ছেলের দুশ্চিন্তায় খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দিয়েছেন শাহরুখ!
মাদক মামলায় ছেলে আরিয়ান খান গ্রেপ্তারের পর থেকেই মানসিক চাপের মধ্যে আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ছেলেকে মুক্ত করতে এদিক-সেদিক ছুঁটে বেড়াচ্ছেন তিনি। গত শুক্রবার (৮ অক্টোবর) আরিয়ানের জামিনে বের হবার সম্ভাবনা তৈরী হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। আপাতত তাকে জেলেই বন্দী থাকতে হবে।
এদিকে ছেলের দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো খেতে পারছেন না শাহরুখ। এমনকি ঘুমাতেও পারছেন না তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমনটিই জানা গেছে।
অভিনেতার কাছের এক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাহরুখ একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। তিনি খাচ্ছেন না, ঘুমাতেও পারছেন না। মাঝে মাঝে দুই ঘণ্টা ঘুমাতেন তিনি। এখন সেটাও পারছেন না। সব মিলিয়ে ছেলের চিন্তায় মোটেই ভালো নেই শাহরুখ।
এমনকি তারকা পুত্রের এমন কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বলিউড বাদশা। এমনকি নেটিজেনদের একাংশ শাহরুখ খানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
এদিকে এই বিপাকের মধ্যেই ঘটেছে আরেক ঘটনা। আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারের কারণে অনলাইন শিক্ষাদানের একটি সংস্থা থেকে শাহরুখ খানকে দিয়ে করানোর সকল বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। সংস্থাটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন শাহরুখ।
ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আপাতত সিনেমার কাজ স্থগিত রাখছেন বাদশা। এই মুহূর্তে দুটি ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত শাহরুখ। একটি হলো দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ‘পাঠান’। গানের দৃশ্যে শুটিংয়ের জন্য ১০ অক্টোবর শাহরুখ-দীপিকার স্পেনে যাওয়ার কথা। সঙ্গে যাওয়ার কথা পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের। কিন্তু এই অবস্থায় তিন সপ্তাহের সেই সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রেখেছেন শাহরুখ।
দক্ষিণের পরিচালক অ্যাটলির পরিচালনায় শাহরুখের দ্বিতীয় ছবিটির কাজ চলছিলো। আরিয়ান গ্রেপ্তার হওয়ায় সেটিও বন্ধ রাখতে হয়েছে। কবে কাজ শুরু হবে সে বিষয় এখন অনিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ৬ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। তাকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে- ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
এনএস/এসকে
মন্তব্য করুন