেই আমি অভিনয়ে করেছি। মূলত তারপর থেকেই গল্পে টানটান উত্তেজনা চলে আসে। নানা রকম ঘটনা ঘটতে থাকে। সাসপেন্স, থ্রিলার সব কিছুই আছে বলতে পারেন এই গল্পে। বাকিটা দর্শক দেখলে বুঝতে পারবে। এখনই আর বলা যাচ্ছে না।

আরটিভি: এই ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

তমা মির্জা: নির্মাতা হিসেবে রায়হাস রাফি নিঃসন্দেহে দারুণ মানুষ। তার উপর শুটিং সেটে কিছু গুণী অভিনয়শিল্পী পেয়েছি। এরমধ্যে ফজলুর রহমান বাবু ভাই আমাকে এতটা সাপোর্ট করবেন আমি ভাবতেই পারিনি। ট্রেলার প্রকাশে নিশ্চয়ই দর্শক কিছুটা বুঝতে পেরেছে যে এই গল্পের প্রতিটি চরিত্রই হচ্ছে মূল চরিত্র। তাই আমার নিজের পক্ষে পুরাটা বলা সম্ভব নয়। এতটুকুই বলব আমি আমাকে ভাঙ্গতে পেরেছি বোধহয় এই চরিত্রে অভিনয় করে। সবাই অনেক হেল্পফুল ছিল শুটিংয়ে।

আরটিভি: এ মুহূর্তে কোনও বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের প্রস্তাব রয়েছে?

তমা মির্জা: অনেকগুলো প্রস্তাব আছে। কিন্তু প্রস্তাব পেলাম আর কাজ শুরু করে দিলাম অভিনয় বিষয়টা এমন নয়। আপাতত একটু ভেবেচিন্তে অভিনয়টা করতে চাই। অবশ্যই ভালো গল্প ও স্ক্রিপ্ট নির্ভর কাজ করব। নিজের ও পরিবারের ওপর দিয়ে বেশ ধকল গেছে। তাই চরিত্র এবং প্লাটফর্ম যদি পছন্দ হয় সেটা করব। তবে একেবারে আগে যেভাবে বাণিজ্যিক সিনেমাগুলো করেছি, সে রকম চলচ্চিত্রে বোধহয় আর অভিনয় করা হবে না। এসব চলচ্চিত্র থেকে একটু দূরে থাকতে চাই, অভিনয়টা ভালোমতো করি। ভালো চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব যদি দেরিতেও আসে তাহলেও চলবে। অন্তত দিন শেষে নিজের মনকে বলতে পারব, হ্যাঁ আমি ভালো একটা চরিত্রে কাজ করেছি।

আরটিভি: শুটিং থাকলে তো প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। এত ব্যস্ততার পর দিনশেষে নিজেকে কতটুকু সময় দিতে পারেন?

তমা মির্জা: কাজ যদি না থাকে তাহলে প্রচুর ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। পরিবারকে সময় দিই আবার নিজেকেও সময় দিই। আর আমি খুব ইমোশনাল মানুষ। অল্পতেই মন গলে যায়।

আরটিভি: ব্যক্তিগত জীবন কেমন যাচ্ছে?

তমা মির্জা: (হাসি দিয়ে) ভাইয়া একটা কথা বলি, এই টপিকে আজ কথা না হোক। আজ শুধু কাজ নিয়ে আলাপ হোক। ব্যক্তি জীবন নিয়ে একদিন কফি খেতে খেতে গল্প করব।

কেইউ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকারেই নিয়োগ দেবে আবুল খায়ের গ্রুপ, লাগবে না অভিজ্ঞতা
সাংবাদিক বোনের সাক্ষাৎকারে যা বললেন জাকের 
নিজেকে নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন ড. ইউনূস
বাইডেন নাকি ট্রাম্প, কাকে পছন্দ জানালেন পুতিন
X
Fresh